১৭৮৯এর ড্যানিশ সমীক্ষা – আমাদের আলোচ্য সময়ের পরে ঠিকই কিন্তু আমরা যে সময় নিয়ে আলোচনা করছি তার কাছাকাছি এবং সে জন্যে প্রাসঙ্গিক, বীরভূমের গুরা তাঁতিদের রোজগারের বিশদ বিবরণ দিয়েছে, সে বিবরণ একটু বড় হলেও তুলে দ্দেওয়া জরুরি বলে মনে করলাম The weaver's wages differ according to whetper the demand for clotlis in the aurungs is great or small; during the weaver's bad season-December, January, February-his pay for one piece of gurrah is generally no more than 10 annas; normally it is 11 to 12 annas and sometimes slightly more; if the weaver is an able worker he might finish his piece in five: and. a half to six days; but when his feast days are deducted he is able at most to produce four and a half to five pieces per month, by which he is generally estimated to earn three sicca rupees and-when times are best-three and a half rupees at most; if his family is able to help him, especially with cleaqing and spinning the cotton, this is estimated at one fourth of his earning, but no more. Three to four rupees per month are thus the best weaver's, highest earnings if. he is fully employed. (Ole Feldbaeck, 'Cloth Production in Bengal', BPP, vol. LXXXVI, July-Dec. 1967, p. 130)।
ওপরের বর্ণনা থেকে একটা বিষয় বোঝা যাচ্ছে তাঁতিদের রোজগার নানান চলকের বাড়াকমার ওপর নির্ভরশীল ছিল - বছরের কোন মরশুমে বিক্রি হচ্ছে, সে সময়ে বাজারে প্রতিযোগিতার চরিত্র কি ছিল, পরিবারের এবং নির্ভরশীলদের থেকে সাহায্য পাওয়ার চরিত্র এবং সব শেষে তার নিজের কর্মোদ্যম। যদিও গুরা তাঁতিরা খুব বেশি দক্ষ বলে বিবেচিত হত না, ১৭৮৭ সালে জন বেবের হিসেবে, গোলাঘরের গুরার থেকে ভাল গুণমানের সুত রুমালের কারিগরেরা গুরার থেকে বেশি রোজগার করতেন। এই হিসেবে ১) সাধারণ তাঁতির প্রতিমাস রোজগার ৩টাকা, ২) মাঝারি তাঁতির প্রতিমাস রোজগার ৫টাকা ৩) ভাল/দক্ষ তাঁতির রোজগার ৭.৫ টাকা প্রতিমাস(Proceedings of the Board of Trade, 24 Feb. 1787, quoted in N .K. Sinha, Ecortomic History of Be_ngal, vol. I, p. 176)।
এই হিসেবটায় একটু বাড়িয়ে ধরা আছে। টেলরের হিসেবে আগেই দেখেছি অষ্টাদশ শতকের শেষের দিকে সোনারগাঁওএর দক্ষতম তাঁতি মাসে ৩.৫ টাকা খুব বেশি হলে রোজগার করে। এখানে আরও একটা বিষয় ধরা দরকার, সুতোর দাম ওঠাপড়ার ওপর নির্ভর করত তাঁতির রোজগারের পরিমান। তাঁতি যেহেতু নিজেই সুতোর সরবরাহকারী তাই তুলোর খারাপ ফসল বা তুলো/সুতোর দাম বাড়লে তার রোজগারে কোপ পড়ে। ১৭৮৯এর সমীক্ষাসূত্রে আমরা সেটাই দেখেছি, ৬.৪ তালিকা দেখুন।
৬.৪ তালিকা সূত্রে দেখুন কোন সাধারণ বছরে কোন এক বিশেষ প্রকার কাপড়ের বুননের খরচের প্রেক্ষিতে তাঁতির রোজগার ছিল ৩১-৩৭%। তুলো/সুতোর দাম বাড়লে এই রোজগারের পরিমান ১০% পর্যন্ত কমে যেত। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বলা দরকার কোম্পানির আমলা ওপরের হিসেব তৈরির সময় লিখেছে, the profit of weaver ... for last year (i.e. 1788) did not appear more than was actually necessary to afford an ordinary subsistence(৯৭)। ৬.৪ তালিকার তথ্যগুলি বিশ্লেষণের একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হল, কম দামের কাপড় যেমন বাফতা বোনা তাঁতির লাভের শতাংশ দামি কাপড়, খাসা তৈরি করার তাঁতির লাভের শতাংশের থেকে বেশি। এমন কি যদি সুতোর দামে চড়া বৃদ্ধি হয়, তাহলে খাসা তাঁতির রোজগার যতটা কমে, বাফতার তাঁতির রোজগার সেই তুলনায় খুব বেশি কমে না। ১৭৮০তে তাঁতির লাভের শতাংশ মোট উৎপাদন ব্যয়ের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করত এই তথ্যটা ড্যানিশ সমীক্ষা থেকে ৬.৫ তালিকা থেকে পাচ্ছি।
No comments:
Post a Comment