দরকষাকষি
বাংলার তাঁতিরা
উদ্ভাবনী ক্ষমতায় কারোর থেকে পিছিয়ে ছিল না। ১৭২১ সালে লন্ডনের কর্তারা, কোর্ট অব
ডিরেক্টর্সরা লিখলেন are ingenious
enough to make very .near imi.tation' of apy kind of piece-goods(DB, vol. 100, f. 586, para. 29, 26
April 1721)। তাঁতিরা যে এই উদ্ভাবনের কাজটা শুধু আরও একটু বেশি
অর্থনৈতিক রোজগারের উৎসাহে করছে এটা না মনে করাই ভাল। বস্ত্র সজ্জা আঙ্গিকের পরিবর্তন
অথবা আকারের পরিবর্তনে দাম বাড়ত অবশ্যম্ভাবীভাবে। এই কাজগুলি তাঁতিদের দিয়ে করাতে
না পারলে কোম্পানির কুঠিয়ালেরা লিখত the people cannot
be persuaded to alter their method অথবা they are so inept (C & B. Abstr., vol.
4, f. 81,•
para.
1• 38, 24Jan. 1735;
f.241, para. 58, 31 Dec. 1737)। ১৭৩৯
সালে কোম্পানির ফোর্ট উইলিয়াম কাউন্সিল দেখল বালেশ্বর থেকে পাঠানো খুব খারাপ উপরন্তু
বড্ড দামি, বালেশ্বরের কুঠিয়ালেরা লিখল the cloth being one covid and half
increased in length occasions the dearness ওদিকে তাঁতিরা
তাদের জানিয়েছিল they
cannot make it cheaper,or better at the
price and say they will not receive the dadney for this year's investment(BPC, vol. 13, f.
473vo, 6, Feb .. 1739)। ১৭৪৪ সালে কাশিমবাজার কাউন্সিল কলকাতাকে জানাল লুঙ্গি
রুমালে তারা বিনিয়োগ করতে পারছে না তার কারণ, the weavers were formerly beat
down in the price so much that they could not go on with them
and had turned their hands to making other sort of Romalls that
yielded more profit (Ibid., vol. 17,
f. 129, 11 June 1744.)। সেই বছরেই কোম্পানি দোসুতি নিয়ে চুক্তি করতে প্রভূত
ঝামেলায় পড়ল কারণ ব্যবসায়ীরা তাদের জানাল তাঁতিরা সেইগুলি তৈরি করতে ইচ্ছুক নয়
কারণ সেগুলি গুরা তৈরি করার তুলনায় অনেক বেশি সময় লাগছে এবং yielded them
less profit(Ibid., vol. 17,
f. 151, 12 July.1744)।
এই যে উদাহরণগুলি
দিলাম তাতে পরিষ্কার যে বাঙালি তাঁতিরা বাজারের গতিময়তা সম্বন্ধে এক্কেবারেই অজ্ঞ
ছিলেন না এবং তারা দরকষাকষি করতে অভ্যস্ত ছিলেন; পলাশীপরবর্তী কালে এই দরসস্তুর করার
ক্ষমতা তাদের শেষ হয়েছিল। এটা বাস্তব যে তাঁতি বহু ব্যবসায়ীর থেকে দাদন নিত না
ঠিকই, কিন্তু তবুও তাঁতিকে এক্কেবারে বেঁধে রাখা যেত না, খোলা বাজারেও তার পণ্য
বিক্রি করার স্বাধীনতা সে অর্জন করেছিল পলাশীপূর্ব সময়ে। যে বহুসময় কোম্পানি বা
ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পাদিত হওয়া চুক্তির বাইরের চরিত্রের বস্ত্র উৎপাদন করত, যখন
ব্যবসায়ী বা কোম্পানি প্রতিনিধি সেই কাপড় খারজ করে দিত সে তখন সেই বাতিল হওয়া পণ্য
অন্য বণিক বা খলা বাজারে বিক্রি করে দিত। ১৭২৭ সালে দাদনি বণিকেরা ফোর্ট উইলিয়াম
কাউন্সিলকে জানাল তাদের গোমস্তা তাঁতিদের অগ্রিম দেওয়া সত্ত্বেও তাদের মনে হয়েছে
প্রত্যেকটি আড়ংএ কাপড়ের চাহিদা এত বেশি যে, তাদের আশংকা the weavers
would make it late before they
could be able to give their goods [since] they had taken money
of the Dutch, French and other people so lhat the prices were
not only risen but the goods as soon as they were made were immediately
divided, some to one nation arid some to another(Ibid., vol. 6, f.
348, 9 Jan. 1727)। তাঁতিদের যখন এমন দাম দেওয়া হত যা তাদের মনোমত নয়, তাঁতিরা
সেই চুক্তি সম্পাদন করত না। ১৭৫৪ সালে চাঁদিপুরে পাঠানো টমাস হাইন্ডম্যানের
সমীক্ষায় জানায় যে তাঁতিরা তাকে বলেছে যে কোম্পানি কাপড়ের বিনিময়ে যে দাম তাদের
দিচ্ছে, তাই দিয়ে তাদের গ্রাসাচ্ছদন হয় না। তিনি খুব চেষ্টা করে হাতে গোণা পিস-গুড
জোগার করে বুঝতে পেরেছেন তাঁতিদের বক্তব্যে অবশ্যই সারবত্তা আছে(Fact. Records,
Dacca, vol. 3, Annex. to Consult., 17 Nov. 1574)। পলাশীপূর্ব
ঢাকার অবস্থা কুঠিয়াল কমার্সিয়াল রেসিডেন্ট জন বব জানিয়েছিলেন ১৭৮৯এর সমীক্ষায়, The manufacturer
in treating for the sale of his materiaf and labour
could say 'you do not offer me the price sufficient therefore
I will not sell this assortment to you' and the purchaser
was in a position to say 'you demand too much therefore
I will not buy of you unless you will be more reasonable(Quoted in N.K. Sinha, Economic
History of Bengal, vol. I, p. 25)।
ঢাকারা জন্যে যে
১৭৫৭র পুর্ব অবস্থা সত্য, সেই সত্য সারা বাংলার জন্যে প্রযোজ্য। পলাশীপূর্ব সময়ে
তাঁতিরা without oppression,
restrictions, limitations and
prohibition তাঁত বস্ত্র তৈরি করত, এই দৃষ্টিভঙ্গী অসম্ভব সত্য ছিল(Ibid., p. 159)। ১৭৫৭র
আগে কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ আমলারা বাংলার তাঁতিদের বর্ণনা করেছেন diffusion of
commerce, general
opulence, readiness
of sales, ইত্যাদি লব্জে(Verelst's letter to the Court of
Directors, 5 April 1769, FWIHC, vol. V, pp. 19,
546-548)।
No comments:
Post a Comment