Chapter 3:
Behind the Counter1 কাউন্টারের পেছনে১
“Smile
with a greeting and make a positive first impression,” a Burger King training
manual suggests. “Show them you are GLAD TO SEE THEM. Include eye contact with
the cheerful greeting.”
শুরুতে
আমাদের কথায় বলছিলাম কি ভাবে লেখক এরিক চক্রবত আমাদের বার বার ফিরিয়ে নিয়ে যান কলোরাডো স্প্রিংএ নামের শহরটিতে।
এবারে আকাডেমি বুলেভারড।
নতুনভাবে শহর
গড়ে উঠছে। যে শহরগুলোর অনুসরনে তৈরি হচ্ছে বর্তমানের ভারতের শহরগুলো, দেশী শহরের ঐতিহ্যকে প্রায় গুঁড়িয়ে দিয়েই, যত সব কিছু আমেরিকায় বিকশিত সব কিছুকেই চরম দেউলিয়াপনায় আঁকড়ে ধরে সেগুলিকে ভারতের মাটিতে পোঁতার প্রাণান্তকর প্রয়াস।
কলোরাডো স্প্রিং শহরটির রাস্তার প্রায় প্রত্যেক কোনেই একটা না একটা ফাস্ট ফুডের দোকান।
নতুন নতুন বহুতল যেন পৃথিবী ফুঁড়ে উঠছে।
পশ্চিম উপকূলের মানুষেরা নতুন জীবনের সন্ধানে ছুটে আসছেন রকি মাউন্টেনের কোলে।
লেখক বলছেন এ যেন পাঁচের দশকের লস এঞ্জেলেস, এতকাল ঘুমিয়ে ছিল, হঠাৎ সোনার কাঠির ছোঁয়ায় জেগে উঠেছে নতুন সময়ের ভোরে।
দ্বিতীয়
বিশ্ব যুদ্ধের সময় শহরটি বেঁচে ছিল, ক্যাম্প কারসন আর পিটারসন আর্মি এয়ার বেসের মিলিটারি খরচের দাক্ষিন্যের ওপর নির্ভর করে।
স্টার ওয়ারের মিসাইল বিধ্বংসী অস্ত্রশস্ত্র তৈরি আর পরীক্ষা হচ্ছিল এই শহরের পঁচিশ মাইল দূরের স্ক্রিয়েভার এয়ার বেসে।
পিটারসন এয়ার ফোরস বেসে পরিকল্পনা হচ্ছিল মহাশূন্যে যুদ্ধের
মহড়ার নানান
প্রযুক্তি।
দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধের আগে
আগে, কলোরাডো
স্প্রিংএ সেনা এবং সেনা বাহিনিতে নানান
দপ্তরে কাজকরার মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েগেল শহরের আদত জনসংখ্যা।
বহু বড় বড় প্রতিরক্ষা দালাল কোম্পানি- হিউলেট-প্যাকারড, কামান সার্ভিস, লিটন ডেটা সিস্টেম, ফোরড এ্যারোস্পেস এবং আরও অনেকে ক্রমে ক্রমে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পাট গুটিয়ে রকিতে থানা গেড়ে বসতেশুরু
করল মিলিটারি ক্যাম্প আর আমেরিকার সরকারের যুদ্ধাস্ত্র তৈরি, মহড়া আর আসল যুদ্ধের
পরিকল্পনার টানে।
রকির
চেম্বার অব কমার্স গলা তুলে বলছে তাদের রাজ্যে একটাও ইউনিয়ন নেই, ইউনিয়নের সদস্যও নেই।
নতুন শহর, নতুন ধরণের মানুষ, নতুন ধরণের উদ্যম।
শহরের পরিচালক
জ্যাঠামশাইরা বললেন
এটি, The Space
Capital of the Free World। এদের
সঙ্গে সঙ্গে এসে
জুড়ল অনেক রকম ব্যবসাও। ধর্ম ব্যবসায়িরাও কম যান না।
এরিকের ভাষায় শহর যেন হয়ে উঠল “a magnet for
evangelical Christian groups ….Members and supporters of the
International Bible Society, the Christian Booksellers Association, the World
Radio Missionary Fellowship,
