মুঘল রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য
মুঘল প্রশাসনের আলোচনায় ঢোকার আগে আমাদের বুঝে নিতে হবে মুঘল রাষ্ট্রের চরিত্র এবং তার উদ্দেশ্য।
চরিত্রের দিক থেকে মুঘল রাষ্ট্র ছিল সামরিক শাসনাধীন ফলে তাকে ভারত জুড়ে কেন্দ্রিকৃত একনায়কত্ব চালাতে হয়েছে। দেশের মুসলমান জনসমষ্টির ধর্মগুরু এবং রাষ্ট্র প্রধান হলেন সম্রাট ফলে মুসলমান সমাজের রীতিনীতি সেই সমাজের মান্য ছিল। কিন্তু বিশাল সংখ্যক অমুসলমান প্রজার ওপর তার নিয়ন্ত্রণ ছিল খুব সীমিত। প্রাথমিকভাবে আরক্ষার(পুলিশ) সুরক্ষা দেওয়া আর দ্বিতীয়ত খাজনা/রাজস্ব আদায় – তার বাইরে বিস্তৃত অমুসলমান প্রজাদের ওপর রাষ্ট্রের কোন সামাজিক নিয়ন্ত্রণ ছিল না। জনগণের শিক্ষার দায় রাষ্ট্রের ছিল না। এমন কি ইংলন্ডে এটি রাষ্ট্রের দায় হিসেবে স্বীকৃতি পায় ১৮৭০ সালে। হিন্দু এবং মুসলমান উভয় সমাজের রাজনৈতিক বিশ্বাস ছিল শিক্ষা ধর্মের দাস। ফলে সম্রাট বা পাদশা বা বাদশা যখন কোন শিক্ষার বিকাশে দান দিতেন সেটা দেখা হত তার ব্যক্তিগত ধর্মীয় সাহায্য হিসেবে, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সাহায্য হিসেবে নয়। কিছু বিদ্যালয় পাদশাহী দ্বারা ভর্তুকিতে চলত। দেখাগিয়েছে সেই পাঠশালা চালানো মসজিদ বা শিক্ষা কেন্দ্রে হয় রাজ পরিবারের মানুষ যুক্ত থাকতেন, তাঁরা সেই দান সম্রাটের হয়ে যোগাড় করতেন অথবা সেই শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ধর্মীয় তাত্ত্বিক বা উলেমা তৈরি করা হত বলে অনেক সময় রাষ্ট্র সেইটুকু ক্ষেত্রে দান দিত।
একইভাবে শিল্প আর সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা করাও সম্রাটের অন্যতম ব্যক্তিগত উদ্যোগ ছিল – উদ্দেশ্য তার ব্যক্তিগত বিনোদন, কোনভাবেই জাতীয়/রাষ্ট্রীয় শিল্প কলা প্রসার প্রচার করা নয়। এক্ষেত্রে একজন দেশের ধনীতম ব্যক্তি দেশের প্রজাদের বিষয়ে যা ভাবতেন, এক্ষেত্রে তাঁর বা রাষ্ট্রর ভাবনার খুব তফাত করা যেত না।
সংক্ষেপে বলতে গেলে আজকে বৃহত্তর অর্থে যে সব ক্রিয়াকর্মকে আধুনিক রাষ্ট্রের সামাজিক দায় বলে জানি(সরকার মশাই বইটা লিখছেন কিন্তু ১৯১০ নাগাদ) সেগুলির মূল দায় নেয়নি মুঘল রাষ্ট্র, বরং নীরবে এই দায় চাপিয়ে দিয়েছিল বৃহত্তর সমাজ বা গোষ্ঠী বা জাত ভিত্তিক সামাজিক দায়বদ্ধতার ওপর।
ফলে সরকারের উদ্দেশ্য ছিল যতটা পারাযায় ন্যুনতম সেবা দেওয়া, স্বল্প প্রভাব এবং নিশ্চেষ্ট(সরডিড)।
তো এই চরিত্র এবং উদ্দেশ্য মাথায় রেখে মুঘল সরকারি কাজগপত্র নির্ভর করে প্রশাসনের দীর্ঘ সমীক্ষা আমাদের প্রশাসনকে চিনতে সাহায্য করেছে।
