ভদ্রলোকীয় উচ্চমন্যতা বনাম ছোটলোকেদের ইতরীয় হীনমন্যতা
(অরূপশঙ্কর মিত্রের প্রকাশনায় কিছু যোগবিয়োগ)
বিনীতভাবে বলি অরূপদা, নিশ্চই চুপ থাকা মাথা নামানো('প্যাসিভ') নিম্নবর্ণ স্পিভাকীয় তত্ত্বে নির্ভর করেন না - কেননা গ্রামীনেরা মধ্যবিত্তের সাধের পশ্চিমি কর্পোরেট ফান্ডিং-সমৃদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা সংস্থা বা রাষ্ট্র পোষিত চাকরিজীবিদের নেতৃত্বের বিপ্লব বাসনায়/ডাকে এগিয়ে আসেন নাই - অথচ পলাশির ছয় বছর পরে যখন বাংলা জোড়া গ্রামীণ যুদ্ধে নেমেছিলেন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে, তখন স্পিভাক-আমার-আপনার পূর্বপুরুষ নিজের দেশের শুদ্রদের তৈরি পরিকাঠামো ধ্বংস করতে ব্রিটিশদের পোষা হয়ে দুটো কাজ করছিলেন - হয় গ্রামীনদের বিপ্লবের দিক থেকে পিঠ ফিরিয়ে নিজেদের আখের গোছাচ্ছিলেন, না হয় পুলিশ সেজে সেই স্বাধীনতা সংগ্রামগুলি ধ্বংস করেছিলেন।
(অরূপশঙ্কর মিত্রের প্রকাশনায় কিছু যোগবিয়োগ)
বিনীতভাবে বলি অরূপদা, নিশ্চই চুপ থাকা মাথা নামানো('প্যাসিভ') নিম্নবর্ণ স্পিভাকীয় তত্ত্বে নির্ভর করেন না - কেননা গ্রামীনেরা মধ্যবিত্তের সাধের পশ্চিমি কর্পোরেট ফান্ডিং-সমৃদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা সংস্থা বা রাষ্ট্র পোষিত চাকরিজীবিদের নেতৃত্বের বিপ্লব বাসনায়/ডাকে এগিয়ে আসেন নাই - অথচ পলাশির ছয় বছর পরে যখন বাংলা জোড়া গ্রামীণ যুদ্ধে নেমেছিলেন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে, তখন স্পিভাক-আমার-আপনার পূর্বপুরুষ নিজের দেশের শুদ্রদের তৈরি পরিকাঠামো ধ্বংস করতে ব্রিটিশদের পোষা হয়ে দুটো কাজ করছিলেন - হয় গ্রামীনদের বিপ্লবের দিক থেকে পিঠ ফিরিয়ে নিজেদের আখের গোছাচ্ছিলেন, না হয় পুলিশ সেজে সেই স্বাধীনতা সংগ্রামগুলি ধ্বংস করেছিলেন।
আমরা আর একটুমাত্র অন্য কিছু কথা বলার অনুমতি চাই - সব ছোটলোকেরাই যদি
হীনম্যতায় ভুগত - তাহলে বাংলার জেলায় জেলায় ইংরেজি মাধ্যমে প্রাথমিকে
বটুদের স্থানাভাব হত - ১০কোটির জনসংখ্যার বাংলায় ১১ লক্ষ মাধ্যমিক দিত না -
তাঁদের অধিকাংশ সগর্বে ইংরেজি বর্জন করেছে... কর্পোরেট জীবনযাত্রা ছুঁড়ে
ফেলে দিয়েছে... ইংরেজি শেখাতে অরবুদ পরিমান সম্পদ ব্যয় করছে সরকার কিন্তু
লবডঙ্কা...
আপনি যাকে 'আপনেরা সব ছিক্ষিত ছমাজের লোক' বলে আখ্যায়িত করছেন সেটাকে যদি সত্যি বলেও ধরে নি; আপনার সম্মানে ভদ্রলোকের বিলাস বলে নাও ধরি, একে কি বলা যায় তাঁরা ইংরেজি শিক্ষাকে, পশ্চিমের প্রতি মধ্যবিত্তর বিকিয়ে দেওয়াকে বাঁকা চোখে দেখা? ফলে আমরা অন্তত আপনার লেখা থেকে এই উপপাদ্যটি প্রমান পেলাম যে এটা আর যাই হোক অন্তত হীনমন্যতা নয়।
নাকউঁচু ভদ্রলোকের নিজেদের সভ্যতা নিয়ে নানান দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে - তারা এই দেশটাকে নিজেদের সভ্যতা বলে মনে করে না - এদেশে জন্মে পদাঘাতই শুধু পেলাম - ভাবনায় রাতের পর রাত কেটে যায় - বুকে পুষে রাখা একখণ্ড ইওরোপ বা হালে আমেরিকা যাঁদের একমাত্র গন্তব্য - আর যারা ব্রিটিশ-আমেরিকা বিদ্বেষী, তাঁরা হয় জার্মান বা ফরাসি বা ইতালিতে মশগুল - তার একটা বড় উদাহরণ আমাদের খুব প্রিয় লেখিক মুজতাবা আলি - খুব একটা কি মতভেদ হবে কি?
