শিলার প্রক্রিয়াকরণ
আগের আলোচনায় উপযুক্ত
পাথরগুলিকে ব্যবহারের জন্য প্রথমে সেগুলিকে পরিষ্কার জল দিয়ে বহুবার ভালভাবে ধুয়ে নিতে
হবে। গুরু অথবা যিনি একাজের দায়িত্বে
রয়েছেন, তিনি দেখে নেবেন যে পাথরের গর্ভ ঠিক আছে কি না। এ ছাড়াও তিনি পাথরের নানান
প্রকৃতি বিষয়ে বিশদে পরীক্ষা করে দেখবেন যাতে যে স্থাপত্য বা মুর্তি তৈরি
হচ্ছে, সেটি দীর্ঘ জীবন লাভ করবে কি না। সম ওজনের বিষ, কাসীস এবং গিরীকা দুধ
জলে ভাল করে গুলে, মনোযোগ দিয়ে সারা শিলার দেহে ঘষে এক রাত রেখে দিতে হবে। পরের দিন পাথরটি
পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। এইভাবে একটি পাথরকে দীর্ঘ দিন সঠিক, অবিকৃত ভাবে রাখা
যায়।
রঙ্গিন পাথর
পাথরের ওপর মঞ্জিষ্ঠা-রুবি
রঙের মণ্ডল থাকলে তাকে দর্দুর গর্ভ বলা হয়। হলুদ রঙকে বলা হয় গোধা গর্ভ, কপিল রঙকে
বলা হয় মুষিক গর্ভ, আর কালো রঙকে বলা হয় সর্প গর্ভ। পাণ্ডু মণ্ডল হল গোধিকা গর্ভ,
কপোত রঙকে বলা হবে বৃশ্চিক গর্ভ। রক্ত বর্ণ হলে কৃকলাস গর্ভ, মধু রঙা হলে
খাদ্যহ গর্ভ, বহু রঙা হলে পিপীলিকা গর্ভ, মাটি বা গিরীকা রঙের হলে বিম্লা গর্ভ,
বালি রঙা হলে কুর্ম গর্ভ বলা হবে। এগুলি আদতে পাথরের গর্ভ দোষ।
কপিল রঙা হলে গুণ গর্ভ, উজ্জ্বল লাল রঙ হলে কৃকলাস গর্ভ, গুলা(Gula) রঙের হলে পক্ষণা গর্ভ, হরিতাল রঙ হুলে কুলীর গর্ভ, চম্পক বা সাদা সাদা ছোপ ছোপ রঙের
হলে তাকে বলা হবে কৃমি গর্ভ, রুক্ষ্ম(ব্রিলিয়ান্ট) রঙের হলে শিকথ গর্ভ, বিশেষ রঙের
লাল হলে তাকে বলা হবে সাধার গর্ভ, বিশেষ রঙের হলদেটে রঙের হলে পতাগ গর্ভ, কুমকুম
রঙের হলে সাধমগ্রি গর্ভ, বংশ রঙের হলে তাকে বলা হবে সুষির গর্ভ, কিংশুক বা পলাশ
রঙের হলে তা হবে বৃত্রারিগোপ বা ইন্দ্রগোপ গর্ভ বা পিপীলিকা গর্ভ, অতসী রঙের হলে
তাকে বলা হবে মক্ষিকা গর্ভ।
উপরে উল্লিখিত বিশদে
বিবৃত বিভিন্ন প্রকৃতির পাথর সংগ্রহের সময় কি কি মাথায় রাখতে হবে তার কথা বলা
হয়েছে। ওপরের কোনও কিছুই যদি না মেলে তাহলে পাথরের ওপর বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে পাথর সংগ্রহ করতে হবে।
No comments:
Post a Comment