১। গ্রামের বিকাশকে, গ্রাম বাংলার পরম্পরা উৎপাদনের বিকাশে বাংলার
স্বার্থবাহী হতে দিতে হবে - কর্পোরেট মিল মালিক নয়, বড় পুঁজির স্বার্থ নয়,
বাংলার পরম্পরার গ্রামীণ উতপাদক/তাঁতিদের স্বার্থ আগে দেখতে হবে -
(৩০৭৮২৯ তাঁত, ৭০৩৯১০৩তাঁতি)
২। গ্রামের ৩০ লক্ষ পরম্পরার উৎপাদক পরিবার, পরিবারে ৫ জন ধরলে মোট দেড় কোটি মানুষ(যাদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা সংখ্যাগরিষ্ঠ) এবং তাঁদের উতপাদনের ওপর নির্ভরশীল বিপুল পরিমান গ্রামীনের জীবন জীবিকার স্বার্থ সরাসরি দেখতে হবে - তাতে বাংলার গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ হবে, স্থানীয়ভাবে কর্মক্ষেত্রের বিকাশ হবে, তৈরি হওয়া সম্পদ বাংলাতেই থাকবে, গ্রামের টাকা গ্রামেই থাকবে এবং সেই উৎপাদনের যদি কিছু উদবৃত্ত হয়, তা গ্রামের বাইরে বিতরণের স্বার্থ দেখতে হবে -
৩। ৩০ লক্ষ পরিবারের পরম্পরার গ্রাম উদ্যোগী/বিতরকদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে রাজ্য সরকারকে নতুন মন্ত্রক তৈরি করতে হবে - বর্তমানে ক্ষুদ্র, কুটির শিল্প মন্ত্রকের যে মৌল উদ্দেশ্য-নীতি বর্তমান, তা দিয়ে গ্রামীন উৎপাদক/বিতরকদের স্বার্থ রক্ষা হয় না - কেননা মন্ত্রকের ক্ষুদ্র শিল্প হয়ে ওঠার যোগ্যতার নির্দেশিকা হল, সেবা ক্ষেত্রে ১০ লাখ টাকা ন্যুনতম বিনিয়োগ আর উতপাদনে ২৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ - এই বিপুল টাকাটা হয়ত সারা জীবন ধরে একজন পরম্পরার গ্রাম উতপাদক রোজগারই করতে পারেন না - উৎপাদন ব্যবস্থার তৈরি করার জন্য হয়ত ঋণই করতেই হয় না - ফলে হয়ত ব্যঙ্কেই যেতে হয় না তাঁকে - তাঁদের পুঁজি, বংশ পরম্পরায় জারিত দক্ষতা, জ্ঞান আর তাঁর আর তাঁর পরিবারের শ্রম, স্থনীয় কাঁচা মাল - গ্রামীন উৎপাদক ব্যাঙ্কে ধার পাওয়ার যোগ্যতায় উৎপাদন করেন না - তাঁর উতপাদন পরিবেশে ব্যাঙ্কের ভূমিকা প্রায় শূন্য, নগন্য বললেই হয়-
৪। গ্রামীণ উতপাদকেদের পরম্পরা উতপাদন পরিকাঠামো বহু শত বছর ধরে গ্রামেই বিকশিত হয়েছে, ফলে তার পরম্পরার উতপাদনের কাজ শিল্প তালুকে হওয়া অসম্ভব, কেননা ১। তাঁদের বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় না প্রায়, ২। তাঁদের কাঁচামাল গ্রামেই পাওয়া যায়, ৩। উৎপাদনে সাহায্যকারী মূলত পরিবারের মানুষজন, বা গ্রামের প্রতিবেশী, ৪। বেশি স্থান প্রয়োজন হয় না, তাঁর বাড়ির উঠোনটাই যথেষ্ট, ৫। গ্রামীণ পরিবেশে, বাড়ির পরিবেশে সে অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ, ফলে তাঁর উৎপাদন গ্রামেই হোক তাতে তাঁর উৎপাদন করার প্রবনতা বাড়বে, বাজার পাবে, গুনমান ভাল হবে,
৫। তাঁদের রোজগার বাড়াতে প্রয়োজনে গ্রামে 'হোম স্টে' ভিত্তিক কারু ভ্রমণ পরিকল্পনা তৈরি করা যেতে পারে, যাতে ক্রেতা সরাসরি তার উৎপাদন কিনে নিতে পারেন, সঙ্গে বাড়তি পাওনা পরম্পরার বাংলার প্রযুক্তি, স্থানীয় খাবার এবং স্থানীয় উৎপাদন ব্যবস্থা দেখারও সুযোগ হয় ভ্রমণকারীর