মুঘল প্রশাসনের আলোচনায় ঢোকার আগে আমাদের বুঝে নিতে হবে মুঘল রাষ্ট্রের চরিত্র এবং তার উদ্দেশ্য।
চরিত্রের দিক থেকে মুঘল রাষ্ট্র ছিল সামরিক শাসনাধীন ফলে তাকে ভারত জুড়ে কেন্দ্রিকৃত একনায়কত্ব চালাতে হয়েছে। দেশের মুসলমান জনসমষ্টির ধর্মগুরু এবং রাষ্ট্র প্রধান হলেন সম্রাট ফলে মুসলমান সমাজের রীতিনীতি সেই সমাজের মান্য ছিল। কিন্তু বিশাল সংখ্যক অমুসলমান প্রজার ওপর তার নিয়ন্ত্রণ ছিল খুব সীমিত। প্রাথমিকভাবে আরক্ষার(পুলিশ) সুরক্ষা দেওয়া আর দ্বিতীয়ত খাজনা/রাজস্ব আদায় – তার বাইরে বিস্তৃত অমুসলমান প্রজাদের ওপর রাষ্ট্রের কোন সামাজিক নিয়ন্ত্রণ ছিল না। জনগণের শিক্ষার দায় রাষ্ট্রের ছিল না। এমন কি ইংলন্ডে এটি রাষ্ট্রের দায় হিসেবে স্বীকৃতি পায় ১৮৭০ সালে। হিন্দু এবং মুসলমান উভয় সমাজের রাজনৈতিক বিশ্বাস ছিল শিক্ষা ধর্মের দাস। ফলে সম্রাট বা পাদশা বা বাদশা যখন কোন শিক্ষার বিকাশে দান দিতেন সেটা দেখা হত তার ব্যক্তিগত ধর্মীয় সাহায্য হিসেবে, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সাহায্য হিসেবে নয়। কিছু বিদ্যালয় পাদশাহী দ্বারা ভর্তুকিতে চলত। দেখাগিয়েছে সেই পাঠশালা চালানো মসজিদ বা শিক্ষা কেন্দ্রে হয় রাজ পরিবারের মানুষ যুক্ত থাকতেন, তাঁরা সেই দান সম্রাটের হয়ে যোগাড় করতেন অথবা সেই শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ধর্মীয় তাত্ত্বিক বা উলেমা তৈরি করা হত বলে অনেক সময় রাষ্ট্র সেইটুকু ক্ষেত্রে দান দিত।
একইভাবে শিল্প আর সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা করাও সম্রাটের অন্যতম ব্যক্তিগত উদ্যোগ ছিল – উদ্দেশ্য তার ব্যক্তিগত বিনোদন, কোনভাবেই জাতীয়/রাষ্ট্রীয় শিল্প কলা প্রসার প্রচার করা নয়। এক্ষেত্রে একজন দেশের ধনীতম ব্যক্তি দেশের প্রজাদের বিষয়ে যা ভাবতেন, এক্ষেত্রে তাঁর বা রাষ্ট্রর ভাবনার খুব তফাত করা যেত না।
সংক্ষেপে বলতে গেলে আজকে বৃহত্তর অর্থে যে সব ক্রিয়াকর্মকে আধুনিক রাষ্ট্রের সামাজিক দায় বলে জানি(সরকার মশাই বইটা লিখছেন কিন্তু ১৯১০ নাগাদ) সেগুলির মূল দায় নেয়নি মুঘল রাষ্ট্র, বরং নীরবে এই দায় চাপিয়ে দিয়েছিল বৃহত্তর সমাজ বা গোষ্ঠী বা জাত ভিত্তিক সামাজিক দায়বদ্ধতার ওপর।
ফলে সরকারের উদ্দেশ্য ছিল যতটা পারাযায় ন্যুনতম সেবা দেওয়া, স্বল্প প্রভাব এবং নিশ্চেষ্ট(সরডিড)।
তো এই চরিত্র এবং উদ্দেশ্য মাথায় রেখে মুঘল সরকারি কাজগপত্র নির্ভর করে প্রশাসনের দীর্ঘ সমীক্ষা আমাদের প্রশাসনকে চিনতে সাহায্য করেছে।
No comments:
Post a Comment