this is a book review of rabin majumder, teacher, activist. he wrote a lot about acharya prafulla chandra roy, in his 150th birth year celebration. charcapad, published these writings in a book called acharya prafulla chandra. prasanta chatterjee, editor of little magazine, kaladhwani, asked me to review this book. i did that humbly.
the task is very difficult, because he is one of the legends of our time. he have a split personality. he have established gigantic east india farmacuticals at the same time he is praising charka and a adarant follower of gandhi's ideology.
i have gone through this book as well as prafulla chandra's many writings. as i am not good at english(i am not good at bengali also), it is difficult to translate it. if any one can do that, i will be obliged.
thanking you all
বেশ ভয় ভয় করছে। রসায়নচর্চা ছেড়েছি বারো শ্রেণীতে। উচ্চমাধ্যমিকের
তিরিশ বছর পেরিয়ে আসার পর আজ রসায়ন অর্থে ভাসা ভাসা কয়েকটা শব্দভাণ্ডার শুধু। এ হেন রসায়নবিদ্যায় বিদ্যাধর যে বইটি আলোচনা করছে, সেটির
লেখক রবীন মজুমদার, রসায়নবিদ এবং চিন্তাবিদ। আলোচ্য ব্যক্তিত্ব আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, জন্মের দেড়শ বছর পার করেও
রসায়নশাস্ত্র ছাড়িয়ে, নানান ক্ষেত্রে তাঁর ব্যাপ্তি আজও স্মরণীয়। ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছি পণ্ডিত
যে রাস্তায় যেতে ভয় পান, মুর্খ সেই পথে নির্ভাবনায় হেঁটে যায়। মুর্খমতি আমি, সেই
পথে আমারমত করে বইটির কয়েকটি দিক বোঝার চেষ্টা করব। আমি নয়, আদতে বহুবচন, আমরা। আমরা
কলাবতী মুদ্রা। বাংলার কথ্য বা লেখ্য সাহিত্যে ইতরজনরূপে সম্বোধিত(উদাহরণ - দীনেশ্চন্দ্র সেন,
বৃহৎবঙ্গ) গ্রামীণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে, বাংলার অতীত গরিমা, বাংলার ইতিহাস বোঝার
চেষ্টা করছি, ইতিহাস থেকে খুঁটে খুঁটে তাদের কৃতি, দর্শন নথিবদ্ধ করার প্রচেষ্টা
শুরু করেছি বিগত দেড় দশক ধরে। সম্পাদকের সস্নেহ উতসাহে এই বইটির পরিচিতি ভাবনা লেখা, দলেরই চিন্তার প্রকাশ। শিরোনামের দলের পক্ষে লেখক হিসেবে নামটা গেল শুধু
ব্যক্তি পার্থর। দল
যে লেখাই তৈরি করে না কেন, আদতে সে লেখা, গ্রামীণদের দৃষ্টিতে বাংলা আর বাঙালীকে
দেখার নতুনকরে একটি সুযোগ পাওয়ামাত্র।
বক্ষ্যমান পুস্তক
পরিচিতিতে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়এর সময়ের বাংলাকে দেখার চেষ্টা করেছি আমরা। বাংলার ইতিহাস বিশ্লেষণ থেকে
প্রফুল্লচন্দ্রকে যতটুকু বুঝেছি- তাঁর রসায়ন চর্চা ছিল, দেশ নামক এক বিমূর্ত অবয়বকে
জানার অন্যতম উপাদান, দেশের মানুষের সেবার হাতিয়ার। তাঁর কর্মজগৎ এমন এক সময়ে গড়ে
উঠতে শুরু করেছে, যখন বাংলার অতীত-গর্ব অস্তমিত, ঔপনিবেশিক লুঠ, অত্যাচারে বাংলা
নুব্জ। শহুরে বাংলা ইওরোপিয় দর্শনে
ঢলেপড়ে গদগদ। শিল্প
কারখানা বলতে বাংলা বুঝতে শুরু করেছে আকাশ অবধি ঊঠে যাওয়া ধোঁয়া ছাড়া বিশাল বিশাল চোঙা,
অনন্ত পরিমাণ জমি দখল করে কয়েকটি পণ্যদ্রব্য প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন করে বিশ্ব
বাজার ছেয়ে ফেলা আর ব্যাবসার সমস্ত লাভ কয়েকজনের হাতে জড়ো হওয়া। সেই, সময়ের চাহিদার টানাপোড়েনের
মাঝে দাঁড়িয়ে প্রফুল্লচন্দ্র নিজেরমত করে বাংলাকে গড়ে তোলা, দেখার চেষ্টা করছেন,
বাংলার অস্তমিত শিল্পগরিমাকে নতুন করে দিশা দেওয়ার চেষ্টা করছেন, পশ্চিমের শিল্প ভাবনার
সঙ্গে পূর্বের ব্যবসা ব্যবস্থাপনাকে মেলাতে চাইছেন।
মনেরমত শিল্পস্থাপন করলেন।
পরিণতি সুখকর হল না। পশ্চিমি প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে শিল্প রসায়নের ইতিহাস লিখলেন। হয়তো তার মনের ভেতরে লুকোনো ছিল পুরনো বাংলা বা ভারতকে
জানার এবং জানানোর আকাঙ্ক্ষা। যিনি চরকার স্তুতি গাইতে পারেন, যিনি
বাঁকুড়া-বীরভুমের জলস্তর নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন, যিনি বুঝেছিলেন রেলপথ মানেই
সেচ ব্যবস্থার দফারফা, তিনি আদতে আদ্যপান্ত যে দেশ(জাতিরাষ্ট্র নয়)রোমান্টিক, সে
বিষয়ে দুবার ভাবতে হয় না। আমরা বিশ্বাস করি, প্রফুল্লচন্দ্র আর তাঁর সময়কে বুঝতে
গেলে পলাশী পূর্ব গ্রামীণ ভারতবর্ষ আর পলাশি উত্তর সত্তর বছরের কোম্পানি রাজত্বে
লুঠ (এটিরও বিশ্লেষণ প্রফুল্লচন্দ্র করেছেন), অত্যাচার, বিশিল্পয়ন, বাংলার
জ্ঞানচর্চার বিনাশ, বাংলার নিজস্ব প্রযুক্তিরপ্রতি উন্নাসিকতা, বাংলার অর্থনীতির
পতনের ইতিহাসটাও কিঞ্চিত চর্চা জরুরি। নয়ত অনেক তত্ত্বিক পৃষ্ঠভূমি অধরা থেকে যেতে পারে।
বাংলার সামগ্রিক এই প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ
করে আচার্যের কাজ, তাঁর সময়কে বিচার করতে চলেছি আমরা, আমাদের মত করে।
No comments:
Post a Comment