৬। তাঁতি কৃষক আর গ্রাম উতপাদকেরা/তাঁতিরা যাতে বড় পুঁজির কাছে হেরে উচ্ছেদ না হয়ে যান তার জন্য সঠিক ব্যবস্থা নিতে হবে - ফুলিয়া সহ তাঁতি গ্রামগুলোয় শাড়ি তৈরির বিদ্যুতের কল বসে গিয়েছে, তাতে ব্যবহার হচ্ছে চিন থেকে আনা সুতো, যা অনেকটা সুতির মত দেখতে, কিন্তু তা পলিয়েস্টার - তাঁদের তৈরি শড়ি হয় টাঙ্গাইল বা শান্তিপুরী নাম দিয়ে বাজারে বিক্রি হচ্ছে - একবার ধুলে আর পরা যায় না, কুঁচকে যায় - বদনাম হয় হাতে চালানো তাঁতের তাঁতিদের - এই বিদ্যুতের কলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে-
৭। গ্রাম উতপাদকেদের পণ্য কেনার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে - সরকারের দৈনন্দিন ব্যবহৃত, দপ্তর সাজানোর, উপহার দেওয়ার নানান দ্রব্য চিহ্নিত করে এই উতপাদকেদের থেকে সরকারকে অগ্রাধিকার দিয়ে কিনতে হবে - ঠিক যেমন করে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় মুখ্যমন্ত্রী থাকালীন হিন্দুস্থান মোটর্স থেকে সরকারের জন্য কেবল তদের উতপাদিত মোটরগাড়িই কিনতেন, বা লালুপ্রসাদ যাদব রেলে চা সেবনের জন্য কুমোরদের তৈরি ভাঁড় সংরক্ষিত করেছিলেন, সেই ভাবেই এই বাংলার উতপাদকেদের থেকে সরকারের প্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনার পথ প্রদর্শন করতে হবে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে -
৮। যে সব শিল্পীদের চাঁদা ভিত্তিক সংগঠন, তাঁদের মত করে গ্রামে ধ্বংস হয়ে যাওয়া শিল্প পরিকাঠামো বিকাশেত কাজ করছে, তাঁদের কাজে উৎসাহ দিতে হবে - উদাহরণস্বরূপ, নীলাম্বরী, পীতাম্বরী, রক্তাম্বরী আর শ্বেতাম্বরী শাড়ি তৈরির একটা পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে ফুলিয়ায় - সঙ্গগঠনের উদ্যোগে মহিলা চরকা কাটনি দিয়ে দেশী তুলো থেকে সুতো কাটিয়ে, প্রাকৃতিক রং তৈরি করে তা দিয়ে ঠকঠকি তাঁতে চারটি রঙে শাড়ি বোনানো হয় - এতে বিপুল পরিমান গ্রামীণ বিশেষ করে মহিলার রোজগার বাড়ে - গ্রামের মানুষের হাতে অর্থ আসে এবং গ্রামের অর্থনীতি জোরদার হয় আর সর্বশ্রেণীর মানুষের স্বচ্ছলতা বাড়ে - অতএব পরিকাঠমো বিকাশের কাজে যে সব পরম্পরার শিল্পী সমাজ জড়িয়ে রয়েছে, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে সরকারকে-
৯। পলাশির পর বাংলার ছোট উৎপাদক আর অভিকর শিল্পীদের যদি কোন সরকার দেখে থাকেন, তা হলে, সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার - ভারতে ব্যতিক্রমী লোক প্রসার প্রকল্প বাংলার সমাজে বিশাল পরিবর্তন এনেছে - আমাদের দাবি এই লোকপ্রসার প্রকল্পের প্রসার আরও বাড়াতে হবে হস্ত শিল্পী আর তাঁতিদের জীবনে-
১০। গ্রামে যে বাজার/হাট রয়েছে সেগুলির পরিকাঠামো আরও জোরদার করতে হবে -
