ওর্মে বস্ত্র
শিল্পের চরিত্রকে বিশ্লেষণ করছেন the weavers live entirely in villages এবং
তারা সাধারণভাবে living
and working with hjs wife and several
children in a hut বলে যতদূরসম্ভব এক্কেবারেই অতিকথন করেন নি (Orme, Historical
Fragments, p.
410)। ভারতের অন্যান্য এলাকার বস্ত্র উৎপাদন শিল্পের চরিত্রের সঙ্গে বাংলার
বস্ত্র উৎপাদন শিল্পের চরিত্র এক্কেবারে উল্টো। যদিও করমণ্ডল উপকূলে বস্ত্র শিল্প
মোটেরওপর গ্রামনির্ভর ছিল, কিন্তু পশ্চিম এবং উত্তর ভারতজুড়ে রাজ্যের প্রধান শহরের
পাশের এলাকায় এটির অবস্থা ছিল(K.N. Chaudhuri, Trading World, p. 249)।
আরেকটা বড় চরিত্র
ছিল তার বাংলা জোড়া ভৌগোলিক ব্যপ্তি এবং ছড়িয়ে থাকা। যেহেতু এটি মূলত গ্রামীন
কারিগর পরিবার নির্ভর শিল্প ছিল, স্বাভাবিকভাবে এই শিল্পের অসাধারণ বিস্তার ঘটেছিল
ভূমিতলজুড়ে। এই শিল্পের বিকেন্দ্রিভবন ঘটার একটা বড় প্রভাব ছিল তুলনামূলকভাবে বাংলার
নদীপথজাল ধরে শস্তাতম গতায়াত ব্যবস্থা। এর ফলে বাংলার বস্ত্র শিল্প চরমতম
বিকেন্দ্রিত চরিত্র অর্জন করেছিল এবং বাংলার বিপুল এলাকায় ছড়িয়ে গিয়েছিল, যে ঘটনা
উত্তর আর পশ্চিম ভারতে ঘটে নি। এটাও মনে রাখা দরকার, vital qualitative
difference between production for,a
purely local market and.production for export and
inter-regional trade এর পার্থক্য প্রায় অনেকটাই মুছে যেতে পেরেছিল বাংলার
বস্ত্র উৎপাদন অঞ্চলগুলো(Ibid.,
p. 241)। ফলে সপ্তদশ বা অষ্টাদশ শতকের বাংলার বস্ত্র বাজারে থাকা পরম্পরার এশিয়
ব্যবসায়ীই হোক বা বাজারে সব শেষে ঢোকা ইওরোপিয় কোম্পানি ব্যবসায়ীই হোক, তাদের পণ্য
জোগাড় করতে হত ব্যপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা উৎপাদন অঞ্চলে নির্দিষ্ট কিছু মধ্যস্থ মার্ফত।
দেশের ভাষা না জানা, বাজারের চরিত্র, অবস্থা না জানা ইত্যাদি কারণ ছাড়াও ইওরোপিয়
কোম্পানিরা কেন সরাসরি তাঁতিদের থেকে কাপড় কিনতে পারত না তার একটা বড় কারণ ছিল
বস্ত্র শিল্পের বাংলা জুড়ে ব্যাপক ব্যপ্তি।
বাংলার বস্ত্র
শিল্পের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যতিক্রমী চরিত্র ছিল স্থানিকতা(localization)। শুধু
ওর্মেই নয় স্ত্যাভার্নিয়ের মত বৈদেশিক মুসাফিররাও বলেছেন বিভিন্ন বিভিন্ন জেলায় আলাদ
আলাদা ধরণের কাপড় উৎপাদনের কথা(Orme, Historical Fragments, p. 413;
Stavorinus, Voyages,
p.
474)। প্রত্যেক বস্ত্র উৎপাদন এলাকা তার তৈরি বস্ত্রের ওপরে তার এলাকার চরিত্রের
ছাপ শৈল্পিকভাবে এঁকে দিতে পারত এমনভাবে যে ১৭৫২ সালে কলকাতা কাউন্সিল পিস-গুডগুলি
সব কটা একটি গাঁটরিতে(বেল) আটকানো যাবে না বলে কর্তাদের লেখে, তার কারণ হল fabric of every
au rung had its peculiar qualities(BPC,
vol. 25, f.
299,
1 ~ Nov. 1752)। স্থানিকতা
নির্ভর সেই এলাকায় কারিগরদের একসঙ্গে জুটে যাওয়ার সঙ্গে বাংলার বস্ত্র শিল্পের
ব্যাপ্ত বৈচিত্রের বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল, সেই অঞ্চলে কাঁচা মালের সহজ
প্রাপ্তি এবং the
cumulative effect created by a hereditary concentration of craft skills। এটা
মনে হয় যে এইসব উৎপাদন কেন্দ্রগুলি neutral with respect to transport costs এবং
অন্যান্য ব্যবসায়িক বিবেচনার কারণে সূক্ষ্ম কাপড় তৈরির ক্ষেত্রগুলিতেই ঘটেছিল শুধু
নয়, একই ঘটনা ঘটেছিল মোটা আর মাঝারিগুণমানের কাপড় উৎপাদন অঞ্চলগুলিতেও। এই জন্যে
মসলিনের পরিচিতি মূলত ঢাকা বা রেশমের উৎপাদনী পরিচিতি মূলত মুর্শিদাবাদের
কাশিমবাজার হলেও বীরভূমের মত বন্দরের কাছেও নয় দূরতেও নয় এমন উৎপাদন কেন্দ্র
কিন্তু তৈরি করত গুরারমত সাধারণ কাপড় বা মালদা বন্দরের অনেক দূরে থেকেও সূক্ষ্ম
এবং মোটা উভয় ধরণের বস্ত্র।
No comments:
Post a Comment