Chapter 9: What’s In the Meat, মাংসে কি সংক্রমণ?
“A series of tests conducted by Charles
Gerba, a microbiologist at the University of Arizona, discovered far more fecal
bacteria in the average American kitchen sink than on the average American
toilet seat. According to Gerba, ‘You'd be better off eating a carrot stick
that fell in your toilet than one that fell in your sink.’”
অধ্যায়টি শুরু হয় জনৈক লি হারডিংএর জীবনের (দুঃ)ঘটনা
বর্ণনায়। ১৯৯৭তে
হ্যামবার্গার সেবনে তার শরীরে বিষক্রিয়া দেখাদেয়। পরীক্ষাগার বলল সেটিতে ই কোলাই ০১৫৭ঃএইচ৭
ভাইরাস ছিল। অথচ
গরুর মাংসটি কলম্বাসের হাডসনের উচ্চ প্রযুক্তির কারখানায় সদ্য প্রক্রিয়াজাত হয়েছে। সরকারের নির্দেশে সঙ্গে সঙ্গে এই সময়কার
প্রক্রিয়া হওয়ার সব মাংস বাজার থেকে তুলে নেয়। কিন্তু ততক্ষনে সেি বিশাল পরিমাণ মাংস গলার্ধকরণ
করে ফেলেছেন আড়াই কোটি আমেরিকান।
এরিক এই পুরো দুঃস্বপ্নএর দায়
চাপিয়েছেন চটজলদি চেনগুলোর জন্য খাদ্য প্রক্রিয়া করণ শিল্প যে পদ্ধতিতে কাজ করে
তার ওপর। আদতে
আমেরিকার জবাই কারখানাগুলো এতই কেন্দ্রিকৃত যে চোখের পলক ফেলার আগেই, সেই খাদ্যতে
কোনও বিপদ ধরা পড়লে, তা বোঝার আগে, কাজের পদক্ষেপ গ্রহণের আগে বিশাল পরিমাণ
প্রক্রিয়াজাত খাদ্য খেয়ে ফেলে, সংক্রমিত হয়ে পড়েন কয়েক কোটি মানুষ। তিনি মন্তব্য করছেন,
ম্যাকডোনাল্ড বিগত কয়েক বছরে গোটা আমেরিকাজুড়ে এমন এক কেন্দ্রিকৃত ব্যবস্থা তৈরি
করেছেন, যা রোগ ছড়ানোর কাজে যথেষ্ট দঢ়- “extremely
efficient system for spreading the disease”। এবং গত দুই দশকে আমেরিকায় খাদ্যের
মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া
নানা ধরণের ক্ষতিকারক জীবানু আবিষ্কার হয়েছে।
অনেকেই বলছেন, এই নতুন
জীবাণুগুলো আসছে তথাকথিত স্বাস্থ্যবান পশুর থেকে। তার সন্দেহ, জবাই কারখানায়
জবাই হওয়া পশুর সংক্রমিত নাড়িভুঁড়ি, যকৃৎ এবং বর্জ্য পদার্থ থেকে নতুন নতুন এই
জীবাণু ছড়িয়ে যাচ্ছে আশেপাশের অঞ্চলে। যেমন করে ভারতের খাদ্য শৃঙ্খলে
নানান ধরণের রাসায়নিক সারের বেশ বেশি পরিমাণ উপস্থিতি নজর করা গিয়েছে গত কয়েক
দশকের গবেষণায়। তিনি
এপ্রসঙ্গে ইউএসডিএর সমীক্ষা তুলে বলছেন “78.6
percent of the ground beef contained microbes that are spread primarily by
fecal matter.”
