নন্দকুমার ১৭৭২ সালে হেস্টিংসকে রেজা খাঁর খাজনা
আদায় এবং তার দপ্তরের খাজনা তছরুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। হেস্টিংস সে বছর
জুলাইতে মুরশিদাবাদে এসে রেজা খাঁকে বাংলা এবং সিতাব রাইকে বিহারের দেওয়ান থেকে
পদচ্যুত করেন। নন্দকুমারের ছেলে গুরুদাসকে নিযুক্ত করেন মির জাফরের বিধবা, হেস্টিংসের আশ্রিতা, মুন্নি বেগমএর নানান বিষয়
নজরদারির এবং ব্যবস্থাপনা করার জন্য। ১৭৭৫এর মার্চ মাসে নন্দকুমার হেস্টিংসের
বিরুদ্ধে মুন্নি বেগমের থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনেন কাউন্সিলে। হেস্টিংসের প্রবল
বিরোধী ফিলিপ ফ্রান্সিস, জন ক্লেভারিং এবং জর্জ মন্সনের সাহায্য চান নন্দকুমার। মুন্নি বেগমের সতপুত্র নবাব নিজাম
মুবারকঊদ্দউল্লাকে সিংহাসনে বসাবার জন্য হেস্টিংস সে সময়ের মুল্যে ৩ লাখ ৫৪ হাজার
১০৫ টাকা ঘুষ নিয়েছেন(এই টাকা আজকের মুল্যে কত? অন্ততঃ সাদা চোখে একটা হিসেব করা যায়। তখন ভাল চালের মন ছিল ১ টাকা, আজ ২০০০ টাকা(মধ্যবত্ততো, তাই ন্যুনতম ৫০টাকা কিলো ধরে। ১০০, ১৫০ টাকা চালের হিসেবেই যাচ্ছিনা), অর্থাৎ ২০০০ গুণ - সে হিসেবে ৭০ কোটিরও বেশি) ।
এই অভিযোগ এই তিনজনের সামনে তোলেন নন্দকুমার। নন্দকুমার গভর্নর জেনারেলের কাউন্সিলে এই অভিযোগ আনেন। কাউন্সিল কড়া হাতে এর বিচার করতে চাইছে, বুঝে হেস্টিংস তার বিরোধিতা করেন, কেননা, কাউন্সিলে তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। নন্দকুমারকে হেস্টিংস নিচ পশু হিসেবে বর্ণনা করলেন। এক সময় হেস্টিংস স্বীকার করে নেন যে তিনি মুন্নি বেগমের থেকে ফুর্তি(এন্টেরটেনমেন্ট) করার জন্য ১৫০০০ টাকা নিয়েছেন। কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত হয়, এই টাকাটা হেস্টিংসকে কোম্পানির খাজাঞ্চিতে জমা দিতে হবে।
হেস্টিংস এপ্রিলে নন্দকুমারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের
অভিযোগ আনেন। ৬ মে, বিচারপতি ল্যামিস্ট্রে এবং জন হাইড তার বিচার শুরু করে। তার বিরুদ্ধে
জাল ও তছরুপের অভিযোগ আনাহয়। খুব জটিল এবং বৃটিশ আইন আর বিচারের নানান ফাঁকফোকরের
সাহায্য নিয়ে জুন ৮-১৬, এই নয় দিন, এই বিচার প্রহসনে, হেস্টিংসের বন্ধু, সুপ্রিম
কোর্টের প্রধান বিচারপতি, এলাইজা ইম্পে নন্দকুমারকে ফাঁসির সাজা দেন। বিশ্বে এই
প্রথম কোনও ব্যক্তি তছরুপের আর জাল করার দায়ে ফাঁসি গেলেন। নন্দকুমারের মৃত্যুর পর
ছেলে গুরুদাস গৌড়পতি উপাধি পান। ১৭৬৯এ রাজা বাহাদুর। ১৭৯২তে তিনি মারা যান।
কুঞ্জঘাটার বিপরীতে গোয়ালজানে নন্দকুমারের নাতি মহেন্দ্র জমিদারি স্থাপন করেন।এই অভিযোগ এই তিনজনের সামনে তোলেন নন্দকুমার। নন্দকুমার গভর্নর জেনারেলের কাউন্সিলে এই অভিযোগ আনেন। কাউন্সিল কড়া হাতে এর বিচার করতে চাইছে, বুঝে হেস্টিংস তার বিরোধিতা করেন, কেননা, কাউন্সিলে তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। নন্দকুমারকে হেস্টিংস নিচ পশু হিসেবে বর্ণনা করলেন। এক সময় হেস্টিংস স্বীকার করে নেন যে তিনি মুন্নি বেগমের থেকে ফুর্তি(এন্টেরটেনমেন্ট) করার জন্য ১৫০০০ টাকা নিয়েছেন। কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত হয়, এই টাকাটা হেস্টিংসকে কোম্পানির খাজাঞ্চিতে জমা দিতে হবে।
No comments:
Post a Comment