কিন্তু যারা গ্রামের মানুষ - গাঁইয়া? তাঁরা নিজেদের জীবনচর্যায় বিন্দুমাত্র হীনমন্যতা, কোন লুকোনো ঘৃণা পোষণ করেন না, দ্বিচারিতা তো নেইই নেই - তাঁরা শেকড়ে দাঁড়িয়ে বাপ দাদার জ্ঞান আর দক্ষতায় কর্পোরেটদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে উৎপাদন ব্যবস্থা চালান, মধ্যবিত্তের চাষা গালাগালি শুনে চাষ করে সারা দেশের মানুষকে খাওয়ান, দেহে বাণ ফোঁড়েন, হত্যে দেন, কীর্তন করেন, পুজো করেন - কিন্তু বসার ঘরে সগর্বে মার্ক্স আর ভিতরের ঘরে ঠাকুরঘর লুকোনোর কারবারে থাকেন না
মধ্যবিত্তের মত গ্রামীনেরা হয়ত মনে করেন না, দেশটা তাঁরা তৈরি করেছেন - সেই বিনয়টুকু তাঁদের বেঁচে থাকার অবলম্বন - হ্যাঁ বুক বাজিয়ে বলি এই দেশটা তাঁরাই তৈরি করেছেন - নেহরু মহলানবিশ থেকে বুদ্ধদেব থেকে মোদি শুধু দেশটাকে পশ্চিমের দালাল কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়ার আর মধ্যবিত্তের বাসযোগ্য করে যাওয়ার চেষ্টা করছেন কয়েক কোটি গ্রামীণ মানুষকে উচ্ছেদ করে, তাঁদের উৎপাদন ব্যবস্থা ধ্বংস করে - মমতা চেষ্টা করছেন সেই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার - এই দেশটার সমাজের ধারক সেই দৃঢপ্রতিজ্ঞ গ্রামীনেরাই - ভদ্রলোকেরদের নৈবিদ্যের চূড়ায় বসিয়ে তাঁরাই দেশটা চালান -
এইটুকুই গরীব, কুসংস্কারাচ্ছন্ন, অজ্ঞ, গাঁইয়া, সামন্ততন্ত্রে ডুবে থাকা, সভ্যতার ষড়ৈশ্বর্য না দেখা একান্ত মুখাবয়বহীন ছোট উৎপাদকদের টুকু কথা-
আপনি যাকে 'আপনেরা সব ছিক্ষিত ছমাজের লোক' বলে আখ্যায়িত করছেন সেটাকে যদি সত্যি বলেও ধরে নি; আপনার সম্মানে ভদ্রলোকের বিলাস বলে নাও ধরি, একে কি বলা যায় তাঁরা ইংরেজি শিক্ষাকে, পশ্চিমের প্রতি মধ্যবিত্তর বিকিয়ে দেওয়াকে বাঁকা চোখে দেখা? ফলে আমরা অন্তত আপনার লেখা থেকে এই উপপাদ্যটি প্রমান পেলাম যে এটা আর যাই হোক অন্তত হীনমন্যতা নয়।
নাকউঁচু ভদ্রলোকের নিজেদের সভ্যতা নিয়ে নানান দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে - তারা এই দেশটাকে নিজেদের সভ্যতা বলে মনে করে না - এদেশে জন্মে পদাঘাতই শুধু পেলাম - ভাবনায় রাতের পর রাত কেটে যায় - বুকে পুষে রাখা একখণ্ড ইওরোপ বা হালে আমেরিকা যাঁদের একমাত্র গন্তব্য - আর যারা ব্রিটিশ-আমেরিকা বিদ্বেষী, তাঁরা হয় জার্মান বা ফরাসি বা ইতালিতে মশগুল - তার একটা বড় উদাহরণ আমাদের খুব প্রিয় লেখিক মুজতাবা আলি - খুব একটা কি মতভেদ হবে কি?
কিন্তু যারা গ্রামের মানুষ - গাঁইয়া? তাঁরা নিজেদের জীবনচর্যায় বিন্দুমাত্র হীনমন্যতা, কোন লুকোনো ঘৃণা পোষণ করেন না, দ্বিচারিতা তো নেইই নেই - তাঁরা শেকড়ে দাঁড়িয়ে বাপ দাদার জ্ঞান আর দক্ষতায় কর্পোরেটদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে উৎপাদন ব্যবস্থা চালান, মধ্যবিত্তের চাষা গালাগালি শুনে চাষ করে সারা দেশের মানুষকে খাওয়ান, দেহে বাণ ফোঁড়েন, হত্যে দেন, কীর্তন করেন, পুজো করেন - কিন্তু বসার ঘরে সগর্বে মার্ক্স আর ভিতরের ঘরে ঠাকুরঘর লুকোনোর কারবারে থাকেন না
মধ্যবিত্তের মত গ্রামীনেরা হয়ত মনে করেন না, দেশটা তাঁরা তৈরি করেছেন - সেই বিনয়টুকু তাঁদের বেঁচে থাকার অবলম্বন - হ্যাঁ বুক বাজিয়ে বলি এই দেশটা তাঁরাই তৈরি করেছেন - নেহরু মহলানবিশ থেকে বুদ্ধদেব থেকে মোদি শুধু দেশটাকে পশ্চিমের দালাল কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়ার আর মধ্যবিত্তের বাসযোগ্য করে যাওয়ার চেষ্টা করছেন কয়েক কোটি গ্রামীণ মানুষকে উচ্ছেদ করে, তাঁদের উৎপাদন ব্যবস্থা ধ্বংস করে - মমতা চেষ্টা করছেন সেই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার - এই দেশটার সমাজের ধারক সেই দৃঢপ্রতিজ্ঞ গ্রামীনেরাই - ভদ্রলোকেরদের নৈবিদ্যের চূড়ায় বসিয়ে তাঁরাই দেশটা চালান -
এইটুকুই গরীব, কুসংস্কারাচ্ছন্ন, অজ্ঞ, গাঁইয়া, সামন্ততন্ত্রে ডুবে থাকা, সভ্যতার ষড়ৈশ্বর্য না দেখা একান্ত মুখাবয়বহীন ছোট উৎপাদকদের টুকু কথা-
No comments:
Post a Comment