নিচের ছবিতে যাকে দেখছেন, তাঁর নাম অধ্যাপক ড দীপঙ্কর দে। তিনি পা মুড়ে বসে রয়েছেন ফুলিয়ার বয়ন শিল্পীদের সমবায়ে আজ।
অথচ দীপঙ্করদা চার মাস আগেও পা মুড়ে মাটিতে বসা দূরস্থান, তিনি ট্যাক্সিতে বসলে, তাকে ধরে নামাতে হত। পকেটে টাকা বার করতে গেলে অন্য ব্যক্তির সাহায্য নিতে হত। শরীরের ব্যথায় এতই কাবু হয়ে পড়তেন শ্রেণী কক্ষে পড়াতে পড়াতে ঘুমিয়ে পড়েছেন বহুবার। সারা দিনে ৮ হাজার মিগ্রার এলোপ্যাথিক ওষুধ খেতেন তিনি।
গত চার মাস ধরে দীপঙ্করদা, পরম বাংলা ভেষজ বিদ্যাকল্পএর স্বাস্থ্য বিধায়ক, নারায়ণ মাহাতর অধীনে চিকিতসাধীন। বিগত তিন বছর ধরে, স্বাস্থ্য বিধায়ক, কুড়মি সমাজের সুসন্তান, নারায়ণ বিভিন্ন পরম্পরার সমাজের মৌখিক স্বাস্থ্য বিধান লিপিবদ্ধ করছেন অসামান্য পাণ্ডিত্যে এবং শিক্ষার্থীর মনোভাবে।
মুষ্কিপুর গ্রামের স্বাস্থ্য বিধায়ক নুরুল ইসলামের তৈরি ব্যথার তেল এবং নিজের আবিষ্কৃত কিছু বড়ি নিয়ে তিনি দীপঙ্করদা আর Prasun Bhaumik এবং বিশ্বেন্দুর শ্বশুর বাড়িতে চিকিৎসা আরম্ভ করেন।
অন্য বাড়ির চিকিৎসার কথা বলছি না(বলছি না যে ওয়াকার ধরে হাঁটা বিশ্বেন্দুর শ্বাশুড়িমাতা আজ ওয়াকার ছাড়াই ছাদে একা একা তিনি তলার উঠে যান), দীপঙ্করদার চিকিৎসার জন্য আরেকটু নতুন জিনিস দেওয়া হয়। রাতে খাবার জন্য একটি শক্তি বর্ধক বড়ি মহুল লাঠা।
চিকিৎসার একটি ফল দৈনিক বিপুল কড়া ডোজের এলোপ্যাথিক ওষুধ খাওয়া প্রায় বন্ধই করে দিয়েছেন। বললেন অভ্যেস হয়ে গিয়েছে, তাই কয়েকটি বজায় রেখেছি মাত্র। আজ তাঁতি প্রবর, হরিপদ বসাকের কর্মস্থলে জিএসটি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি পা মুড়ে মাটিতেই বসে পড়েন, এবং এক ঘন্টা মাটিতেই বসে ছিলেন। কয়েক মাস আগে হলে তাঁকে চেয়ার দিতে হত বসার জন্য।
সঙ্গের ছবিতে দীপঙ্করদা, নুরুল ইসলামের তেল আর নারায়ণ মাহাতর আবিষ্কার মহুল লাঠা।
No comments:
Post a Comment