গত কয়েকশ বছর ধরেই ভারতীয় নানান শাস্ত্রে বিপুল বিশাল সংখ্যার আধিক্য নিয়ে
পশ্চিমি ঐতিহাসিক, সমাজতাত্ত্বিকেরা খুব হাসাহাসি করেছেন, বাঁকা কথা
বলেছেন। প্রয়োগ নেই, মানে নেই এমন কিছু বিশালতম বা ক্ষুদ্রতম সংখ্যা নিয়ে
পুরাণকার(আদতে এদেশের ঐতিহাসিকেরা)দের উৎসাহ নিয়ে তাঁদের কটু মন্তব্য বেশ
প্রতুলই। যেমন বিনয় ঘোষ/সরকার বা বড় দেবীবাবুর রচনায় পুরাণকারদের ব্যবহৃত এ
ধরণের অঙ্ক ব্যবহারের বিরুদ্ধউক্তি আজও পশ্চিমি জ্ঞানচর্চকদের মুখে মুখে
ঘোরে। আমরা যারা ছোটবেলা থেকেই পশ্চিমি জ্ঞানচর্চা্র মানুষদের
ভারতীয় জ্ঞানচর্চা, ইতিহাসচর্চা বিষয়ে উন্নাসিকতার পরিবেশে শিক্ষিত হয়ে
উঠে, নিজেদের(মানে ব্রিটিশপূর্ব) সভ্যতা নিয়ে কথা বলার উৎসাহ, নিজেদের
জ্ঞানচর্চা, নিজেদের শিক্ষাপদ্ধতির কথা বলতে গিয়ে রক্ষণশীল হয়ে পড়ি - কেননা
সে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য কেউই প্রস্তুত নই – কেননা সেই আলোচনা
খুব একটা এই পরিসরে হয় না।
ভারত শুদ্র সভ্যতার জ্ঞানচর্চার পক্ষে(রামায়ণ এবং মহাভারতের রচয়িতা কিন্তুই শুদ্র) দাঁড়িয়ে একটা কথা বলা দরকার, যে তাঁরা সেই সংখ্যা ভাবার পরিকাঠামো তৈরি করে সেই খুব বৃহত আর খুব ক্ষুদ্র সংখ্যা ভাবার পরিবেশ তৈরি করেছিলেন। এবং পশ্চিম(প্রাতিষ্ঠানিক খ্রিষ্টধর্ম আচারিত অঙ্ক – যাকে আন্তর্জাতিক অঙ্ক নাম দিয়েছে পশ্চিম, যার উৎস নাকি প্রাচীন গ্রিসে, যে গ্রীসে শুন্যের ধারণাটাই ছিল না) বিগত চারশ বছর আগেও যেহেতু শূন্যকে শয়তানের প্রতিভূ বলে মনে করত ফলে সে বিশালতম বা ক্ষুদ্রতম অঙ্কের কাজ করবে কি করে। শেষে ইওরোপ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া জেসুইট পাদ্রিদের ভারত সভ্যতা নথি করণে দশমিক অঙ্ক ব্যবস্থা গৃহীত হল। তার পরে ইওরোপে শুরু হল বড় অঙ্ক করার পরবেশ।
ভারতে বড় অঙ্ক ভাবার সেই পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন ছিল কেননা দু সহস্র বছর ধরে ভারত পৃথিবীর ব্যাস বা আলোর গতিবেগ, বিভিন্ন নক্ষত্রের স্থান নির্ণয়, ধুমকেতুর পথ বা দশমিকের পরে ছাপান্নটি সংখ্যায় পাইএর মান নির্ণয় করে ফেলেছে।