১১। গ্রাম আর গ্রামীণ পরিকাঠামো বিকাশে যে প্রকল্পগুলি বিগত সরকার নিয়েছে সেগুলিকে চালিয়ে যেতে হবে আরও জোরদার করতে হবে-
১২। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পিত ব্রান্ড বিশ্ববাংলার বাজার বাড়াতে হবে - শুধু উচ্চশ্রেণীর নয় মধ্যবিত্তের জন্য দেশিয় পণ্যের বাজার খুলতে হবে - গ্রাম শিল্পীদের যে সব সংগঠন তাঁদের সদস্যদের উৎপাদন বাজারে নিয়ে আসার কাজ করছে তাঁদের উৎসাহ দিতে হবে -
১৩। পরম্পরার দক্ষতা আর জ্ঞান নথিকরণ করতে হবে, এটি সমাজে যাতে আরও ছড়িয়ে দেওয়া যায়, সম্মানের স্থান পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে-
১৪। বড় কারখানা নয় ছোট বিনিয়গের সম্ভাবনা তৈরি করতে হবে - মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যাকে বলেছেন তেলেভাজা শিল্প - তাঁকে সাধারণভাবে ধরে সেই ব্যবস্থার নষ্ট হয়ে যাওয়া বাস্তুতন্ত্র নতুন করে তৈরি করতে হবে-
১৫। এই পুনর্গঠনের কাজ করতে গেলে গ্রামীনদের স্বাস্থ্য রক্ষা খুব জরুরি, তাই গ্রামীন/জেলা/শহর হাসপাতালগুলোর ওপর চাপ কমাতে, দেশিয় গ্রামীন(শুধু আয়ুর্বেদ নয়) চিকিৎসা ব্যবস্থাকে জোরদার করতে হবে। সেই ব্যবস্থার ওপর বহু মানুষ আজও নির্ভরশীল, তাকে বাঁচাতে হবে। গ্রামীণ গাছগাছড়া দিয়ে ওষুধ তৈরির কাজকে স্বীকৃতি দিতে হবে। তাকে বড় পুঁজির স্বার্থ নির্ভর করা যাবে না। গ্রামীণ চিকিতসকেদের, গ্রামীণ দাইদের জ্ঞান রক্ষা, প্রয়োগ করতে হবে, তাঁদের স্বীকৃতি দিতে হবে, উৎসাহ দিতে হবে।
(৩০৭৮২৯ তাঁত, ৭০৩৯১০৩তাঁতি)
২। গ্রামের ৩০ লক্ষ পরম্পরার উৎপাদক পরিবার, পরিবারে ৫ জন ধরলে মোট দেড় কোটি মানুষ(যাদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা সংখ্যাগরিষ্ঠ) এবং তাঁদের উতপাদনের ওপর নির্ভরশীল বিপুল পরিমান গ্রামীনের জীবন জীবিকার স্বার্থ সরাসরি দেখতে হবে - তাতে বাংলার গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ হবে, স্থানীয়ভাবে কর্মক্ষেত্রের বিকাশ হবে, তৈরি হওয়া সম্পদ বাংলাতেই থাকবে, গ্রামের টাকা গ্রামেই থাকবে এবং সেই উৎপাদনের যদি কিছু উদবৃত্ত হয়, তা গ্রামের বাইরে বিতরণের স্বার্থ দেখতে হবে -
৩। ৩০ লক্ষ পরিবারের পরম্পরার গ্রাম উদ্যোগী/বিতরকদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে রাজ্য সরকারকে নতুন মন্ত্রক তৈরি করতে হবে - বর্তমানে ক্ষুদ্র, কুটির শিল্প মন্ত্রকের যে মৌল উদ্দেশ্য-নীতি বর্তমান, তা দিয়ে গ্রামীন উৎপাদক/বিতরকদের স্বার্থ রক্ষা হয় না - কেননা মন্ত্রকের ক্ষুদ্র শিল্প হয়ে ওঠার যোগ্যতার নির্দেশিকা হল, সেবা ক্ষেত্রে ১০ লাখ টাকা ন্যুনতম বিনিয়োগ আর উতপাদনে ২৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ - এই বিপুল টাকাটা হয়ত সারা জীবন ধরে একজন পরম্পরার গ্রাম উতপাদক রোজগারই করতে পারেন না - উৎপাদন ব্যবস্থার তৈরি করার জন্য হয়ত ঋণই করতেই হয় না - ফলে হয়ত ব্যঙ্কেই যেতে হয় না তাঁকে - তাঁদের পুঁজি, বংশ পরম্পরায় জারিত দক্ষতা, জ্ঞান আর তাঁর আর তাঁর পরিবারের শ্রম, স্থনীয় কাঁচা মাল - গ্রামীন উৎপাদক ব্যাঙ্কে ধার পাওয়ার যোগ্যতায় উৎপাদন করেন না - তাঁর উতপাদন পরিবেশে ব্যাঙ্কের ভূমিকা প্রায় শূন্য, নগন্য বললেই হয়-
