বৌধায়ন মুনি আভ্রকমকে
ধাতু সর্বস্ব বলে আভিহিত করেছেন। অভ্র চার প্রকারের সাদা, লাল, হলুদ এবং কালো। সাদা
অভ্র ১৬ প্রকারের, লাল অভ্র ১২ প্রকারের কালো অভ্র ১৫ প্রকারের হলুদ অভ্র ৭
প্রকারের- মোট ৫০ প্রকারের অভ্র পাওয়া যায়।
শৌনকেয় বলছেন এই ৫০টি
প্রকারের অভ্রকে আবার চারটি জাতিতে বিভক্ত করা যায় ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং
শূদ্র। ব্রাহ্মণ অভ্র ১৬টি প্রকৃতির, ক্ষত্রিয় অভ্র ১২টি প্রকৃতির, বৈশ্য অভ্র
সাতটি প্রকৃতির, এবং শূদ্র অভ্র ১৫টি প্রকৃতির।
সাদা অভ্রকমঃ ভাভি,
অম্বরম, ব্রজকম, শচিস্মাকম, পুণ্ডরীক, বিরিঞ্চিক, বজ্রগর্ভ, কিসম্বরম, স্বরচালে(sowachale), সোমাকম, অমৃতনেত্রম,
সায়ত্যমুখ, কুরন্দম, রুদ্রশ্যাম, পঞ্চদরম(pancodaram), আর রুক্মগর্ভ।
লাল অভ্রকমঃ
সুন্দরীকম, সম্বরম, রেখাস্যম, ওদুম্বরম, ভদ্রকম, পঞ্চস্যম, অংশুমুখম, রিক্তনেত্রম(না রক্তনেত্রম rektanetram), মণিগ্রহকম,
রোহিনীকম, সোমামস্কম(somaamskam) আর কৌরমিক।
হলুদ অভ্রঃ কৃষ্ণমুখম,
শ্যামরেখম, গরলকোষম, পঞ্চধরম, অম্বরীক্ষম, মণিগর্ভম, কৌঞ্চশ্যাম(kuouncaasyam)।
কালো অভ্রঃ গোমুখম,
কন্দুরকম, স্বন্দিকম, মুগ্ধ্যম, বিষগর্ভম, মন্দুকম, তৈলগর্ভ, রেখাশ্যম, পার্বনীকম,
রাকামসুকম(raakaamsukam), প্রণোদম, দ্রৌণিকম, রক্তবন্ধকম, রসগ্রহকম, ব্রণহরিকম(vranahaarikam)।
উক্ত অভ্রগুলির
ক্ষেত্রে প্রথম প্রকৃতির পুণ্ডরীক, দ্বিতীয় প্রকৃতির রোহিনীকমক, তৃতীয় প্রকৃতির পঞ্চধারা আর চতুর্থ প্রকৃতির দ্রৌণিকম বিমান(হাওয়া
জাহাজ) তৈরির ক্ষেত্রে উপযুক্ততম।
সূত্রঃ
নানু পিল্লাই, টি এন
আসান, রসরাজ চিন্তামণি,
জি আর জোসিয়ার, মহাঋষি
ভরদ্বাজের বৈমানিক শাস্ত্র, পণ্ডিত সুব্বারাইয়া শাস্ত্রী দ্বারা পরিক্ষিত
রামকৃষ্ণ এম ভাট, বরাহমিহিরের
বৃহৎসংহিতার দ্বিতীয় খণ্ড
এছাড়াও কৃতিকা বিমান
এবং ত্রিপুর বিমান তৈরির ক্ষেত্রে অভ্র পরিষ্করণের পদ্ধতি।
No comments:
Post a Comment