তো এই পর্বে আমরা আলোচনা করব কত বড় সংখ্যা নিয়ে ভারতীয় শাস্ত্রবিদেরা আলোচনা করেছেন। সরস্বতী-হরপ্পা সভ্যতায় দশমিক ব্যবস্থার প্রয়োগ শুরু হয়ে গিয়েছে। মাইকেল ড্যানিনো বলছেন, সেই ধ্বংস হওয়া সভ্যতার জ্ঞানচর্চার রেশ চারিয়ে যাচ্ছে তার পূর্বের দিকে গড়ে ওঠা সভ্যতায়। যজুর্বেদে ঘাত হিসেবে এক(১০০) থেকে পরার্ধ(১০১২) পর্যন্ত আলোচনা করা হয়েছে(এই খেয়েছে ১০এর ঘাত বা আজকের ভাষায় টু দ্য পাওয়ার তো লেখা যাচ্ছে না ফেবুতে। পাঠকেরা দয়া করে দশের পরে যে অঙ্কটি আছে সেটিকে তার ঘাত হিসেবে পড়ুন)।
রামায়ণে রাবণের সৈন্য সংখ্যা বলা হয়েছে ১০১২ + ১০৫ + ৩৬(১০১০)। তার বিপরীতে যে সৈন্য বাহিনী রাম দাঁড়িয়ে রয়েছে তার সংখ্যা হল ১০১০ + ১০১৪ +১০২০ + ১০২৪ + ১০৩০ + ১০৩৪ + ১০৪০ + ১০৪৪ + ১০৫২ + ১০৫৭ + ১০৬২ + ৫ জন। এই প্রত্যেকটি ঘাতের নাম দেওয়া হয়েছে।
এর সঙ্গে গ্রিক সভ্যতার বড় সংখ্যার তুলনা করুণ ১০৪ এর ওপরে তাঁদের সংখ্যার নামই নেই – সাধে কি আর বার্ণল সাদা গ্রিস সভ্যতা নিয়ে হেসেছেন – আর বাংলার নাট্য বা জ্ঞনচর্চায় গ্রিসের নামে শিক্ষিত ভদ্রলোকেদের দুই কর জোড় হয়ে মাথায় উঠে যায়।
বা জৈন অঙ্কে আরও বড় সংখ্যা আলোচনা করা হচ্ছে ১ পূরবী = ৭৫৬ গুণ ১০১১ দিন; আর ১ শীর্ষ প্রহেলিকা = ৮৪০০০০০২৮ পূরবী(২৮ টা হল ৮৪০০০০০ ঘাত)। হিসেব করলে দেখা যাবে শীর্ষ প্রহেলিকায় রয়েছে ১৯৪টা সংখ্যা। আজও আমরা প্রহেলিকা শব্দটা ব্যবহার করি তার সূত্র না জেনেই।
১০ ঘাতের ক্রমাংক ধরে অতীত ভারতে প্রত্যেকটির নাম তৈরি করা হয়েছেল। আজকে যেমন আমরা খুব সহজেই ১৬৪৮৩৭৬কে ভেঙে বলতে পারি ১৬ লক্ষ ৪৮ হাজার তিনশ ছিয়াত্তর। যে ক্রমাঙ্কে সঙ্খ্যাগুলি বসেছে, সেটির একটি ওলটপালট হয়ে গেলেই গোটা সঙ্খ্যাই পালটে যাবে – এবং এই ব্যবস্থায় আসতে কত সহস্র বছর কেটেছে আমরা আজ হয়ত জানি না, বুঝিই না। এবার শুধু ভাবুন যে গুণীরা অতীত ভারতীয়দের বড় সংখ্যা ভাবা নিয়ে আজও কটাক্ষ করে চলেছেন, তাঁদের প্রিয় সভ্যতার রোমিয় অক্ষর দিয়ে যদি আমাদের আলোচ্য এই ছোটতম ১৬৪৮৩৭৬ সঙ্খ্যাকে প্রকাশ করতে হত? সেটা সাতটা সঙ্খায় আবদ্ধ থাকত না সাতের কয়েকশ গুণ সংখ্যা ব্যবহার করতে হত।