৪। গ্রামীণ উতপাদকেদের পরম্পরা উতপাদন পরিকাঠামো বহু শত বছর ধরে গ্রামেই বিকশিত হয়েছে, ফলে তার পরম্পরার উতপাদনের কাজ শিল্প তালুকে হওয়া অসম্ভব, কেননা ১। তাঁদের বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় না প্রায়, ২। তাঁদের কাঁচামাল গ্রামেই পাওয়া যায়, ৩। উৎপাদনে সাহায্যকারী মূলত পরিবারের মানুষজন, বা গ্রামের প্রতিবেশী, ৪। বেশি স্থান প্রয়োজন হয় না, তাঁর বাড়ির উঠোনটাই যথেষ্ট, ৫। গ্রামীণ পরিবেশে, বাড়ির পরিবেশে সে অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ, ফলে তাঁর উৎপাদন গ্রামেই হোক তাতে তাঁর উৎপাদন করার প্রবনতা বাড়বে, বাজার পাবে, গুনমান ভাল হবে,
৫। তাঁদের রোজগার বাড়াতে প্রয়োজনে গ্রামে 'হোম স্টে' ভিত্তিক কারু ভ্রমণ পরিকল্পনা তৈরি করা যেতে পারে, যাতে ক্রেতা সরাসরি তার উৎপাদন কিনে নিতে পারেন, সঙ্গে বাড়তি পাওনা পরম্পরার বাংলার প্রযুক্তি, স্থানীয় খাবার এবং স্থানীয় উৎপাদন ব্যবস্থা দেখারও সুযোগ হয় ভ্রমণকারীর
৬। তাঁতি কৃষক আর গ্রাম উতপাদকেরা/তাঁতিরা যাতে বড় পুঁজির কাছে হেরে উচ্ছেদ না হয়ে যান তার জন্য সঠিক ব্যবস্থা নিতে হবে - ফুলিয়া সহ তাঁতি গ্রামগুলোয় শাড়ি তৈরির বিদ্যুতের কল বসে গিয়েছে, তাতে ব্যবহার হচ্ছে চিন থেকে আনা সুতো, যা অনেকটা সুতির মত দেখতে, কিন্তু তা পলিয়েস্টার - তাঁদের তৈরি শড়ি হয় টাঙ্গাইল বা শান্তিপুরী নাম দিয়ে বাজারে বিক্রি হচ্ছে - একবার ধুলে আর পরা যায় না, কুঁচকে যায় - বদনাম হয় হাতে চালানো তাঁতের তাঁতিদের - এই বিদ্যুতের কলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে-
৭। গ্রাম উতপাদকেদের পণ্য কেনার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে - সরকারের দৈনন্দিন ব্যবহৃত, দপ্তর সাজানোর, উপহার দেওয়ার নানান দ্রব্য চিহ্নিত করে এই উতপাদকেদের থেকে সরকারকে অগ্রাধিকার দিয়ে কিনতে হবে - ঠিক যেমন করে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় মুখ্যমন্ত্রী থাকালীন হিন্দুস্থান মোটর্স থেকে সরকারের জন্য কেবল তদের উতপাদিত মোটরগাড়িই কিনতেন, বা লালুপ্রসাদ যাদব রেলে চা সেবনের জন্য কুমোরদের তৈরি ভাঁড় সংরক্ষিত করেছিলেন, সেই ভাবেই এই বাংলার উতপাদকেদের থেকে সরকারের প্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনার পথ প্রদর্শন করতে হবে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে -
