বৈমানিক প্রকরণ নামক শাস্ত্রের মুখবন্ধে মহাঋষি ভরদ্বাজ বলছেন,
অতীতের নানান মুনির নানান শাস্ত্র, যতদূর সম্ভব আত্মস্থ এবং অধ্যয়ন করে মানব জাতির
জন্য, সমস্ত আনন্দের উৎস বেদের আত্মা মন্থন করে, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে, এক
বিশ্ব থেকে অন্য বিশ্বে ভ্রমনের জন্য আটটি অধ্যায়ের, ১০০টি বিষয় সমৃদ্ধ, ৫০০টি
সূত্র সম্বলিত গুহ্য এই শাস্ত্রটি উপস্থাপন করছি।
বৌধানন্দের সূত্র
আমি দেবাদিদেব মহাদেব এবং তাঁর অনুচরবৃন্দ, শিক্ষার দেবী
সরস্বতী, শুভকর্মের দেবতা গণপতি, আমার স্বর্গত পিতা-মাতা, আর মহাঋষি ভরদ্বাজের
পায়ে প্রণাম করি। আমার নিজের যুক্তি-বুদ্ধি ছাড়াও আমি মহাঋষি বাল্মিকীকৃত অঙ্ক,
পরিভাষা চন্দ্রিকা এবং নামার্থকল্প নামক পুস্তক সম্যকরূপে অধ্যয়ণ করেছি। আমি
স্বামী বৌধানন্দ, যুবকদের বিষয়টি প্রাঞ্জল করে বুঝিয়ে বলতে মহাঋষি ভরদ্বাজের
বৈমানিক বিদ্যার গুহ্য সূত্র বিশ্লেষণ করে বৌধানন্দ বৃত্তি রচনা করছি।
মুখবন্ধেই মহাঋষি ভরদ্বাজ ঐতিহ্য মেনে পারম্পরিকভাবে
ভগবানের আরাধনা করছেন যাতে তাঁর এই প্রখ্যাত গুরুত্বপূর্ণ শাস্ত্রটির রচনা সাবলীল
গতিতে শেষ হয়। পরমাত্মার কৃপায় বেদের সব ক’টি ধারায় প্রামাণ্য আধিকার লাভ করে,
আতীতের প্রখ্যাত আচার্যদের সমস্ত শাস্ত্র আধ্যয়ন করে মহাঋষি ভরদ্বাজ বেদের
সুক্তগুলির অন্তস্থল থেকে অমৃত মন্থন করে যে মাঠা অর্জন করেছেন, তার সমস্ত নিষ্কর্ষ
তিনি মানব সমাজের উপকারার্থে উপস্থিত করেছেন যন্ত্রসর্বস্ব নামক শাস্ত্রে। এই
শাস্ত্রের চল্লিশতম অধ্যায়ের আটটি অধি অধ্যায়ে, ১০০টি বিষয়ে, ৫০০টি সূত্রে বৈমানিক
বিজ্ঞান বিষয়ে বিশদে আলোচনায় তিনি বিভিন্ন ধরণের বিমান তৈরি তার ব্যবহার উল্লেখ করেছেন।
No comments:
Post a Comment