মুর্তি তৈরির কাজে
উপযুক্ত শিলা
যে সব এলাকায় পূণ্যাত্মারা(ডিভাইন
সোলস) থাকেন, যে পাথর মাটির নিচ থেকে খুঁড়ে বার করা হয়, সাধুরা যে পাথর পছন্দ
করেন, যে পাথর পালিশ করা যায়, শিবলিঙ্গ সহ বিভিন্ন মুর্তি তৈরি করতে গিয়ে
হাতিয়ারের ঘা সহ্য করতে পারে এবং সেগুলি সঠিক আকার প্রাপ্ত হয়, যেগুলিতে আঘাত করলে
গভীর নিনাদী স্বর আবির্ভূত হয়, পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ চারদিকের কোনও একটি
দিকে মুখ করা পাথর, কাজ করার সময় ঘর্ষণে ফুলকি ছড়ায়, (খাদান থেকে)পাথর তোলার সময় পড়ে
গেলে ওপরের অংশ নিচের দিক করে থাকে সেই সব পাথর সংগ্রহ করা উচিত। এই পাথরের নিচের
দিকের অংশটি মূর্তির সামনের অংশ হবে।
দেবতার স্থানের শিলা,
দেব বাগানের পাথর, গাচ্ছাদিত এলাকার পাথর, গাছের কাণ্ডের পাশে থাকা পাথর, মনোহরা
দর্শন শিলা, আঘাত করলে ঘণ্টার মত শব্দ হওয়া পাথর, ঘিএর গন্ধ যুক্ত, এবং মুর্তি
তৈরির কাজে উপযুক্ত পাথর স্থাপত্যের কাজে উপযুক্ত, এবং তা সংগ্রহ করা প্রয়োজন।
সাদা বা পদ্ম রঙের
দ্বিজ শিলা খুবই উচ্চ মান যুক্ত। এই ধরনের পাথরে চন্দ্র দেব বাস করেন। যে পাথরের
রঙ কুলত্থ কলাই(হর্স-গ্রাম)এর মত, সেগুলি রজ পাথর। এই পাথরে ইন্দ্র থাকেন। হলুদ বা
সবুজ রঙের পাথর বৈশ্য শিলা। এই পাথরে সূর্য দেবতা যার নাম ভাগ, তিনি থাকেন। কালো
শিলাকে শূদ্র শিলা বলে, এই শিলায় অশ্বিনী দেব থাকেন।
এই চার ধরণের শিলা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
নির্দিষ্ট কাজের বা সম্প্রদায়ের স্থাপত্য বা মূর্তি তৈরির জন্য যে সব শিলা উদ্দিষ্ট,
সেই সব কাজে সেই শিলা ব্যবহার করতে হবে। যদি তা না পাওয়া যায় তাহলে তার কাছাকাছি
কোনও শিলাকে প্রতিস্থাপন করতে হবে। স্থাপত্যের বা মুর্তি তৈরির কাজে যদি ওপরে
বর্ণিত চার প্রকার পাথর না পাওয়া যায় তাহলে তাঁদের কাছাকাছি গুণের কোনও পাথর
ব্যবহার করতে হবে।
No comments:
Post a Comment