বিদ্যাসাগর যে সমীক্ষা
বিষয়ে নিশ্চুপ ছিলেন, Even
Vidyasagar Silent on Adam Report
বিশ্বেন্দু নন্দ
biswendu nanda
মধ্যবিত্তের দায়ভাগ
১৯১০ নাগাদ হরপ্রসাদ
শাস্ত্রী ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কুফল বাখানে আগ্রহী হয়ে (হরপ্রসাদশাস্ত্রী
রচনাবলী(১-৫) – সম্পাদকের ভূমিকা) ব্রিটিশিয়
মিথ-মিথ্যার প্রতিবাদের চেষ্টা করেছিলন। সেটুকুও পারেননি তাঁর
বহু অনুগামী। সবই ব্যাদে আছে... ইংরেজপন্থী
মধ্যবিত্তের প্রণোদনায় বাঙালি তথা বাঙলার ঐতিহ্যকে হেয় করার অসামাজিক এই নির্মমতম
অশ্লীল ব্যঙ্গ-বাচনটির বাইরে বেরিয়ে এসে আজ ভারত তথা বাঙলার জ্ঞাণ-বিজ্ঞাণচর্চার ইতিহাসের
সূত্র আর বাস্তবতার খোঁজ চলছে। তারই অন্যতম হাতিয়ার
উইলিয়ম এডামএর শিক্ষা সমীক্ষা। ১৮০০ সালের প্রথম পাদে
ভারতে কোম্পানি সরকার পাঞ্জাব, মাদ্রাজ আর বাঙলায় তিনটি শিক্ষা সমীক্ষা করে।
বাঙলায়
করেন উইলিয়ম এডাম। মাথাঘোরানো সমীক্ষাটিরর নাম Reports on the State of
Education in Bengal 1836 and 1838। ১ জুলাই ১৮৩৬ প্রথম,
২৩ ডিসেম্বর ১৮৩৬ দ্বিতীয়, ২৮ এপ্রিল ১৮৩৮ তৃতীয় ও শেষ দফায় জমা পড়ে এডাম শিক্ষা সমীক্ষা।
On 1910, Mahamahopadhaya Haraprasad Shatri, one of the
exponents of people’s tradition of Bengal ,
trying to depict the ills of the British colonialism. On the first half of 19th
century, the British Colonial Government of India organized three surveys – one
in Punjab, Other on Madras and also in Bengal . the Bengals report name Reports on the State of Education in Bengal 1836
and 1838. This details
report was done by an influential Baptist Missionary, William Adam. As it was
directed and sponsored by the colonial government, it was understood that, this
is a government report.
কোন বাঙলার সমীক্ষা
করলেন এডাম! যে বাঙলায় ৫০ বছর আগে ব্রিটিশ মদতে ছিয়াত্তরের মন্বন্তরে তিনকোটি
বাঙালি-বিহারি খুন হয়, ক্লাইভ, হেস্টিংসএর লুঠেরা সময় পেরিয়ে কর্নওয়ালিসের
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে যে গ্রাম বাঙলা নিঃস্ব হয়েছে সেখানে মোট এক লাখ, কোনও কোনও
গ্রামে ছটি পাঠশালেরও সন্ধান পাচ্ছেন! প্রায়ভেঙেপড়া সময়ে লৌকিক বাঙলার এই
শিক্ষাসাজ, সব্বাইকে নিয়ে বেঁচে থাকার দর্শণ, সবাইকে শিক্ষাসত্রে পড়ানোর বিনম্র আয়োজন,
আজও আশ্চর্যের।
But we have to understand the time and space of
Bengal of that time. We have to remember that
the loot of Clive, Hestings more over The British East India Company, the
policy of Parmanent Settlement of Cornowallis, made Bengal-Bihar a poor land of
mass, in 1770-71(in Bengali era 1176) a genocide pogrom was organized by
colonial state which is known as CHIATTORER MONWONTOR, where over a crore of
Bengali-Behari was annihilated. If it is not a surprising fact that after the
en-mass loot of the british government, William Adam in his survey finding out
1 lakh decentralized Pathshalas in 1.5 lakh villages from Ntore of now
Bangladesh to Trihoot of Bihar. The work of Morris Dobb tells us that the
British do not have such elaborate and enmass schooling system.
