লেখাটার ভাবনা শুরু হয়েছিল ঋতুর লিঙ্গ পরিবর্তনের খবরগুলো পাওয়ার পর। কোটি কোটি বাঙালির যেমন তাঁকে চিনত, আমিও সেই ভাবেই তাঁকে চিনেছি। আমারা যারা পুরনো বাংলা নিয়ে স্বপ্ন দেখি, গ্রাম বাংলার জোরের দিকে আলো ফেলার চেষ্টা করি, মনেকরি গ্রামীণ বাংলা-ভারতই পারে আগামী দিনের বিশ্বকে পথ দেখাতে, তাদের সামনে ঋতুর জীবন যেন অনেক না বলা কথা। তার জীবন আমাদের কাছে অনেক কিছু শিখিয়ে গেল, কি ভাবে আমরা আমাদের সভ্যতাকে দেখব, কিভাবে আমরা দেখব নিজেদের নানান সৃষ্টি, দর্শন, নানান সম্পদকে। ঋতুর মৃত্যুতে এইটুকু কাজ যদি করে যেতে পারি... দেখ যাক।
মৃত্যুর পরে মানুষ ঈশ্বর হয়ে যান - বাঙ্গালী শহুরে প্রবাদ।
অ্যান্ড ঈশ্বর ক্যান ডু নো রং।
বেঁচে থাকতে থাকতে ঋতুর কাজকে পর্ণো বলেছে এমন দেশের মানুষ, যে দেশে হয়েক হাজার বছর আগে জীবনের যত কিছু কামনাকে গ্রন্থনা করা হয় কামসূত্রে, বারবনিতা সামাজিক সম্মান লাভ করতেন, বেশ্যা বাড়ির মাটি ছাড়া আজও দুর্গা পুজো হয় না, কামের আরতি স্বরূপ ভাজপার ভারতে আর শহুরে ব্রিটিশ সভ্যতায় যেগুলোকে অজাচার বলা হয়, পশ্বাচার বলা হয় তাঁর উদাহরণ সগর্বে ভারত জোড়া মন্দিরে মন্দিরে বিরাজ করে, কবিবর কালিদাসের কলমে অবলীলায় বিশ্ব পিতা-মাতা অসম্ভব কাব্যময় ছন্দে "বিপরিীত রতিতুরাম"এ লিপ্ত হওয়ার পর পার্বতীর মাথার ফুলের রেনু বিশ্ব পিতার তৃতীয় নয়নে পড়েছে - এমন উপমা দিতে পারেন, পাঠ্য পুস্তকে ছাত্র ছাত্রীরা আজও গঙ্গাস্তব পাঠ করে- কুচযুগ শোভিত মুক্তা হারে, যে দেশে বৈষ্ণবরা শুধু কণ্ঠী বদল করলেই এক সঙ্গে বাস করার সামাজিক অনুমদন লাভ করে, যে দেশে নগ্ন কালো মেয়ে দেবীরূপে পূজিত হন, যে দেশে শিব-পার্বতী এক দেহে বিচরন করেন, যে দেশে পুরুষই নৃত্যের দেবতা, যে দেশের মেয়ে পাঁচটি পুরুষ বিয়ে করেও অন্যএক পুরুষকে সরাসরি বন্ধু বলতে পারে, অর্জুন মহিলা সেজে স্বর্গে নাচ শেখান।
তবুও ঋতুকে লিঙ্গ পরিবর্তন করতে হয়। পশ্চিম আমাদের শিখিয়েছে মেয়েদের যৌনতা ভারতে অবদমিত। ভগবান আজ আর নেই। আমারা আবার আমাদের অন্তরে, আমাদেরি তৈরি সভ্যতায় ঝুঁকে দেখার চেষ্টা করি, পশ্চিমি কুয়াশা সরিয়ে। ঋতুপর্ণকে কেড়ে নিল পশ্চিমি সভ্যতা। তাঁর মৃত্যু আমাদের এইটুকু শিখিয়ে যাক।
এই লেখাটা তৈরির জন্য একক মাত্রা পত্রিকা দায়ি - মন্তব্যের জন্য দায়ি লোকফোক - কলাবতী মুদ্রা। একক মাত্রার ফেসবুকের মন্তব্য থেকে এই লেখটি তৈরি হল।
মৃত্যুর পরে মানুষ ঈশ্বর হয়ে যান - বাঙ্গালী শহুরে প্রবাদ।
অ্যান্ড ঈশ্বর ক্যান ডু নো রং।
বেঁচে থাকতে থাকতে ঋতুর কাজকে পর্ণো বলেছে এমন দেশের মানুষ, যে দেশে হয়েক হাজার বছর আগে জীবনের যত কিছু কামনাকে গ্রন্থনা করা হয় কামসূত্রে, বারবনিতা সামাজিক সম্মান লাভ করতেন, বেশ্যা বাড়ির মাটি ছাড়া আজও দুর্গা পুজো হয় না, কামের আরতি স্বরূপ ভাজপার ভারতে আর শহুরে ব্রিটিশ সভ্যতায় যেগুলোকে অজাচার বলা হয়, পশ্বাচার বলা হয় তাঁর উদাহরণ সগর্বে ভারত জোড়া মন্দিরে মন্দিরে বিরাজ করে, কবিবর কালিদাসের কলমে অবলীলায় বিশ্ব পিতা-মাতা অসম্ভব কাব্যময় ছন্দে "বিপরিীত রতিতুরাম"এ লিপ্ত হওয়ার পর পার্বতীর মাথার ফুলের রেনু বিশ্ব পিতার তৃতীয় নয়নে পড়েছে - এমন উপমা দিতে পারেন, পাঠ্য পুস্তকে ছাত্র ছাত্রীরা আজও গঙ্গাস্তব পাঠ করে- কুচযুগ শোভিত মুক্তা হারে, যে দেশে বৈষ্ণবরা শুধু কণ্ঠী বদল করলেই এক সঙ্গে বাস করার সামাজিক অনুমদন লাভ করে, যে দেশে নগ্ন কালো মেয়ে দেবীরূপে পূজিত হন, যে দেশে শিব-পার্বতী এক দেহে বিচরন করেন, যে দেশে পুরুষই নৃত্যের দেবতা, যে দেশের মেয়ে পাঁচটি পুরুষ বিয়ে করেও অন্যএক পুরুষকে সরাসরি বন্ধু বলতে পারে, অর্জুন মহিলা সেজে স্বর্গে নাচ শেখান।
তবুও ঋতুকে লিঙ্গ পরিবর্তন করতে হয়। পশ্চিম আমাদের শিখিয়েছে মেয়েদের যৌনতা ভারতে অবদমিত। ভগবান আজ আর নেই। আমারা আবার আমাদের অন্তরে, আমাদেরি তৈরি সভ্যতায় ঝুঁকে দেখার চেষ্টা করি, পশ্চিমি কুয়াশা সরিয়ে। ঋতুপর্ণকে কেড়ে নিল পশ্চিমি সভ্যতা। তাঁর মৃত্যু আমাদের এইটুকু শিখিয়ে যাক।
এই লেখাটা তৈরির জন্য একক মাত্রা পত্রিকা দায়ি - মন্তব্যের জন্য দায়ি লোকফোক - কলাবতী মুদ্রা। একক মাত্রার ফেসবুকের মন্তব্য থেকে এই লেখটি তৈরি হল।
No comments:
Post a Comment