Young Life, the Fellowship of Christian Cowboys, and World Christian Incorporated,
among others, settled in Colorado Springs.” তিনি
বলছেন কলোরাডোতে এক জনও নির্বাচিত ডেমক্রাট সদস্য নেই।
তিনি শহরের আলোচনায় আরও অনেক তথ্য তুলে আনছেন,
যা ভারতের সরকারি বদান্যতার তৈরি হওয়া নতুন ধরণের শহর বিকাশ বিষয়ে আলোচনার জন্য
অত্যন্ত দরকারি।
নতুন প্রযুক্তি নির্ভর এই শহরে সব থেকে বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করল কিন্তু চটজলদি খাবারের চেনগুলো, প্রযুক্তি ক্ষেত্র নয়। ১৯৬৭তেই ২০টি চেন চটজলদি খাবারের দোকান তৈরি হয়েছে। আজ ম্যাকডোনাল্ডের একারই ২১টা। এরিক বলছেন কোটি কোটি টাকা বিজ্ঞাপন, টিভি, ব্র্যান্ড প্রচারে খরচ করলেও আদতে ৭০ শতাংশ ক্রেতাই কিন্তু বেহিসেবি। তাদের কোনও ব্রান্ডের প্রতি আনুগত্য নেই। কোনও ভাবনা ছাড়াই ফাস্ট ফুডের দোকানে ঢোকার সিদ্ধান্ত নেয় একজন সাধারণ ক্রেতা। ফলে সে যেটিকে আগে দেখতে পায়, দোকানের চেনা সজ্জা, চেনা লোগো আগে দেখে সেটিতে সে ঢোকে। ফলে রাস্তায় দোকান, দোকানের চাকচিক্য, দোকানের লোগো সরবাগ্রে দেখা যাওয়াটা খুব জরুরি। কোনও ফাস্ট ফুড দোকানকে সফল হতে গেলে তাকে সহজে দেখতে পাওয়া চাইই চাই।
তখনও উপগ্রহ চিত্রের রমরমা হয়নি, গুগল মানচিত্রএর ভাবনা দূরঅস্ত। কোথায় দোকান খোলা যায়, এই ভাবনায়, কর্ক বলতেন তাদের বেচু আমলাদের, কোথায় কোথায় পাঠশালা রয়েছে খুঁজে বার করতে। প্রথম দিকে তিনি নিজে খুব ছোট বিমানে করে দোকানের যায়গা, মানে কোথায় বিদ্যালয় রয়েছে, তার যায়গা ব্যবাসা হিসেবে কেমন হবে, দেখতে যেতেন। যার পাশে, নিজের চেনের ফ্রাঞ্ছাইজি খোলা যেতে পারে। এ কাজে ভবিষ্যতে ম্যাকডোনাল্ড চেন ব্যবহার করবে
হেলিকপ্টার সেবা। আকাশ থেকে নজরদারি করবে। শহরের বিকাশ কি ভাবে ঘটছে তা দেখবে।
চাইবে সস্তা জমি। যেখানে এই শহর আগামীদিনে বাড়বে। ৮এর দশকে কর্কের কোম্পানি আমেরিকার ব্যবসায়িকভাবে উপগ্রহ চিত্রের সবথেকে বড় ক্রেতা ছিলেন।
পরের দিকে কর্ক Quintillion নামে একটি সফটওয়ার তৈরি করবেন। এই সফটওয়ারে উপগ্রহ ছবি, জায়গার মানচিত্র, শহরের জনসংখ্যার বিশদ বিবরবন, যে দোকানে ফ্রাঞ্চাইজিটি হবে তার বিশদ ব্যবসা তথ্য, এলাকার ব্যবসার বিবরণ ঢুকয়ে দিলে সে ম্যাকডোনাল্ড কোম্পানির হয়ে নিজে নিজেই কোথায় দোকান হবে তা নির্ধারণ করে দেওয়ার কাজ করে দেয়। আজ আমেরিকার প্রায় প্রত্যেকটি চেন খাবারের কোম্পানিই, এই কাজে, এই সফটওয়ারটি ব্যবহার করে। ম্যাকডোনাল্ড তার বেড়ে ওঠার কাজে যে সে তার ক্রেতাদেরও
ওপরে, পাতি বাঙলায় গয়েন্দাগিরি, ভদ্রভাষায় গবেষণা করতে ছাড়েনা, তার প্রমান তুলে
দিয়েছেন এরিক। এক বেচু কোম্পানির বেচুবাবুকে উদ্ধৃত করে এরিক বলছেন ম্যাকডোনাল্ড, “spy
on their customers with the same equipment once used to fight the cold war.”।
No comments:
Post a Comment