কাটা গাছটিকে আবশ্যই
পূর্ব-পশ্চিমের দিকে ফেলতে হবে। গুঁড়িটিকে সোজা করে দাঁড় করিয়ে কাটা দরকার। গাছটি
পড়ার সময় যদি গাছের ছাল ছড়িয়ে না যায়, বা গুঁড়িটি ভেঙে না যাওয়াটি শুভ রূপে ধরে
নেওয়া হয়। এটি হলে গাছের মালিক ধনী হন। যদি গাছ কাটার সময় গাছের শীর্ষ আগে মাটি
স্পর্শ করে ডালপালা ছড়িয়ে যায় উত্তর-দক্ষিণে এবং গুঁড়ি কিছুটা ওপরে উঠে যায়, সেটি
খুবই অশুভ লক্ষণ। গুঁড়িটি অন্য যে কোনও ভাবে পড়াকে অশুভ বলে ধরে নেওয়া হয় না। তবুও
ততটা শুভ নয়। গাছটি পড়ার সময় যদি অন্য গাছকে ধাক্কা মারে তাহলেও সেই লক্ষ্মণ আশুভ
নয়। গাছ পড়ার সময় যদি গুড়িটি সরে যায় তাহলে সেটি খুবই দুর্লক্ষণযুক্ত ঘটনা। গাছটি
পড়ার সময় যদি ভেঙে যায় সেটিও অশুভ হিসেবে মান্য করা হয়, ধরে নেওয়া হয় যে আগামী
সময়ে নানান কাজে বাধা আস্তে যাচ্ছে।
গাছ কাটার কাজটি নিয়ম
মেনে করতে হবে। গুঁড়িটিকে চার পাশে সমান করে কেটে চৌকো করে তোলা দরকার। গুঁড়ি চৌকো
করে কাটার পর সেটিকে সাদা কাপড়ে জড়িয়ে প্রয়োজনীয় শকটে চড়িয়ে কাজের স্থানে
সতর্কভাবে বহন করে নিয়ে যাওয়া উচিত। মন্দির বা প্রাসাদ তৈরির উদ্দেশ্যে যে গুঁড়ি
কাটা হচ্ছে সেটিকে হাতি বহন করে নিয়ে যেতে হবে। অন্য নানান স্থাপত্য বিষয়ে নানান
বাহন এমনকি মানুষকেও বাহক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।কাজের যায়গায় বালির স্তুপ
তৈরি করে সেই গুড়িগুলোকে মাথার দিকটি উঁচুর দিকে করে রাখতে হবে। কোনও ভাবেই সেই
অবস্থার পরিবর্তন করা যাবে না। সেই অবস্থায় রেখেই করাত ব্যবহার করে প্রয়োজন
অনুযায়ী ৮, ৫ বা ৩ টুকরোয় ভাগ করতে হবে।
মৃল্লোষ্টক(ছাদের
টালি)
ইট তৈরি করার মাটি
যেভাবে প্রস্তুত হয়, সেই ভাবেই কাদা কাদা করে লেই তৈরি করে রাখতে হবে। এই লেইটির
নাম মৃৎসন। এই ধরণের কাদা মাটি দিয়েই ছাদের টালি তৈরি করতে হয়।
বিভিন্ন প্রকারের
লোষ্টম এবং তাদের পরিমাপ – ১। নিপ্রালোষ্টম ২। অর্ধলোহষ্টম ৩। তুর্যাশ্রম ৪।
কুরালোষ্টম ৫। আস্পালোষ্টম(দ্বয়াষ্ট্রম) ৬। কীলালোষ্টম ৭। কৃশাগ্রলোষ্টম ৮। স্তুলোগ্রালোষ্টম ৯। কোণালোষ্টম ১০।
পোতালোষ্টম।
No comments:
Post a Comment