প্রথম স্তবকে তিনি ওঁ শব্দ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে উত্তর-তাপনীয়,
শৈব্যাপ্রশ্ন, কথক এবং মাণ্ডুক্য প্রভৃতি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাস্ত্রের উল্লেখ
করেছেন উল্লেখ করেছেন যার দ্বারা মানুষের মোক্ষ প্রাপ্তি হয়। মহাঋষি ভরদ্বাজ বলতে
চাইছেন, বৈমানিক শাস্ত্র আনুসারে যদি বিমান বা উড়ন্ত জাহাজ তৈরি করা যায় তাহলে
মানুষ ভগবানের নিকটে পৌছবে, এবং পরমাত্মার সান্নিধ্য লাভ করবে।
আতীতের যেসব আচার্যের উল্লেখ মহাঋষি ভরদ্বাজ করেছেন তাঁরা
হলেন নারায়নরূপী বিশ্বনাথ, শৌক্ত, গর্গ, বাচস্পতি, চক্রয়ানি, ধুন্ধিনাথ যারা যথাক্রমে
বিমানচন্দ্রিকা, ব্যোমযান-তন্ত্র, যন্ত্র-কল্প, যান-বিন্দু, ক্ষিত-যান প্রদীপিকা
এবং ব্যোমযান-অর্কপ্রকাশএরমত যুগান্তকারী শাস্ত্র রচনা করেছেন।
মহাঋষি ভরদ্বাজ বিমান শব্দটিকে সংজ্ঞা নির্নয় করতে গিয়ে
বলেছেন, বেগ-সমায়াত্ বিমান অণ্ডযানম(সুত্র ১) অর্থাৎ পাখির গতিবেগের আনুরূপ যার
তাঁর নাম বিমান।
বৌধানন্দ বৃত্তি
অণ্ডজ কথার অর্থ ডিম থেকে জন্মানো প্রাণী, যারা নিজের
ইচ্ছা অনুযায়ী উড়তে পারে। মহাঋষি ভরদ্বাজ বলছেন পাখির গতিবেগ আনুসরণ করে যে বস্তু
উড়তে পারে তাকেই বিমান বলা হবে।
লল্লাচার্য বলছেন, পাখির গতিবেগে যে বস্তু উড়তে পারে
তাঁর নাম বিমান।
আচার্য নারায়ণের উক্তি, পাখিরমত ইচ্ছে অনুযায়ী যে বস্তু
পৃথিবী, জল আর বাতাসের গতিবেগে উড়তে পারে তাই বিমান।
শঙ্খ বলছেন, বৈমানিক শাস্ত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, য়ে
বস্তু এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বাতাসের ভরে উড়তে পারে তাই বিমান।
বিশ্বম্ভরের সূত্র, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে বস্তু বাতাসে
ভেসে এক দেশ থেকে অন্য দেশ, এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপ, এক বিশ্ব থেকে অন্য বিশ্বে
পরিভ্রমণ করতে পারে তাকেই বিমান বলে।
বিমানের সংজ্ঞা নির্দেশ করে মহাজ্ঞানীরা এবারে বিমানের
নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন।
No comments:
Post a Comment