যেমন প্রথমে ভূত-সংখ্যা ৯টি সঙ্খার নাম দেওয়া হল। তাকে মনে রাখার জন্য জুড়ে দেওয়া হল প্রাত্যহিক জীবনে ব্যব্যহৃত কিছু ছবি/ধারণা। এক সূর্য/চন্দ্র, ২ পক্ষ/চোখ, ৩ নেত্র(শিবের), চার বেদ ইত্যাদি – এগুলিকে পর পর বসিয়ে পাওয়া যেত অঙ্ক বেদ সূর্য পক্ষ হল ২১৪(অঙ্কস্য বামগতি ধরে)। পরে এ নিয়ে আরও কথা বলা যাবে –ভারতে কোন কিছুরই স্টন্ডার্ডাইজেশন করা হয় নি - পক্ষ কোন জ্ঞানচর্চায় ২ আবার কোন জ্ঞানচর্চায় ১৫ রূপে ব্যবহৃত হত – এই বৈচিত্রতে ভারত সভ্যতা বেড়ছে, জোরদার হয়েছে। এর পর দশের সঙ্গে ১, ২, ৩ গুণ করে পেলাম দু সংখ্যার দশ, বিশ, ত্রিশ, চল্লিশ ইত্যাদি। এর পরে ১০এর ঘাতে ব্যবহৃত হল ১, ২, ৩ তৈরি হয়ে এল শত, সহস্র, আযুত, নিযুত, প্রযুত, অর্বুদ, নির্বুদ, সমুদ্র, মধ্য, অন্ত্য, পরার্ধ ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। এই নামগুলির মধ্যে আমরা কিন্তু অঙ্ক ক্রিয়ারও নাম দিলাম যেমন ৫০-১ উনপঞ্চাশ।
এই নামগুলি দেওয়ার বড় কারণ হল মৌখিক জ্ঞানচর্চাকে সম্মান জানানো। আজ যেমন সাধারণ অঙ্ক করতে আমরা ক্যালকুলেটর ব্যবহার করি, সেকালে কেন কয়েক দশক আগেও এমনকি শহরেও অঙ্কের সূত্রগুলি ধরে সাধারণ মানুষ মৌখিকভাবেই মানসাঙ্ক করতেন। তার জন্য খাতা কলমের আয়োজনের প্রয়োজন পড়ত না। যে মানুষটা্র ওপর নির্ভর করে বণিকেরা সমুদ্রে ভেসেছেন বিপুল সম্পদ নিয়ে, তিনি কলণবিদ্যা অনুসরণ করে মানসাঙ্কতেই সূর্যের রশ্মির নতি মেপে নৌবহরটার দিক নির্ণয় করতেন, আর ছিল কমল নামক একটি যন্ত্র। ব্যাস।
এই দক্ষতা আর জ্ঞানচর্চা হাতিয়ার করে খাল কেটে ইওরোপিয় কুমির এনেছিল মালামো কানা, মেলিন্দে থেকে গোয়ায়।
ভারত শুদ্র সভ্যতার জ্ঞানচর্চার পক্ষে(রামায়ণ এবং মহাভারতের রচয়িতা কিন্তুই শুদ্র) দাঁড়িয়ে একটা কথা বলা দরকার, যে তাঁরা সেই সংখ্যা ভাবার পরিকাঠামো তৈরি করে সেই খুব বৃহত আর খুব ক্ষুদ্র সংখ্যা ভাবার পরিবেশ তৈরি করেছিলেন। এবং পশ্চিম(প্রাতিষ্ঠানিক খ্রিষ্টধর্ম আচারিত অঙ্ক – যাকে আন্তর্জাতিক অঙ্ক নাম দিয়েছে পশ্চিম, যার উৎস নাকি প্রাচীন গ্রিসে, যে গ্রীসে শুন্যের ধারণাটাই ছিল না) বিগত চারশ বছর আগেও যেহেতু শূন্যকে শয়তানের প্রতিভূ বলে মনে করত ফলে সে বিশালতম বা ক্ষুদ্রতম অঙ্কের কাজ করবে কি করে। শেষে ইওরোপ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া জেসুইট পাদ্রিদের ভারত সভ্যতা নথি করণে দশমিক অঙ্ক ব্যবস্থা গৃহীত হল। তার পরে ইওরোপে শুরু হল বড় অঙ্ক করার পরবেশ।
