যে সব বিখ্যাত অখ্যাতরা বাঙালিকে অলস দাগিয়ে দ্যায়, তারা উচ্চবর্ণ বা রাষ্ট্র/কর্পোরেট প্রভুদের কৃপাধন্য। একটা ছোট্ট উদাহরন দেওয়া যাক। গত ৬০ বছর ঝি লোকাল করে কলকাত্তিয়া অভিজাত ভদ্রবিত্ত বাবু বাড়িতে যে সব দিদি সুন্দরবন থেকে রোজ এসে বাসন মাজা থেকে কুটনো কাটা থেকে ঘর মোছা ইত্যাদির মত অসীম দক্ষতার এবং একই সঙ্গে গায়ে গতরে খাটা কাজ সমাধা করে দিয়ে যান ঝড় জল শীত গরম উপেক্ষা করে, যে অমেয় পরিশ্রমের ঘাড়ে পা দিয়ে কলকাতার কর্পোরেট চাকুরে/পেশাদার মহিলারা এবং তার চাকুরে/ব্যবসায়ী/পেশাদার বর থোক টাকা মাইনে পান/রোজগার করেন, রাজনীতি সমাজ উন্নয়ন কৃষ্টি-সৃষ্টি করে নাম কামান সেই দক্ষতা আর শ্রমটা যদি তিনি এবং তাঁর অর্ধাঙ্গন ঘরের সোফায় বসে গতর নাড়িয়ে দেখতে না পেয়ে থাকে, এবং সব ধরণের বাঙ্গালিকেই অলস বলে নিরন্তর ভেঙ্গিয়ে যান, তাহলে এই মিথটা থেকেই বা কি ভেঙ্গেইবা কি? অরূপদার অঙ্ক অনুযায়ী ৪-৬% উচ্চবর্ণ গতর খাটিয়ে কাজও করবে না, জীবনে এই লব্জটা পাল্টাবেও না। আনন্দবাজার-সুনীলগাঙ্গুলির যৌথ প্রচার সার্থক। সার্বিক বাংলায় তাদের মতের দর্শনের প্রভাব নগণ্য। নাহলে আনন্দবাজারের পিঠচাপড়ানিতে বুদ্ধবাবু এখনও ছড়ি ঘোরাতেন টাটার বকলমে আর মমতা ব্যনার্জী নতুন করে অনশনের প্রস্তুতি নিতেন।
বাঙালি অলস মিথ ভাঙ্গা২
১) কোনও দিন কোন চাষীকে বলতে শুনেছেন ভাই আপনারা ধানের যা দাম দ্যান তা দিয়ে আমার পরিবারের ক্ষুণ্ণিপোষায় না, খেটে খেটে আমার পিঠ বেঁকে গ্যাছে, অথচ আপনি আমায় আলসে বলেছেন, এবার থেকে নিজের ভাতটা নিজেই চাষ করে নিন,
২) কোনও দিন বাবুদের থেকে তুই-তোকারি শোনা কোন রিক্সাচালককে বলতে শুনেছেন ১০ টাকায় মহাই এর থেকে বেশি দূর নিয়ে যাওয়া যায় না, আপনি আমায় আলসে বলেছেন এবারে গতর খাটিয়ে বাকি পথ হেঁটে যান
৩) কোনও দিন মাথা নামিয়ে জুতো সেলাই করা আপনারা যাদের নীচ বলেন সেই চর্মকার আর্ধেক জুতো সেলাই বা রং করে বলছেন যে মজুরি দ্যান তাতে মুখে ভাত তোলা কষ্ট, তাছাড়া আপনি আমায় আলসে বলেছেন। বাকিটা নিজেরা করে নেবেন ভাই।
এই কথাগুলি যদি চাকরিজীবি/ঔপনিবেশিক পেশাদার বাঙ্গালির মুখে নিরন্তর ছুঁড়ে দিতে থাকেন এবং শিক্ষিতমন্য বাঙ্গালির মুখের ওপর পাল্টা তুই-তোকারি লেপে দিতে থাকেন কয়েক শত পরম্পরার পেশার পেশাজীবি তাহলে কি দাঁড়ায়?
২) কোনও দিন বাবুদের থেকে তুই-তোকারি শোনা কোন রিক্সাচালককে বলতে শুনেছেন ১০ টাকায় মহাই এর থেকে বেশি দূর নিয়ে যাওয়া যায় না, আপনি আমায় আলসে বলেছেন এবারে গতর খাটিয়ে বাকি পথ হেঁটে যান
৩) কোনও দিন মাথা নামিয়ে জুতো সেলাই করা আপনারা যাদের নীচ বলেন সেই চর্মকার আর্ধেক জুতো সেলাই বা রং করে বলছেন যে মজুরি দ্যান তাতে মুখে ভাত তোলা কষ্ট, তাছাড়া আপনি আমায় আলসে বলেছেন। বাকিটা নিজেরা করে নেবেন ভাই।
এই কথাগুলি যদি চাকরিজীবি/ঔপনিবেশিক পেশাদার বাঙ্গালির মুখে নিরন্তর ছুঁড়ে দিতে থাকেন এবং শিক্ষিতমন্য বাঙ্গালির মুখের ওপর পাল্টা তুই-তোকারি লেপে দিতে থাকেন কয়েক শত পরম্পরার পেশার পেশাজীবি তাহলে কি দাঁড়ায়?
জয় বাংলা।
কারিগর বাঙালি দীর্ঘজীবি হোক।
কারিগর বাঙালি দীর্ঘজীবি হোক।
No comments:
Post a Comment