দেশিয় শিক্ষা দুধরণের - মৌখিক আর প্রাতিষ্ঠানিক। দুটিই পরম্পরার শিক্ষা ব্যবস্থার পরিপূরক অঙ্গ ছিল কিছুটা আজও রয়েছে।
এই দেশজ শিক্ষা ব্যবস্থা চরিত্রে মূলত বিকেন্দ্রিভূত - স্থানীয় প্রয়োজন, স্থানিক শ্রম, স্থানিক ভাষা, স্থানিক চাহিদা, স্থানিক কাঁচামাল, স্থানিক উতপাদন, শ্রম নিবিড়, এবং সামাজিকতার সমবায়িক দর্শনে জারিত, যে কোন লুঠের দর্শনের উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে থাকে। অপ্রয়োজনীয় অতি-উতপাদন, অতি-ভোগ বিরোধী, কয়েকজনের হাতে পুঁজি জমার প্রবণতা এবং তাঁর ফলে দেশে-বিদেশে উতপাদন-বিতরণ ব্যবস্থার দখল, শ্রম প্রতিস্থপনকারী কেন্দ্রিভূতভাবে নিয়ন্ত্রণকারী লুঠেরা বিশ্বধ্বংসী দর্শন জীবনধারণের প্রযুক্তির সরাসরি বিপ্রতীপ আমাদের দেশজ শিক্ষার দর্শন।
---
আদতে কোন শিক্ষা কেন ভাল সেটা নির্ভর করবে কোন তাত্ত্বিকতায় আপনি শিক্ষাকে দেখছেন - সেটি কি ঔপনিবেশিকতায় জারানো কর্পোরেট লুঠের জন্য শিক্ষিত সেনা তৈরি, যারা চোখের পলক না ফেলেই বড় লুঠেরা পুঁজির যে কোন নির্দেস পালনকেই নিজের অভিষ্ঠ লক্ষ্য ভাবতে তৈরি থাকে না কি আপনার নিজস্ব এলাকার বিকাশ, সমাজভাবনা, দর্শন, অর্থনীতি আর জীবনযাত্রার শেকড় আরও গভীরে পৌঁছনোর জন্য মানুষ, কারিগর করে।
---
এডামের শিক্ষা সমীক্ষা, এডাম নিজের এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ ঔপনবিবেশিক বন্ধু রামমোহন রায়ের পশ্চিমকেন্দ্রিকভাবে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার শিক্ষা দর্শনের সরাসরি বিরোধী।
সেটা কেন হয়েছে বলা মুশকিল - অথচ সেই সময়য় ১৮৩৬ সালে এদেশে পশ্চিমি লুঠেরা দর্শনের তাত্ত্বিকতা এবং বাস্তবতা প্রবেশ করানোর যে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছিল ঔনিবেশিক লুঠেরা শাসক এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বঙ্গীয় ছোট তরফের বাঙালি অভিজাত ভদ্রলোকীয় অংশিদারেরা, বাস্তবিক সেই কাজে দৈনন্দিনের আন্দোলনে সমর্থন করলেও আশ্চর্যজনকভাবে সেই দর্শনের সরাসরি বিরোধিতা করেছেন উইলিয়াম এডাম তাঁর শিক্ষা সমীক্ষায়। জেলাওয়ারি সমীক্ষা চালিয়ে এটি ভারতের একমাত্র শিক্ষা সমীক্ষা, যেটি স্থানীয় ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে জোর দেওয়ার নিদান দিল, অথচ তখন কলকাতা বিভক্ত সংস্কৃত(স্থানীয় নয়, বাঙলা নয়) বা ইংরেজিমাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া হবে তা নিয়ে। তাঁর পরে একটাও শিক্ষা সমীক্ষা কিন্তু দেশিয় লব্জে শিক্ষা দেওয়ার কথা বলে ওঠার জোরই দেখাতে পারল না।
---
আশ্চর্যের কথা, যে প্রাতিষ্ঠানিক, মৌখিক শিক্ষা, জ্ঞানচর্চার ধারা আমরা ফেলে দিলাম, সেই ধারাকে নির্ভর করেই কিন্তু কয়েক হাজার বছর ধরে বাঙলা, ভারত তথা এশিয়া ছিল দার্শনিকভাবে, উতপাদনগত ভাবে বিশ্ব জয়ী। আর তাকে ফেলে আমরা অভিজাতরা যে শিক্ষাভাবনাকে অমূল্যরত্নভেবে আপন করে নিলাম, তাঁর মোটামুটি দুশ বছর পূর্ণ হল গত বছর, সেই বাহন আমাদের কোনভাবেই পৌঁছে দিতে পারল না, যে প্রযুক্তি, দর্শন আর উতপাদন-বিতরণ ব্যবস্থার উচ্চতায় আমরা ছিলাম উপনিবেশ পরিবেশের আগে পর্যন্ত।