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরমশাই বাঙলার পারম্পরিক পাঠশালভিত্তিক
টোল ব্যবস্থার প্রতিভূ। এডাম সমীক্ষায় সারাজীবন নীরব থেকেছেন। সাংখ্য আর বেদান্ত
মিথ্যা দর্শণ প্রামাণ করেছেন। সেগুলির পাঠ্যক্রম
থেকে বর্জনের সুপারিশকর্ম গবেষকদের বাহবাও অর্জন করেছে(বিনয় ঘোষ, বিদ্যাসাগর ও
তত্কালীন বঙ্গসমাজ)। উন্নতিশীল বাংলার
মধ্যবিত্ত আর বুদ্ধিজীবিদের নীরবতা-বিরোধিতায় লুপ্তহয়েগেল কয়েক হাজার বছরের বাংলার
সর্বজনের শিক্ষা ব্যবস্থা। জেনারেল কমিটি অব
পাবলিক ইন্সট্রাকশন-এর সদস্য হোল্ট ম্যাকেঞ্জি ১৮৩২এ বললেন To provide for the education of the great body of the people seems to
be impossible। ম্যাকেঞ্জির সূত্রে
গলা মেলালেন বিদ্যাসাগরেরমত মহাতেজেরা(সূত্রঃ ঐ)।
Iswarchandra
Vidyasagar was one of the product of these Pathshalas. He did not utter a word
in favour of William Adam. Even he pronounced and endorsed that, according to
western epistemology, Sankhya and Vetanda are false philosophy. Binoy Ghosh,
one of the pioneer of researching the time of Vidyasagar, accolades’ him to
brickbat Indian tradition. And it is not surprising that from 1836 hardly anyone
discussed about the survey. The then member of General Committee of Public
Instruction, Holt Mackenzie wrote that
…To provide for the education of
the great body of the people seems to be impossible. And Iswarchandra echoed Mackenzie’s
claim.
বীরসিংহেরমত হাজারো বাঙলার গ্রামের দেবোত্তর,
পীরোত্তরএরমত এজমালি, নিষ্কর জমির উদ্বৃত্ত দিয়ে সেচ, শিক্ষা ইত্যাদিরমত
পরিকাঠামোর খরচ চলত, দখল হল। ১৯০ বছর ধরে সেই খাজনা
গেল ব্রিটেনে। রিচার্ড স্টিভেনসন, বেঙ্গল টাইগার এন্ড ব্রিটিশ লায়ন, এন একাউন্ট
অব দ্য বেঙ্গল ফেমিন ১৯৪৩ বইতে বলছেন, ১৮৭০-৭১এ বাঙলার ২৪ পরগণা থেকেই আয় ৩,২১,৪৮৩
টাকা আর ব্যয় ৮৩,৫৭৩ টাকা। পার্থক্য ৪০০ শতাংশ।
ব্রিটিশ
রাষ্ট্র এই উদ্বৃত্ত আয় করছে এমন একটা সময়ে যখন উত্তমর্ণ বাঙলা অধমর্ণ।
শহুরে
মধ্যবিত্তের রেনেঁসাঁয় গ্রাম সমাজের ঘটল সলিল সমাধি। হাজার হাজার বছর ধরে
তিলে তিলে বাঙলার গ্রামীণদের প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠা সামাজিক পরিকাঠামো ভেঙেগেল মধ্যউচ্চবিত্ত
ব্রিটিশ-বাঙালি-প্রশাসকেদের যৌথ লুঠউদ্যমে।
It
is a clear fact that these decentralized chain of pathshalas were the
initiatives of the village administration. The administration use to allocate lands
in various names like DEVOTTOR, PIROTTOR, LAKHERAJ to run these kinds of public
institutions like Pathashalas. After the Palassy, 1757, the British Government
of India robbed all the entitlements enjoyed by various self-run social
institutions. Like tax free lands. These lands were taxed heavily to
industrialize
No comments:
Post a Comment