ভারতে বড় অঙ্ক ভাবার সেই পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন ছিল কেননা দু সহস্র বছর ধরে ভারত পৃথিবীর ব্যাস বা আলোর গতিবেগ, বিভিন্ন নক্ষত্রের স্থান নির্ণয়, ধুমকেতুর পথ বা দশমিকের পরে ছাপান্নটি সংখ্যায় পাইএর মান নির্ণয় করে ফেলেছে।
তো এই পর্বে আমরা আলোচনা করব কত বড় সংখ্যা নিয়ে ভারতীয় শাস্ত্রবিদেরা আলোচনা করেছেন। সরস্বতী-হরপ্পা সভ্যতায় দশমিক ব্যবস্থার প্রয়োগ শুরু হয়ে গিয়েছে। মাইকেল ড্যানিনো বলছেন, সেই ধ্বংস হওয়া সভ্যতার জ্ঞানচর্চার রেশ চারিয়ে যাচ্ছে তার পূর্বের দিকে গড়ে ওঠা সভ্যতায়। যজুর্বেদে ঘাত হিসেবে এক(১০০) থেকে পরার্ধ(১০১২) পর্যন্ত আলোচনা করা হয়েছে(এই খেয়েছে ১০এর ঘাত বা আজকের ভাষায় টু দ্য পাওয়ার তো লেখা যাচ্ছে না ফেবুতে। পাঠকেরা দয়া করে দশের পরে যে অঙ্কটি আছে সেটিকে তার ঘাত হিসেবে পড়ুন)।
রামায়ণে রাবণের সৈন্য সংখ্যা বলা হয়েছে ১০১২ + ১০৫ + ৩৬(১০১০)। তার বিপরীতে যে সৈন্য বাহিনী রাম দাঁড়িয়ে রয়েছে তার সংখ্যা হল ১০১০ + ১০১৪ +১০২০ + ১০২৪ + ১০৩০ + ১০৩৪ + ১০৪০ + ১০৪৪ + ১০৫২ + ১০৫৭ + ১০৬২ + ৫ জন। এই প্রত্যেকটি ঘাতের নাম দেওয়া হয়েছে।
এর সঙ্গে গ্রিক সভ্যতার বড় সংখ্যার তুলনা করুণ ১০৪ এর ওপরে তাঁদের সংখ্যার নামই নেই – সাধে কি আর বার্ণল সাদা গ্রিস সভ্যতা নিয়ে হেসেছেন – আর বাংলার নাট্য বা জ্ঞনচর্চায় গ্রিসের নামে শিক্ষিত ভদ্রলোকেদের দুই কর জোড় হয়ে মাথায় উঠে যায়।
বা জৈন অঙ্কে আরও বড় সংখ্যা আলোচনা করা হচ্ছে ১ পূরবী = ৭৫৬ গুণ ১০১১ দিন; আর ১ শীর্ষ প্রহেলিকা = ৮৪০০০০০২৮ পূরবী(২৮ টা হল ৮৪০০০০০ ঘাত)। হিসেব করলে দেখা যাবে শীর্ষ প্রহেলিকায় রয়েছে ১৯৪টা সংখ্যা। আজও আমরা প্রহেলিকা শব্দটা ব্যবহার করি তার সূত্র না জেনেই।