এই দেশজ শিক্ষা ব্যবস্থা চরিত্রে মূলত বিকেন্দ্রিভূত - স্থানীয় প্রয়োজন, স্থানিক শ্রম, স্থানিক ভাষা, স্থানিক চাহিদা, স্থানিক কাঁচামাল, স্থানিক উতপাদন, শ্রম নিবিড়, এবং সামাজিকতার সমবায়িক দর্শনে জারিত, যে কোন লুঠের দর্শনের উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে থাকে। অপ্রয়োজনীয় অতি-উতপাদন, অতি-ভোগ বিরোধী, কয়েকজনের হাতে পুঁজি জমার প্রবণতা এবং তাঁর ফলে দেশে-বিদেশে উতপাদন-বিতরণ ব্যবস্থার দখল, শ্রম প্রতিস্থপনকারী কেন্দ্রিভূতভাবে নিয়ন্ত্রণকারী লুঠেরা বিশ্বধ্বংসী দর্শন জীবনধারণের প্রযুক্তির সরাসরি বিপ্রতীপ আমাদের দেশজ শিক্ষার দর্শন।
---
আদতে কোন শিক্ষা কেন ভাল সেটা নির্ভর করবে কোন তাত্ত্বিকতায় আপনি শিক্ষাকে দেখছেন - সেটি কি ঔপনিবেশিকতায় জারানো কর্পোরেট লুঠের জন্য শিক্ষিত সেনা তৈরি, যারা চোখের পলক না ফেলেই বড় লুঠেরা পুঁজির যে কোন নির্দেস পালনকেই নিজের অভিষ্ঠ লক্ষ্য ভাবতে তৈরি থাকে না কি আপনার নিজস্ব এলাকার বিকাশ, সমাজভাবনা, দর্শন, অর্থনীতি আর জীবনযাত্রার শেকড় আরও গভীরে পৌঁছনোর জন্য মানুষ, কারিগর করে।
---
এডামের শিক্ষা সমীক্ষা, এডাম নিজের এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ ঔপনবিবেশিক বন্ধু রামমোহন রায়ের পশ্চিমকেন্দ্রিকভাবে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার শিক্ষা দর্শনের সরাসরি বিরোধী।
সেটা কেন হয়েছে বলা মুশকিল - অথচ সেই সময়য় ১৮৩৬ সালে এদেশে পশ্চিমি লুঠেরা দর্শনের তাত্ত্বিকতা এবং বাস্তবতা প্রবেশ করানোর যে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছিল ঔনিবেশিক লুঠেরা শাসক এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বঙ্গীয় ছোট তরফের বাঙালি অভিজাত ভদ্রলোকীয় অংশিদারেরা, বাস্তবিক সেই কাজে দৈনন্দিনের আন্দোলনে সমর্থন করলেও আশ্চর্যজনকভাবে সেই দর্শনের সরাসরি বিরোধিতা করেছেন উইলিয়াম এডাম তাঁর শিক্ষা সমীক্ষায়। জেলাওয়ারি সমীক্ষা চালিয়ে এটি ভারতের একমাত্র শিক্ষা সমীক্ষা, যেটি স্থানীয় ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে জোর দেওয়ার নিদান দিল, অথচ তখন কলকাতা বিভক্ত সংস্কৃত(স্থানীয় নয়, বাঙলা নয়) বা ইংরেজিমাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া হবে তা নিয়ে। তাঁর পরে একটাও শিক্ষা সমীক্ষা কিন্তু দেশিয় লব্জে শিক্ষা দেওয়ার কথা বলে ওঠার জোরই দেখাতে পারল না।
---
আশ্চর্যের কথা, যে প্রাতিষ্ঠানিক, মৌখিক শিক্ষা, জ্ঞানচর্চার ধারা আমরা ফেলে দিলাম, সেই ধারাকে নির্ভর করেই কিন্তু কয়েক হাজার বছর ধরে বাঙলা, ভারত তথা এশিয়া ছিল দার্শনিকভাবে, উতপাদনগত ভাবে বিশ্ব জয়ী। আর তাকে ফেলে আমরা অভিজাতরা যে শিক্ষাভাবনাকে অমূল্যরত্নভেবে আপন করে নিলাম, তাঁর মোটামুটি দুশ বছর পূর্ণ হল গত বছর, সেই বাহন আমাদের কোনভাবেই পৌঁছে দিতে পারল না, যে প্রযুক্তি, দর্শন আর উতপাদন-বিতরণ ব্যবস্থার উচ্চতায় আমরা ছিলাম উপনিবেশ পরিবেশের আগে পর্যন্ত।
No comments:
Post a Comment