দারু বা কাঠ
কোন কোন কাঠ ব্যবহার
করা উচিত নয়
যে গাছে ছিদ্র রয়েছে,
যে গাছে ফাটল রয়েছে, যে গাছে ফুটো(হোল) রয়েছে সে গাছের কাঠ ব্যবহার করা উচিত নয়।
যে গাছে লতা জড়িয়ে রয়েছে,যে গাছে কাঁটা জন্মেছে, যে গাছে সারা বছরফল বা ফুল হয়, যে
গাছকে মানুষ চারটি ঋতুতে ব্যবহার করে, যে সব গাছ পুজোর কাজে ব্যবহৃত হয় বা যে
গাছগুলিকে পুণ্য গাছ বলে মানুষ বিশ্বাস করে, যে সব গাছে দেবত্ব আরোপ করা হয়, যে সব
গাছ রাস্তার ধারে(ছায়া ফল ফুল দেয়), যে সব গাছে পাখি বা অন্যান্য জীবজন্তু বাসা
বাঁধে, শ্মশান ঘাটের গাছ, বেণীর আকারের গাছ, য়ে গাছ স্বাস্থ্যবান নয়, যে সব গাছে
সাপ বসবাস করে, যে গাছে ক্ষীর ক্ষরণ হয় বা ভিজে ভিজে দেখতে, ঝোড়ো বাতাস বা আগুণে
যে গাছের ক্ষতি হয়েছে, যে গাছের ডাল হাতিতে ভেঙ্গেছে, যে গাছে বাজ পড়েছে, যে গাছ মন্দিরে
ঘিরে রয়েছে, হ্রদ নদী কুয়ো পুকুর ইত্যাদিতে জন্মেছে, সে সব সে গাছের কাঠ বর্জন করা
উচিত (এমন মানুষের) যারা দীর্ঘ বা সুখী জীবন কামনা করেন।
---(দিনের বেলায় লিখতে
হবে) গাছের কাঠ মন্দির বা গৃহ বানাবার কাজে পরিত্যাগ করা উচিত।
খুব হালকা(সফট) কাঠ
বাড়ি তৈরির কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়। যে সব গাছের কাঠ শক্ত, ঝুনো এবং সোজা, সে সব
কাঠ দীর্ঘ দিন ধরে ঝোড়ো হাওয়া, তাপ, জলের
ঝাপ্টার মত পরিবেশের খামখেয়ালিপনা সহ্য করতে পারবে, সেই কাঠ বাড়ি তৈরির কাজে
ব্যবহার করা দরকার। মনেরাখতে হবে, যে পরিবেশে বাড়িটি তৈরি হচ্ছে সেই পরিবেশের দিকে
নজর রেখে গাছের কাঠ নির্বাচন করতে হবে।
বাড়ি তৈরির জন্য যে সব গাছ আযোগ্য বলে এর আগে
বিবেচিত হয়েছে, সেগুলো যদি শক্তপোক্ত, দৃঢ হয় এবং দীর্ঘ দিনের ঝড় ঝাপটা সহ্য করতে
পারে, তবে তা মন্দির তৈরির কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। প্রায় সব ধরণের ক্ষীর গাছ
মন্দির তৈরির কাজে ব্যবহৃত হতে পারে, যদি সে সব গাছ গৃহ তৈরির কাজে অনুপযুক্ত হিসেবে
গণ্য করা হয়।
No comments:
Post a Comment