৮। যে সব শিল্পীদের চাঁদা ভিত্তিক সংগঠন, তাঁদের মত করে গ্রামে ধ্বংস হয়ে যাওয়া শিল্প পরিকাঠামো বিকাশেত কাজ করছে, তাঁদের কাজে উৎসাহ দিতে হবে - উদাহরণস্বরূপ, নীলাম্বরী, পীতাম্বরী, রক্তাম্বরী আর শ্বেতাম্বরী শাড়ি তৈরির একটা পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে ফুলিয়ায় - সঙ্গগঠনের উদ্যোগে মহিলা চরকা কাটনি দিয়ে দেশী তুলো থেকে সুতো কাটিয়ে, প্রাকৃতিক রং তৈরি করে তা দিয়ে ঠকঠকি তাঁতে চারটি রঙে শাড়ি বোনানো হয় - এতে বিপুল পরিমান গ্রামীণ বিশেষ করে মহিলার রোজগার বাড়ে - গ্রামের মানুষের হাতে অর্থ আসে এবং গ্রামের অর্থনীতি জোরদার হয় আর সর্বশ্রেণীর মানুষের স্বচ্ছলতা বাড়ে - অতএব পরিকাঠমো বিকাশের কাজে যে সব পরম্পরার শিল্পী সমাজ জড়িয়ে রয়েছে, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে সরকারকে-
৯। পলাশির পর বাংলার ছোট উৎপাদক আর অভিকর শিল্পীদের যদি কোন সরকার দেখে থাকেন, তা হলে, সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার - ভারতে ব্যতিক্রমী লোক প্রসার প্রকল্প বাংলার সমাজে বিশাল পরিবর্তন এনেছে - আমাদের দাবি এই লোকপ্রসার প্রকল্পের প্রসার আরও বাড়াতে হবে হস্ত শিল্পী আর তাঁতিদের জীবনে-
১০। গ্রামে যে বাজার/হাট রয়েছে সেগুলির পরিকাঠামো আরও জোরদার করতে হবে -
১১। গ্রাম আর গ্রামীণ পরিকাঠামো বিকাশে যে প্রকল্পগুলি বিগত সরকার নিয়েছে সেগুলিকে চালিয়ে যেতে হবে আরও জোরদার করতে হবে-
১২। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পিত ব্রান্ড বিশ্ববাংলার বাজার বাড়াতে হবে - শুধু উচ্চশ্রেণীর নয় মধ্যবিত্তের জন্য দেশিয় পণ্যের বাজার খুলতে হবে - গ্রাম শিল্পীদের যে সব সংগঠন তাঁদের সদস্যদের উৎপাদন বাজারে নিয়ে আসার কাজ করছে তাঁদের উৎসাহ দিতে হবে -
১৩। পরম্পরার দক্ষতা আর জ্ঞান নথিকরণ করতে হবে, এটি সমাজে যাতে আরও ছড়িয়ে দেওয়া যায়, সম্মানের স্থান পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে-
১৪। বড় কারখানা নয় ছোট বিনিয়গের সম্ভাবনা তৈরি করতে হবে - মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যাকে বলেছেন তেলেভাজা শিল্প - তাঁকে সাধারণভাবে ধরে সেই ব্যবস্থার নষ্ট হয়ে যাওয়া বাস্তুতন্ত্র নতুন করে তৈরি করতে হবে-
১৫। এই পুনর্গঠনের কাজ করতে গেলে গ্রামীনদের স্বাস্থ্য রক্ষা খুব জরুরি, তাই গ্রামীন/জেলা/শহর হাসপাতালগুলোর ওপর চাপ কমাতে, দেশিয় গ্রামীন(শুধু আয়ুর্বেদ নয়) চিকিৎসা ব্যবস্থাকে জোরদার করতে হবে। সেই ব্যবস্থার ওপর বহু মানুষ আজও নির্ভরশীল, তাকে বাঁচাতে হবে। গ্রামীণ গাছগাছড়া দিয়ে ওষুধ তৈরির কাজকে স্বীকৃতি দিতে হবে। তাকে বড় পুঁজির স্বার্থ নির্ভর করা যাবে না। গ্রামীণ চিকিতসকেদের, গ্রামীণ দাইদের জ্ঞান রক্ষা, প্রয়োগ করতে হবে, তাঁদের স্বীকৃতি দিতে হবে, উৎসাহ দিতে হবে।
No comments:
Post a Comment