পুরুষ, স্ত্রী বা
নপুংসক শিলা
শক্ত, কাজের সময় ফুলকি
ওঠা আর আঘাতে গভীর স্বরে শব্দ তোলা পাথর পুরুষ প্রকৃতির। এর আকার অশ্বত্থ বা বটের
আকৃতির হয়ে থাকে। বড় আর বিশাল এই ধরণের পাথর মুর্তি তৈরির কাজে উপযুক্ত।
কলা(গাছ)র আকারের অথচ
খুব বড় পাথর নয়, আঘাতে সুন্দর শব্দ করে, স্পর্শে শীতল পাথর স্ত্রী প্রকৃতির। এ
ধরণের পাথর মূর্তির আসনের উপযোগী।
এই দুই প্রকারের,
স্ত্রী বা পুরুষ শিলার প্রকৃতি যে সব পাথরে দেখা যায় না সে সব পাথরগুলিকে তৃতীয়
আকারের বা নপুংশক শিলা বলা হয়। সেগুলি মুর্তির পিঠ বা আসন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
যে পুরুষ শিলা পূর্ব
বা উত্তরের দিকে মুখ করা, যেগুলিতে আঘাত করলে ঘন্টারমত শব্দ করে, কাজের সময় ফুলকি
তোলে সেগুলি মুর্তি তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। সেগুলি ব্যবহারের জন্য
উপবৃত্তাকারে(ওভাল) কাটতে হয়। পিঠ তৈরির জন্য স্ত্রী আকারের শিলাকে আয়তাকারে(রেক্টাঙ্গল)
কাটতে হয়। বৃহৎ ত্রিকোণাকৃতির শিলা নপুংসক হিসেবে বিবেচিত। এগুলি পিঠ বা আসনের
তলদেশ তৈরির জন্য বিবেচিত হয়।
যে সব পাথরে রেখা
রয়েছে এবং যে পাথরগুলি নান্দ্য বর্ত, পাহাড়ী ঘোড়ার মত শঙ্কু আকৃতির, স্ত্রী বৎস্য বা
বকনা, কচ্ছপাকৃতি, শঙ্খাকৃতি, স্বস্তিকাকৃতি, হস্ত্যাকৃতি, মহিষাকৃতি, ধ্বজাকৃতি,
সারিদেওয়া ঝোলানো পতাকাকৃতি(দক্ষিণ ভারতীয় ভাষায় থোরানাম), লিঙ্গাকৃতি, মৃগাকৃতি, প্রসাদাকৃতি, পদ্মাকৃতি, বজ্রাকৃতি,
গরুড়াকৃতি আর কড়্যাকৃতির, সেসব শুভ রূপে গণ্য হয়।
ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়
বৈশ্য আর শূদ্র প্রকৃতির পাথরে যথাক্রমে সাদা, লাল, হলুদ এবং কালো রেখা থাকা
জরুরি। এই পাথরগুলি মনের ওপর সদর্থক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। উপরিউক্ত চারটি পাথরে যদি বজ্র
আকারের রেখা দেখা যায়, সে সব পাথর শুভরূপে গণ্য হয়।
যে সব পাথর বায়ু আর
অগ্নি দ্বারা(অর্থাৎ ভূতলে দীর্ঘ দিন ধরে থেকে) তৈরি হয়, নপুংসকেরমত শব্দ করে,
মুর্তির দৈর্ঘের পাথর, যে কোনও কাজের জন্য শুভ রূপে বিবেচিত হয়।
No comments:
Post a Comment