১০ ঘাতের ক্রমাংক ধরে অতীত ভারতে প্রত্যেকটির নাম তৈরি করা হয়েছেল। আজকে যেমন আমরা খুব সহজেই ১৬৪৮৩৭৬কে ভেঙে বলতে পারি ১৬ লক্ষ ৪৮ হাজার তিনশ ছিয়াত্তর। যে ক্রমাঙ্কে সঙ্খ্যাগুলি বসেছে, সেটির একটি ওলটপালট হয়ে গেলেই গোটা সঙ্খ্যাই পালটে যাবে – এবং এই ব্যবস্থায় আসতে কত সহস্র বছর কেটেছে আমরা আজ হয়ত জানি না, বুঝিই না। এবার শুধু ভাবুন যে গুণীরা অতীত ভারতীয়দের বড় সংখ্যা ভাবা নিয়ে আজও কটাক্ষ করে চলেছেন, তাঁদের প্রিয় সভ্যতার রোমিয় অক্ষর দিয়ে যদি আমাদের আলোচ্য এই ছোটতম ১৬৪৮৩৭৬ সঙ্খ্যাকে প্রকাশ করতে হত? সেটা সাতটা সঙ্খায় আবদ্ধ থাকত না সাতের কয়েকশ গুণ সংখ্যা ব্যবহার করতে হত।
যেমন প্রথমে ভূত-সংখ্যা ৯টি সঙ্খার নাম দেওয়া হল। তাকে মনে রাখার জন্য জুড়ে দেওয়া হল প্রাত্যহিক জীবনে ব্যব্যহৃত কিছু ছবি/ধারণা। এক সূর্য/চন্দ্র, ২ পক্ষ/চোখ, ৩ নেত্র(শিবের), চার বেদ ইত্যাদি – এগুলিকে পর পর বসিয়ে পাওয়া যেত অঙ্ক বেদ সূর্য পক্ষ হল ২১৪(অঙ্কস্য বামগতি ধরে)। পরে এ নিয়ে আরও কথা বলা যাবে –ভারতে কোন কিছুরই স্টন্ডার্ডাইজেশন করা হয় নি - পক্ষ কোন জ্ঞানচর্চায় ২ আবার কোন জ্ঞানচর্চায় ১৫ রূপে ব্যবহৃত হত – এই বৈচিত্রতে ভারত সভ্যতা বেড়ছে, জোরদার হয়েছে। এর পর দশের সঙ্গে ১, ২, ৩ গুণ করে পেলাম দু সংখ্যার দশ, বিশ, ত্রিশ, চল্লিশ ইত্যাদি। এর পরে ১০এর ঘাতে ব্যবহৃত হল ১, ২, ৩ তৈরি হয়ে এল শত, সহস্র, আযুত, নিযুত, প্রযুত, অর্বুদ, নির্বুদ, সমুদ্র, মধ্য, অন্ত্য, পরার্ধ ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। এই নামগুলির মধ্যে আমরা কিন্তু অঙ্ক ক্রিয়ারও নাম দিলাম যেমন ৫০-১ উনপঞ্চাশ।
এই নামগুলি দেওয়ার বড় কারণ হল মৌখিক জ্ঞানচর্চাকে সম্মান জানানো। আজ যেমন সাধারণ অঙ্ক করতে আমরা ক্যালকুলেটর ব্যবহার করি, সেকালে কেন কয়েক দশক আগেও এমনকি শহরেও অঙ্কের সূত্রগুলি ধরে সাধারণ মানুষ মৌখিকভাবেই মানসাঙ্ক করতেন। তার জন্য খাতা কলমের আয়োজনের প্রয়োজন পড়ত না। যে মানুষটা্র ওপর নির্ভর করে বণিকেরা সমুদ্রে ভেসেছেন বিপুল সম্পদ নিয়ে, তিনি কলণবিদ্যা অনুসরণ করে মানসাঙ্কতেই সূর্যের রশ্মির নতি মেপে নৌবহরটার দিক নির্ণয় করতেন, আর ছিল কমল নামক একটি যন্ত্র। ব্যাস।
এই দক্ষতা আর জ্ঞানচর্চা হাতিয়ার করে খাল কেটে ইওরোপিয় কুমির এনেছিল মালামো কানা, মেলিন্দে থেকে গোয়ায়।
No comments:
Post a Comment