এই অধ্যায়ের দ্বিতীয় অংশটিতে
বিশদে আলোচিত হয়েছে, কিভাবে, জবাই কারখানাগুলো সরকারি নজরদারি এড়িয়ে যাচ্ছে এবং সক্রিয়ভাবে
সেই নজরদারির বিরোধিতা করছে। ফলে পরীক্ষা না হওয়া মাংসে বহু জীবাণু ধরা পড়ছে না। ১৯৯৩ সালে জ্যাক ইন দ্য বক্সএর
অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন এরিক। তাদের খাদ্যদ্রব্যে ইকোলাই জীবাণু পাওয়া যায়। এবং এরফলে ৪টি শিশু মারা যায়
এবং ৬০০ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপরে কোম্পানি ডেভিড থেনোকে সুস্বাস্থ্যের দায়িত্ব দেয়। তিনি যে ধরণের কঠোর নিয়ম লাগু
করেন, তাতে ক্রেতারা খুশি। কিন্তু জবাই কোম্পানিগুলো তার কাজ দেখে তাকে নৈরাজ্যবাদী নামে
অভহিত করে। থেনো স্পষ্টভাবে
জবাই কারখনাগুলোর কাজের পদ্ধতি নিয়ে সরব হন এবং বলেন, যারা তার নিয়ম মানবেনা জ্যাক
তাদের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দেবে। তিনি এদের নম্বর দেওয়া শুরু করলেন,
কোম্পানির জবাইএর সময় কি ধরণের জীবাণু পাওয়া যাচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে। তিনি বললেন ইকোলাই সমস্যার সহজ
সমাধান করা সম্ভব।
প্রযুক্তি নয়, চাই দৃঢ ইচ্ছে। এরিক মন্তব্য করছেন এ ধরণের সচেতনতার ফলে কোম্পানির ব্যবহৃত মাংসের দাম
বাড়ল মাত্র ১ পেনি। থেনো কি
কি ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন, সেটি পড়া যে কারোর পক্ষে চোখ খুলে দেওয়ার সামিল। থেনোর নোট বইতে যে জবাই
কোম্পানিগুলো সি বা ডি নম্বর পেত তিনি তাদের হয় আরও ভাল কাজ করার উপদেশ দিয়ে বলতেন
তারা কুকুরের খাবারের মাংস তৈরি করার জন্য বড্ড বেশি উপযুক্ত। লেখক বলছেন, জ্যাক ইন দ্য বক্স
কাণ্ডের পর থেকে বই লেখা সময়, এই ৮ বছরে দেখা গিয়েছে, অন্ততঃ ৫ লক্ষ আমেরিকান
ইকোলাই জীবাণুর দ্বারা আক্রান্ত এবং অসুস্থ হয়েছেন। এবং অনেক সময় এধরনের অসুস্থতা
জানানোই হয় না। অনেকে
সাধারণ খাদ্যে বিষক্রিয়া বলে মনে করেন।
তিনি
বিশদে আলোচনা করেছেন কিভাবে এটি শিশুদের অসুস্থতা, অঙ্গহানি এবং বহু সময় মৃত্যুর
কারন হিসেবে দেখা দেয়। তিনি
বলছেন আপ্টন সিনক্লেয়ারএর দ্য জাঙ্গল উপন্যাসের কথা, “THIS
IS NO FAIRY STORY and no joke,the meat would be shoveled into carts, and the
man who did the
shoveling
would not trouble to lift out a rat even when he saw one — there were things
that went into the sausage in comparison with which a poisoned rat was a
tidbit.”
সিনক্লেয়ার তার জাঙ্গলে, বিশদে লিখেছিলেন নষ্ট, পচে যাওয়া গরুর মাংস বেচার উপযোগী
করার জন্য কি কি ধরণের ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করা হত। এর পর রুজভেল্ট তদন্তের
নির্দেশ দেন এবং এর বিরুদ্ধে যথেষ্ট কঠোর আইন প্রণয়ন করেন।
তিনি আরেকটি খুব গুরুত্বপূর্ণ
বিষয় বিশদে আলোচনা করেছেন, সেটি হল যখন লি হারডিংএরমত দুর্ঘটনা ঘটে, তখন বাজার
থেকে, অর্থাৎ চেন থেকে মাংস বিক্রির বন্ধ করা এবং সেটি ধংস করে ফেলার প্রক্রিয়াটা
উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে বড্ড ঢিলে করে দেওয়া হয়। এবং আমেরিকার এমন কোনও নিয়ম নেই যে,
এধরনের কাণ্ড ঘটলে ইউএসডিএ সরাসরি তৎক্ষণাৎ সেই মাংস ধংস করতে নির্দেশ দিতে পারে। এধরনের ঘটনার সময় ইউএসডিএ এবং
জবাই কারখানাগুলো কখন কিভাবে কত এই ধরণের সংক্রমিত মাংস তুলে নিয়ে ধংস করা হবে তাই
নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে সময় কাটাতে থাকে। এটি স্বাভাবিক, এক দিন আলোচনায় চলে
যাওয়ার অর্থ হল আরও প্রচুর মানুষকে উদ্দেশ্যপুরন ভাবে অসুস্থ হতে সাহায্য করা। ১৯৯৭এর হাডসনের ঘটনার চোখে
আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় এবাবদে সরকারের আইনি সীমাবদ্ধতা। এর পাশাপাশি তিনি বলছেন
কোম্পানিগুলোও কিন্তু মানুষকে এবাবদে সত্যি কথা জানায় না।
সংক্রমণের জন্য যে শুধুই
জবাই কারখানাগুলো দায়ি, এ দাবি কিন্তু এরিক করছেন না। তিনি একই সঙ্গে
রেস্তোরাঁগুলোর দিকেও আঙ্গুল তুলেছেন। তিনি বলছেন যারা রেস্তরাঁয়
রান্না করেন, তাদের মনটা খুলে ধরতে পারলেই আতঙ্কের গল্প ফুটে ওঠে। বহু কর্মচারী বলেছে
তারা সেই রেস্তরাঁর খাবার খায়ই না।
No comments:
Post a Comment