গৌড়(সূত্র উইকি)
কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র (আনুমানিক খ্রীষ্টপূর্ব ৩৫০-২৮৩
অব্দ) গ্রন্থে বঙ্গ, পুণ্ড্র ও কামরূপের সঙ্গে গৌড় রাজ্যেরও নাম
পাওয়া যায়। আরও কয়েকটি প্রাচীন গ্রন্থে এই রাজ্যের উল্লেখ রয়েছে। বরাহমিহিরেরলেখা বৃহৎসংহিতা (আনুমানিক খ্রীষ্টীয় ষষ্ঠ
শতাব্দী) গ্রন্থে ছয়টি পৃথক জনপদের নাম পাওয়া যায়। এই ছয়টি জনপদ ছিল গৌড়ক, পৌণ্ড্র, বঙ্গ, সমতট, বর্ধমান ও তাম্রলিপ্ত। তাঁর বর্ণনা থেকে মনে হয়, আধুনিক কালের মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলা এবং বর্ধমান জেলার পশ্চিমাঞ্চল নিয়ে প্রাচীন
গৌড় অঞ্চল গঠিত ছিল। গৌড় ও বঙ্গ নামদুটি মাঝে মাঝে পাশাপাশি উচ্চারিত হয়েছে। প্রাচীন বাংলার প্রথম সার্বভৌম রাজা ছিলেন শশাঙ্ক। তাঁর রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ (মুর্শিদাবাদ জেলার সদর বহরমপুর থেকে ৯.৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত, আজকের কানসোনা)। আনুমানিক ৫৯০ থেকে ৬২৫ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে তিনি রাজত্ব করেছিলেন। চীনা পর্যটক হিউয়েন সাং কর্ণসুবর্ণ থেকে উড়িষ্যার উপকূলের একটি অঞ্চলে এসে উপস্থিত হন। সমগ্র অঞ্চলটিই শশাঙ্কের রাজ্যভুক্ত ছিল বলে জানা যায়। কোনো কোনো প্রাচীন নথি থেকে জানা যায়, পুণ্ড্রবর্ধনও গৌড়ের অন্তর্গত ছিল।
গৌড়ের পাঁচিল। সামনে ভাঙা পাঁচিলের ইট পড়ে রয়েছে, সীতারামের আঁকা, ১৮১৭ (The walls of Gaur, with heaps of bricks lying around sitaram1817)
ধ্বংসাবশেষের মধ্যে গৌড় স্তম্ভ, ১৭৯৪তে রবার্ট হাইড কোলব্রুকের আঁকা, (Gaur Tower among ruins, (Bengal); a watercolor by Robert Hyde Colebrooke, 1794)
গৌড়ের কেল্লায় কদম রাসুল মসজিদ, ১৮১৭য় সীতারামের আঁকা (View of the Qadam Rasul mosque within the Fort at Gaur sitaram1817)
গৌড়ের পাঁচিলের সামনের দিঘিতে হেস্টিংসের শিবিরের হাতিগুলি স্নান করছে, সীতারাম, ১৮১৭(Walls of Gaur, with a tank in which elephants are bathing, and Lord Hastings' encampment in the foreground, Sita Ram 1817)
কতোয়ালি দরজা, র্যাভেনশ, ১৮৬০এর দশকে তলা ছবি (Kotwali Gate ravenshaw1860)
No comments:
Post a Comment