বাংলার উপনিবেশবাদ বিরোধী চর্চা২
বাংলায় মহিলাদের স্থান
আলিবর্দী খাঁর স্ত্রী, সেরাজের মাতামহ সর্ফুন্নিসা
বাংলায় মহিলাদের স্থান
আলিবর্দী খাঁর স্ত্রী, সেরাজের মাতামহ সর্ফুন্নিসা
জৈনুদ্দিনের হত্যার পর সৈয়দ আহমেদ খাঁ পাটনার প্রশাসক হন। সৈয়দ আহমদ,
জৈনুদ্দিনএর সময়ের আমীরদের প্রাপ্য বরাদ্দ, পদমর্যাদা বাড়িয়ে দেন।
মুতক্ষরীনের লেখক লিখছেন, রাজ্ঞী, তাঁর স্বামীকে সৈয়দ আহমদএর এই হাত খোলা
ব্যয় আর পূর্বতন প্রশাসকের মৃত্যুর জন্য পরোক্ষে যারা দায়ি তাঁদেরকে রসেবসে
রাখার প্রবণতার বিরুদ্ধে রায় দেন। তাঁর মতে আজিমাবাদ বাংলার প্রবেশ দ্বার।
প্রশাসক যদি এরকম ঢিলেঢালা আবিশ্বাসী হয়, তাহলে যে কোন সেনা বাহিনী তাঁর
অজ্ঞাতে বা তাঁকে হাত করে বাংলায় ঢুকে আসতে পারে। এ ধরণের গুরুত্বপূর্ণ পদ এ
ধরণের মানুষের হাতে ছেড়ে দেওয়ার বিরোধী তিনি। আশংকা ছিল তাঁর স্বামীর
মৃত্যুর পর এই মানুষটা তাঁর কন্যা আর দুই নাতি সেরাজউদ্দৌল্লা আর
ইক্রমুদ্দৌল্লার প্রাণ নাশ করতে পারেন। তিনি স্বামীর সঙ্গে এই পরামর্শ করে
তাঁকে আরও উপযুক্ত প্রশাসক নিযুক্ত করতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তাঁর স্বামী
এই প্রস্তাব মেনে নেবেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিন্ত না হয়ে, তিনি সৈয়দ আহমদএর
বিরুদ্ধে গলা তুলে বলতে সেরাজকে প্ররোচিত করলেন। বললেন সিরাজকে নবাবের
উত্তরাধিকারী মনোনীত করে যেতে। সেরাজ তাঁর ঠাকুমার শেখানো কথা নবাবকে
বললেন। নবাব সেরাজের স্নেহে আপ্লুত ছিলেন। নবাব বুঝেছিলেন, এই প্রস্তাবটি
দিয়েছেন সর্ফুন্নিসাই। তাঁর রাজ্ঞীর প্রস্তাবকেই আলিবর্দী মেনে নিয়ে সবাইকে
বঞ্চিত করে সেরাজকে তাঁর উত্তরাধিকারী মনোনীত করেন।
সর্ফুন্নিসা আর দুই কন্যার উপর খুব বিরক্ত ছিলেন। বড়টি ঘসেটি ঢাকার প্রশাসক হুসেইন কুলি খাঁর গোপন প্রেমিকা ছিলেন। তাঁর প্রশ্রয়ে হুসেইন কুলির বহু আপরাধ ক্ষমার চোখে দেখা হত। হঠাত ঘসেটিকে ছেড়ে হুসেইন কুলি সেরাজের মা’র গোপন প্রেমিক হলেন। ঘসেটি তাঁর শত্রু হয়ে ওঠেন। এই গোপন সত্য ঢাকা থাকল না। মেয়েদের বেহায়াপনা দেখে সর্ফুন্নিসা নবাবের স্মরণাপন্ন হলেন। তিনি তাঁর মৃত্যুদণ্ড চাইলেন। নবাব সহজে রাজি হলেন না। সিরাজকে দিয়ে ঘসেটির সাহায্যে হুসেইন কুলিকে ১৭৫৪ সালে হত্যা করাণ সর্ফুন্নিসা।
তাঁর শেষ জীবন খুব কষ্টে কাটে। পলাশীর চক্রান্তে মীর জাফর মসনদে আহরণ করেন। মীরণ সর্ফুন্নিসা, আমীনা, ঘসেটি, সিরাজের বিধবা লুতফুন্নিসা আর তাঁর শিশুকন্যাকে বন্দী করে ঢাকায় অন্তরীণ করেন। মীরণ ঘসেটি আর আমীনাকে জলে ডুবিয়ে হত্যা করেন। লুতফুন্নিসা, তাঁর শিশুকন্যা আর সর্ফুন্নিসা বেঁচে যান। তাঁরা মুর্শিদাবাদের ফিরে আসেন। ১৭৬৫তে সর্ফুন্নিসা, সরকারকে তাঁর খোরপোষ বাড়াবার জন্য আবেদন করেন।
(ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেগমস অব বেঙ্গল থেকে)
সর্ফুন্নিসা আর দুই কন্যার উপর খুব বিরক্ত ছিলেন। বড়টি ঘসেটি ঢাকার প্রশাসক হুসেইন কুলি খাঁর গোপন প্রেমিকা ছিলেন। তাঁর প্রশ্রয়ে হুসেইন কুলির বহু আপরাধ ক্ষমার চোখে দেখা হত। হঠাত ঘসেটিকে ছেড়ে হুসেইন কুলি সেরাজের মা’র গোপন প্রেমিক হলেন। ঘসেটি তাঁর শত্রু হয়ে ওঠেন। এই গোপন সত্য ঢাকা থাকল না। মেয়েদের বেহায়াপনা দেখে সর্ফুন্নিসা নবাবের স্মরণাপন্ন হলেন। তিনি তাঁর মৃত্যুদণ্ড চাইলেন। নবাব সহজে রাজি হলেন না। সিরাজকে দিয়ে ঘসেটির সাহায্যে হুসেইন কুলিকে ১৭৫৪ সালে হত্যা করাণ সর্ফুন্নিসা।
তাঁর শেষ জীবন খুব কষ্টে কাটে। পলাশীর চক্রান্তে মীর জাফর মসনদে আহরণ করেন। মীরণ সর্ফুন্নিসা, আমীনা, ঘসেটি, সিরাজের বিধবা লুতফুন্নিসা আর তাঁর শিশুকন্যাকে বন্দী করে ঢাকায় অন্তরীণ করেন। মীরণ ঘসেটি আর আমীনাকে জলে ডুবিয়ে হত্যা করেন। লুতফুন্নিসা, তাঁর শিশুকন্যা আর সর্ফুন্নিসা বেঁচে যান। তাঁরা মুর্শিদাবাদের ফিরে আসেন। ১৭৬৫তে সর্ফুন্নিসা, সরকারকে তাঁর খোরপোষ বাড়াবার জন্য আবেদন করেন।
(ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেগমস অব বেঙ্গল থেকে)
No comments:
Post a Comment