মোদি-ট্রাম্প এক হৈ যারা বলছেন তারাই বিশ্বায়নের ধ্বজাধারী
অন্তত এখোনো ট্রাম্প-ইহুদি ফিনান্স পুঁজির লড়ায়ে আমরা ট্রাম্পের পক্ষে, মোদির বিরুদ্ধে
ইহুদি ফিনান্স পুঁজি ট্রাম্পের সর্বনাশ চাইছে - এরাই আবার ভারতের কর্পোরেটদের ফিনান্সার
Siddharthaদাদা তার প্রগতিশীল বন্ধুদের ট্রাম্প-বিরোধী পথের বাইরে এসে অসাধারণ মূল্যায়ন করেছেন ট্রাম্পের। তিনি আমাদের মত চেয়েছিলেন।
...আমাদের কথা
খুব জরুরি কথা বলেছেন Siddhartha Guptaদাদা।
ট্রাম্প সত্যিই কিছু ভয়ঙ্কর কথাবার্তা বলেছেন তা সমর্থনযোগ্য নয় - বিশেষ করে মহিলাদের নিয়ে বা বিশেষ ধর্ম্মতাবলম্বী বা জাতিগুলিকে নিয়ে।
কিন্তু কোথাও আগ্রাসী মুক্তচিন্তক, যারা চোখের দুপাতা না ফেলেই লুঠেরা পুঁজির অবাধ আগ্রাসন, মানুষের জীবন জীবিকা উচ্ছেদ, দেশে দেশে গণতন্ত্র সরবরাহ করতে সেনাপাঠানো, ইকনমিক হিটম্যান সেজে দশকের পর দশক নানান দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ডকে ভেঙ্গে দেওয়া, আর সেই লুঠেরা টাকায় কর্পোরেট আমেরিকা ইওরোপের স্বার্থে জ্ঞানচর্চা পড়াশোনা, সংস্কৃতিচর্চা - রথসচাইল্ড বা ফোর্ড বা সোরেসদের মত নানান ফাউণ্ডেশন ফান্ডিং নিয়ে সমাজচর্চা বা পড়াশোনা বা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং সেখানে এশিয়, আফ্রিকিয় ইংরেজি শিক্ষতদের ইওরোসেন্ট্রিক আমেরিকাসেন্ট্রিক জ্ঞানচর্চার দাসেদের ডেকে এনে চাকরি দেওয়া, দেশে দেশে সাংস্কৃতিক অর্থনৈতিক সামাজিক আগ্রাসন চালাতে মদত দেওয়ারমত বিশ্বায়নী কর্মকাণ্ডকেই আধুনিকতা, এগিয়ে যাওয়া বা প্রগতি বলে দাগিয়ে দিচ্ছেন, সেই সব স্বার্থীদের পৃষ্ঠপোষক কর্পোরেটেরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এককাট্টা। ট্রাম্পের নানা পদক্ষেপ ১৭৫০এর পরের কর্পোরেট বিশ্ব মৌরোসীপাট্টা ভাঙ্গার একটা জরুরি ইঙ্গিত।
পারবেন কি না, তা সময় বলবে, কিন্তু শুচ সূচনা হয়ে গেল।
অনেকে ট্রাম্প বা মোদিকে একাসনে বসান। মোদি অন্ধভাবে আমেরিকাসেন্ট্রিক, কর্পোরেটসেন্ট্রিক। মোদির পক্ষে কর্পোরেটরা একবাক্যে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ইহুদি ফিনান্স পুঁজি ট্রাম্পের সর্বনাশ চাইছে - এরাই আবার ভারতের কর্পোরেটদের ফিনান্সার।
প্রাথমিকভাবে আমাদের ভাল লেগেছে, গত ৩০ বছরে যে সব আমেরিকিয় সাদা/কালো/হিসপানিক শ্রমিক আমেরিকার প্রগতির নামে ছাঁটাই হয়েছে তাদের যায়গায় এশিয়, লাতিন আমেরিকিয় বা আফ্রিকিয় চাকরি পেয়েছে সেটাকে কর্পোরেট আমেরিকা, আমেরিকার লাভ বলে অভিহিত করেছে। অথচ কর্পোরেটদের সিন্দুক ফুলে ফেঁপে উঠেছে, সাধারণ আমেরিকিয়দের হাল খারাপ থেকে খারাপতর হয়েছে - আরও খারাপ হয়েছে ২০০৮এর সাবপ্রাইম কেলেঙ্কারির পর থেকে - সেখানে জনগণের শ্রমে অর্জিত লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়েছে কর্পোরেটদের সিন্দুকে। .
শিবসেনা ভূমিপুত্রদের চাকরি কাজের অগ্রাধিকারের জন্য উদ্যোগী হলে সারা ভারতের কর্পোরেটরা-রাজনীতিকেরা বিরোধিতা করলেও আমরা যারা পুঁজির বিশ্বায়ন চাই না, স্থানীয় অর্থনীতির বিকাশ চাই, সরাসরি শিবসেনার এই নীতি সমর্থন করেছি। শ্রমের অবাধ অভিবাসন এবং বিশ্বায়নের রাজনীতির পিছনে লুকোনো আছে আদতে অবাধ ফিনান্স পুঁজির বিশ্বায়নের গল্প - সেটা হয়ে চলেছে ১৭৫০এর পরে থেকেই - ভারত-চিন-পারস্য অর্থনীতি লুঠের অর্থের সুদেই ইওরোপ আমেরিকা চলছে আজও আসলে হাত পড়ে নি।
ট্রাম্পের টিপিপি থেকে বেরিয়ে আসা ৩০০ বছরের লুঠেরা খুনি কর্পোরেটস্বার্থ বিরোধী অসাধারণ পদক্ষেপ। ট্রাম্প সামরিক শিবিরগুলি তুলে নেওয়ার কথা বলছে তা শুধু আমেরিকার নয়, বিশ্বায়নের মদতদারদের পক্ষে মারাত্মক।
এইগুলিকে যদি কেউ রক্ষণশীলতা বলে তাহলে তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলব, বিশ্বায়নের দাবা খেলায় বড়ে না হয়ে আসুন কর্পোরেট বিরোধী স্বাধীন চিন্তা করি, দেশিয় অর্থনীতির বিকাশ ঘটাই।
ট্রাম্প কতটা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন দেখার। নইলে...আমরা যারা গ্রামীন উদ্যোগী বিশ্বায়নের বিরুদ্ধে ১১৫৭/১৭৬৩র পর থেকে হাতে কাস্তে নিয়ে লড়াই করছি তারাই লড়ে যাব। মধ্যবিত্তবাবুরা এই লড়াইকে বরাবরের মত অশিক্ষতদের পিছিয়ে পড়া বলবেন...
কিন্তু ইতিহাস?
Arupsankar Maitra Prabir Biswas Prasun Bhaumik Ipsita Pal Rouhin Banerjee Garga Chatterjee Dipankar Shibu Partha Bose
No comments:
Post a Comment