ইষ্টক
চিক্কম, পাণ্ডুর, সালোনা
মাটি ইট তৈরির জন্য উপযুক্ত। চতুর্থী আর তুম্র ধূলাও ইট তৈরির জন্য অতীব উপযোগী।
মাটির সঙ্গে কোনোভাবেই
অঙ্গার, তুষ, অস্থি, পুষম (নুড়ি), লোষ্ট(গোবর? =আর্থ-বুলস), শর্কর(বড় পাথর), কাষ্ঠ(কাঠের
কুচি) মেশানো চলবে না। তাম্রপুল গুঁড়ো মাটি ইট তৈরির জন্য উপযোগী। গুঁড়ো বালি চলবে
না।
পদ্ধতি
ইট তৈরির জন্য বেছে
রাখা মাটিতে জল মিশিয়ে মেখে একটি লেই তৈরি করে কাদার মণ্ডের মতন আকার দিতে হবে। একে
যদি বহুক্ষণ পা দিয়ে মাখা যায় তাহলে সব থেকে ভাল হয়। একটি খাদমত তৈরি করে সেখানে এই
মণ্ড তৈরি করাটা খুবই যুক্তিযুক্ত, না হলে এই মণ্ড ছড়িয়ে ছিটিয়ে যেতে পারে, বা
মাটি এর জলের ভাগ টেনে নিতে পারে। মাটির মণ্ডের সঙ্গে ত্রিফলা, ধাত্রী(আমলকী?)
মেশানো জল এবং এই ফলগুলির ছাল মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। অন্তত এক মাস ধরে এই মণ্ডটি
পাদিয়ে ডলে যেতে হবে। এবার এই কাঁচামালটি ইট তৈরির জন্য প্রস্তুত।
ইট হবে ১২ আঙ্গুল
দৈর্ঘে আর ছয় আঙ্গুল প্রস্থে। উচ্চতা হতে পারে দৈর্ঘের এক পঞ্চমাংশ থেকে তিন
চতুর্থাংশ পর্যন্ত। ইটের শেষাংশ হয় উত্তর বা পূর্ব দিকে মুখ করে থাকবে। তৈরির সময়
ইটের মুখ ওপরে আর নিচের দিক করে রাখতে হবে। ওপর আর নিচের দিকটি যাতে বোঝা যায় সে
বিষয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে সূর্যের আলোয় শুকতে দিতে হবে। সঙ্গে যাতে হাওয়া-বাতাস লাগে
তার ব্যবস্থাও যেন থাকে তাও দেখতে হবে।
পোড়ানোর পোনে মাঝে ছোট
ছোট ফাঁক দিয়ে শুকনো ইটগুলো পাঁজা করে রাখতে হবে। ভুট্টার তুষ আর জ্বালানি কাঠ
দিয়ে রেখে পোনের বাইরেটা কাদা দিয়ে লেপে দিতে হবে।আগুণ জ্বলবে ১০-১৫ দিন ধরে। আনেক
দিন ধরে জ্বালাবার জন্য তিন্তিরিনি জ্বালানি কাঠ আর খড় ব্যবহার করা যেতে পারে।
পোড়ানো ইট এক বছর ধরে জলে ডুবিয়ে রেখে দিতে হবে। এই
ইট দ্বারা মন্দিরের বিমানগুলি তৈরি করা যেতে পারে। ইটের নিচের অংশ যদি ছোট হয় তাহলে ইটকে স্ত্রী ইট বলা হবে আর মাথা যদি ছোট হয় তাহলে এর প্রকৃতি হবে নপুংসক। আর একই মাপের ঘণাকার ইটকে বলা হবে পুরুষ ইট।
No comments:
Post a Comment