শ্রমের বিভাজন
এবং কাপড় বোনার কাজের সঙ্গে জুড়ে থাকা বিভিন্ন স্তরে কারিগরদের আর কারিগরির চরমতম
দক্ষতা আর প্রযুক্তির বিকাশ আদতে অষ্টাদশ শতকের বাংলার বস্ত্র শিল্পের অন্যতম
গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ছিল। উদাহরণ স্বরূপ কাপড় ধোয়া এক ধরণের পেসার প্রযুক্তিবিদদের
দিয়ে করানো হত এবং ড্যানিশ সমীক্ষা বলছে এটা একটা শিল্পকলায় রূপান্তরিত হয়ে
গিয়েছিল, Now
the pieces [gatras]
are
to be washed, for which purpose there
are certain washermen in all weaving districts whose wasning
can be imitated nowhere (Ole Feldbaeck,
'Cloth Production in Bengal', BPP, vol. LXXXVI, July-Dec. 1967, p. 132)। কাপড় ধোয়া আর
ব্লিচিং করার পর ছেঁড়া সুতোয় রিফুকর্ম(darning) করার কাজ করতেন
চরমতম দক্ষ রফুগরেরা এবং কাপড়ে থেকে যাওয়া ছোপ আর দাগ তোলায় দক্ষ ছিলেন দাগ
ধোবিরা। তসর আর মুগায় কশিদা নামক সূচীকর্ম হত; এছাড়াও আরেক ধরণের সূচীকর্ম হত ডুরিয়া
আর মলমলের ওপর এবং এই কাজের বিপুল চাহিদা ছিল বলে ঢাকার প্রচুর মহিলা এই কাজ করে
রোজগার করত। ১৭৩০এর শেষে এবং ১৭৪০এর প্রথম দিকে ঢাকার কুঠিয়ালেরা কশিদার কারিগর
পেতে হয়রাণ হয়ে গিয়েছিল কারণ এই ধরণের কারিগরদের সংখ্যা খুব কমে গিয়েছিল এবং এই
কাজ করতেন মূলত পর্দার আড়ালে(Junnannaes) থাকা মহিলারা তাই কুঠিয়ালেরা তাদের
নতুন করে কিভাবে খুঁজে বার করা যায় তা বুঝতে পারে নি(Fact. Records,
Dacca, vol. 2, 10 Feb. 1737; BPC, vol.12, f.137, 16 April
1737; vol. 14, f.158vo, 27 Jan. 1740; C & B. Abstr., vol. 4, f.380, para.
65, 11 Dec. 1741)।
তাঁতি, মজুরি এবং
গতিশীলতা
তাঁতিদের অবস্থান
যদিও আজ আর
তাঁতিদের আর্থিক বা সামাজিক অবস্থান বোঝা বেশ কঠিন, অষ্টাদশ শতকের প্রথম পাদে এক বিশিষ্ট
কর্তৃপক্ষ তাঁতিদের সম্বন্ধে বলেছিলেন যে তারা the hinge of Bengal economy যা সত্যের কাছাকাছি গিয়েছে বলে মনে হয় না। এটা স্মরণে রাখা
দরকার বাংলার বস্ত্র উৎপাদন এবং ব্যবসা আমরা যে সময়ের কথা আলোচনা করছি, সেই সময়ে
চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন করে, এবং বাংলার পিস-গুডসগুলি ইওরোপিয় কোম্পানিগুলি এবং এশিয়
ব্যবসায়ী উভয়ের মুল রপ্তানি পণ্য ছিল, যার মাধ্যমে বাংলায় নিয়মিত সোনা রূপার
সরবরাহ নিশ্চিত থাকত, এবং এই কাজে তাঁতিদের একটা বড় ভূমিকা ছিল। পারম্পরিকভাবে
তাঁত বোনা জাত ভিত্তিক এবং বংশভিত্ততিক পেশা ছিল, এবং হাতে যেহেতু যথেষ্ট মালমশনা
নেই প্রমান করার জন্যে, তাই আজ আর সঠিকভাবে বলা যাবে না যে বাড়তে থাকা চাহিদারে
জন্যে কি জাতের থাকবন্দী ভেঙ্গে ছিল কি না এবং এই উৎপাদন ব্যবস্থার কারিগরিতে
সমাজের উচ্চ বা নিচের স্তরের মানুষকে জুড়তে পেরেছিল কি না। সাধারণ যুক্তি হল
ইওরোপিয় কোম্পানিগুলোর রপ্তানি কাজে বাংলার বস্ত্র শিল্পে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি
পেয়েছিল এবং যেহেতু নতুন কারিগর এই বাজারে ঢুকল, সেখানে থাকবন্দী ভেঙ্গে গেল (P;J. Thomas,
'The. Indian Cotton Industry, jlbout 1700 A.D ..'Modern Review, Feb. 1924, pp. 45,
134-35; rpt
Mitra,
Cotton.
Weavers, p.39; Hameeda
Hossain, Company
Weavers,. pp.
47, 174)। আমাদের হাতে মাত্র একটাই পরস্পর বিরোধী চরিত্রের উদাহরণ
আছে অষ্টাদস শতকের শেষের দিকে। ১৭৯০ সালে কোলব্রুক লিখলেন যে professions are
confined to hereditary descent এই দৃষ্টিভঙ্গী unfounded এবং professions are not separated
by an impassable line বা every
profession, with few exceptions, is
open to every drscription of persons(H.T. Colebrooke, Remarks on the
Husbandry, pp.
170-71, 174)।অন্যদিকে ১৭৮৯এর আমাদের পুর্বে আলোচ্য ড্যানিশ রিপোর্টে
বিশেষ করে বলা হল, a weaver
cannot become a member of another caste(Ole Feldbaeck,
'Cloth Production in Bengal', BPP, vol. LXXXVI, JuJy-Dec. 1967, p. 126)। বাংলার বস্ত্র
শিল্পে থাকবন্দী আদৌ ভেঙ্গেছিল কি না যে বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু বলাটা উচিত হবে
না। এই বিষয়ে ওর্মের ১৭৫০ সালে লেখা দৃষ্টিভিঙ্গীটি জানা যাক, A weaver amongst
the Gentoos is not a despicable
cast[e]. He is next to the scribe, and above all the mechanics.
He would lose his cast[e], were he to undertake a drudgery
which did not immediately relate to his work(Orme, Historical
Fragments, p.
410)।
No comments:
Post a Comment