যে অভ্রম সফট, মোটা
পাতযুক্ত, lustrous, ভারি, এবং স্তরগুলো সহজে আলাদা করা যায়, সেগুলি ওষুধ তৈরির
কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু ব্যবহারের আগে সেগুলোকে পরিশোধন করতে হবে।
পরিশোধিত অভ্র নানান
রোগ উপশম করতে পারে। অভ্রকে সেবনে দেহ শক্ত হয়, স্ফূর্তি বাড়ে,যৌবনাবস্থা বৃদ্ধি
পায়। সন্তানেরা বীর্যবান হয়, প্রখ্যাত হয়। নিদানমত অভ্র সেবন করলে মৃত্যুর ভয় থাকে
না।
ধান্যভ্রক বিধি
পরিশোধিত অভ্রের সঙ্গে
একচতুর্থাংশ পরিমাণে ধান মিশ্রণ করে একটি কাপড়ে মুড়ে তুষের জলে তিন দিন ধরে ডুবিয়ে
রাখতে হবে। ভিজে মিশ্রণটি যখন নরম হয়ে যাবে তকন হাতের তালুর সাহায্যে শক্তি প্রয়োগ
করে তাকে গুঁড়ো করতে হবে। ঐ পাত্রে অভ্রমের গুঁড়ো পড়ে যাবে। যতক্ষণনা সামগ্র অভ্রম
গুঁড়ো পাত্রে না পড়ে যাচ্ছে ততক্ষণ ধরে এই গুঁড়ো করার প্রক্রিয়াটি চলতে থাকবে। তুষের
জল থেকে অধঃপতিত অভ্রটি ছেঁকে বার করে নিতে হবে। এনে বলে ধান্যভ্রকম।
এই ধান্যভ্রকম পেশাই
করে মাদার গাছের রসে সঙ্গে সারাদিন ধরে মিশিয়ে রেখে দিনের শেষে পেতে বিছিয়ে দিতে
হবে। এই বিছানাকে মাদার গাছের পাতা দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। একে আবার নিয়ে নতুন করে
মাদার রসে গুঁড়ো করতে হবে। অভ্র গুঁড়োকে বটের মূলকে ফুটিয়ে বার করা কাথ্বর সঙ্গে
মিশিয়ে আবার নতুন করে ফুটিয়ে তাতে হাওয়া দিতে হবে। এই স্ল্যাকিং পদ্ধতিটি (গুঁড়ো
হওয়া দ্রব্য যখন আর্দ্র হলে ঝরে পড়ে)তিন বার চলবে। এবারে অভ্রমকম ধুলোয় পরিণত হবে।
এর বহু ব্যবহার রয়েছে। তার একটি ওষুধ তৈরি। বহু রোগ উপশম করে, আয়ু বাড়ায়, যৌবন
দীর্ঘস্থায়ী করে।
পুরুষ প্রকৃতির অভ্রম সমসত্ত্ব প্রকৃতির, শেষের
দিকে কোণাকার, খুব উজ্জ্বল, বিন্দুমাত্র ছোপ বিহীন। স্ত্রী অভ্রতে ছোপ রয়েছে, দাগও
থাকতে পারে, অনেকটা ষড়ভূজাকৃতির। পুরুষাকার অভ্রম ওষুধ তৈরিতে খুব ব্যবহার হয়।
প্রায় সব রোগের উপশম করে এবং যৌবন দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করে। স্ত্রী প্রকৃতির
অভ্র স্ত্রীদের শরীরে ব্যবহার করতে হবে। মহিলাদের শরীরের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে কাজে
লাগে এই ধরণের অভ্রম। নপুংশক প্রকৃতির অভ্র খুব বেশি ব্যবহার নেই। সংশ্লিষ্ট
প্রকৃতির অভ্র সংশ্লিষ্ট মানুষেরা ব্যবহার করলেই উপকারের মাত্রা বাড়বে। তবে পুরুষ
প্রকৃতির অভ্র যে কেউ ব্যবহার করতে পারেন। তাতে কাজে স্ফূর্তি বাড়বে। বরাহমিহির
তাঁর বৃহতসংহিতায় বলেছেন বজ্রমকে ওষুধের কাজে ব্যবহারের আগে অবশ্যই পরিশোধন করে
নিতে হবে।
No comments:
Post a Comment