বাড়ি তৈরির কাজে সেক(?
sake), আসানা (asana, অর্জুন?), মাডুকা বা মহুয়া, শাল, সার্য(? sarja), চন্দন, পনসা(? pansa), দেবদারু, সামন্তী(?
Samonti) গাছ বাড়ি তৈরির কাজে ব্যবহার করলে খুব ভাল হয়। এক ধরণের গাছ বা দুধরণের
গাছ বা নানান ধরণের কাছের কাঠ প্রাসাদ তৈরির কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেখানে
রাজা বাস করবেন। যে কাঠ ব্যবহার হবে তাতে পাতা, ফুটো, ফাটা, ছিদ্র ইত্যাদি থাকবে না। মন ভাল রাখার জন্য দেব পাহাড়, দেব
বন, দেবস্থলীর গাছ ব্যবহার করা উচিত।
খদির, শাল, মাডুকা,
শাম্বক, শিংশপা বা শিশু, আর্জুন, পদ্ম, চন্দন, দানোয়ান(?) গাছের বড় বড় ডাল রয়েছে
এবং পিণ্ডি, সিংহ, রাজদাম, শমী ইত্যাদি স্তম্ভ গাছ নামে পরিচিত।
নিম, আসানা, শিরীষ
ইত্যাদি স্ত্রী গাছ। এগুলি জ্বালন হিসেবে বা যজ্ঞ কাঠ হিসেবে ব্যবহার হতে পারে।
যে গাছ গোড়া থেকে আগা
পর্যন্ত গোল, শক্তপোক্ত, শক্ত ডালপালা যুক্ত সেগুলিকে পুরুষ গাছ হিসেবে গণ্য করা
হয়। স্ত্রী গাছের গুড়ি ওপরের দিকটি শক্ত। যে গাছের এ ধরণের চরিত্র নেই সেই গাছকে
নপুংসক বলা হয়।
গাছকে কি কাজে ব্যবহার
করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে শিল্পী(সূত্রধর)কে বলিকর্ম করে গাছটি কাটতে উদ্দিষ্ট
করা হয়। বলি গাছের পায়ের কাছে করতে হবে কেননা সেখানেই ভূতগণ, দেবতা এবং কুবেরের সম্পদ
রক্ষক গুহকের আবস্থান। তিনি তাঁদের আশীর্বাদ চাইবেন। বলি দেওয়ার আগে তিনি বলবেন,
আমি আপনাদের কাছে আশীর্বাদ চাইছি। আপনারা আমায় বলি দেবার জন্য অনুমতি দিন। হে
শিবদেব, কুজাদেব এবং গুহকদেব আমাকে বিধি অনুযায়ী অনুমতি দান করুণ। আমি যেন কাজে
সফল হতে পারি। আপনারা এই স্থান থেকে দূরে থাকুন। কুঠারের যে অংশটি গাছ কাটবে সেই
অংশকে ঘি, তিল তৈল এবং দুধের মিশ্রণ দিয়ে মাখাতে হবে। এই বার সূত্রধর গাছের দিকে এগবেন গাছ কাটার জন্য।
তিনি মাটি থেকে এক কিস্কু মাপ ওপরে কাটার দাগ করবেন। কাটার সময় যদি সাদাভ বা জলীয়
ত্রল বার হয়ে আসে তাহলে সব কিছু শুভ হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়।
গাছ পড়ার আওয়াজ যদি সিংহ, হাতি বা মহিষেরমত হয়
তাহলে তাও শুভ বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment