Friday, August 4, 2017

রাণী রাসমণি - বিতর্ক

রাসমণি মাছ ধরায় কর চাপানোর বিরুদ্ধে লড়াই করে জেলেদের বাঁচান। দ্বারকানাথ ব্যাঙ্ক লুঠ করতে দেন শাসককে। 
প্রশ্ন করুণ নবজাগরণ তত্ত্বকে
মন্তব্যগুলি
Rafiqul Haq Akhand এ কোন রাসমণির কথা বলছেন ? হাজং সংগ্রাম, নেত্রকোণার ?
পরিচালনা করুন
Biswendu Nanda ইনি এ বাংলার, কৈবর্ত কন্যা। হালিশহরে জন্ম। বিয়ে হয় জানবাজারের জমিদারের সঙ্গে। দক্ষিণেশ্বর প্রতিষ্ঠা করেন রামকৃষ্ণদেবকে দিয়ে।
পরিচালনা করুন
Rafiqul Haq Akhand ধন্যবাদ, ছোট্ট তথ্যের জন্য | তাঁর সম্পর্কে আরো জানতে পারলে ভালো হতো |
পরিচালনা করুন
Biswendu Nanda আমার সময়ে এই প্রকাশনার নিচেই জোর আলোচনা চলছে। দেখে নিতে পারেন। মহীয়সী কন্যা ছিলেন তিনি।
পরিচালনা করুন
Sayan Bhattacharyya "রাণী রাসমণি (২৬ সেপ্টেম্বর, ১৭৯৩ – ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৮৬১) ছিলেন কলকাতার জানবাজারের বাসিন্দা প্রসিদ্ধ মানবদরদি জমিদার। তিনি দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ির প্রতিষ্ঠাত্রী এবং রামকৃষ্ণ পরমহংসের অন্যতমা পৃষ্ঠপোষক।

"রাণী রাসমণি তাঁর বিবিধ জনহিতৈষী কাজের জন্য খ্যাতি
 অর্জন করেছিলেন। তিনি তীর্থযাত্রীদের সুবিধার্থে সুবর্ণরেখা নদী থেকে পুরী পর্যন্ত একটি সড়ক পথ নির্মাণ করেন। কলকাতার অধিবাসীদের গঙ্গাস্নানের সুবিধার জন্য তিনি কলকাতার বিখ্যাত বাবুঘাট, আহিরীটোলা ঘাট ও নিমতলা ঘাট নির্মাণ করেন। ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরি (অধুনা ভারতের জাতীয় গ্রন্থাগার) ও হিন্দু কলেজ (অধুনা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়) প্রতিষ্ঠাকালে তিনি প্রভূত অর্থসাহায্য করেছিলেন।

"১৭৯৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অধুনা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হালিশহরের কোনা গ্রামে এক দরিদ্র কৃষিজীবী মাহিষ্য পরিবারে রাণী রাসমণির জন্ম হয়। তিনি ছিলেন অসামান্যা সুন্দরী। মাত্র এগারো বছর বয়সে কলকাতার জানবাজারের ধনী জমিদার বাবু রাজচন্দ্র দাসের সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি স্বহস্তে তাঁর জমিদারির ভার তুলে নেন এবং অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তা পরিচালনা করতে থাকেন। ব্যক্তিগত জীবনে রাণী রাসমণি এক সাধারণ ধার্মিক বাঙালি হিন্দু বিধবার মতোই সরল জীবনযাপন করতেন। ১৮৬১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁর জীবনাবসান হয়।"

https://bn.wikipedia.org/.../%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3...
রাণী রাসমণি (২৬ সেপ্টেম্বর, ১৭৯৩ – ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৮৬১) ছিলেন কলকাতার জানবাজারের বাসিন্দা প্রসিদ্ধ…
BN.WIKIPEDIA.ORG
পরিচালনা করুন
Rafiqul Haq Akhand আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, একটু বিস্তৃত তথ্য উপস্থাপনের জন্য | ঋদ্ধ হলাম |
মুছে ফেলুন
মানস দাশ আরে,
ঠাকুর মশাইয়ের এই গুণকেত্তন জানা ছিলনা তো!!!
পরিচালনা করুন
Biswendu Nanda কত কিছু জানবেন ভাই। নিজের প্রতিষ্ঠিত ব্যাঙ্কে কোন ইংরেজ ধার নিয়ে শোধ করেন নি, বা কোন ইংরেজ কর্মচারী সে যুগে এক লক্ষ টাকা তছরূপ করেছেন, তিনতাতাদের বিরুদ্ধে মামলা না করে নিজে সেই টাকা শোধ করেছেন। কেন? কিসের জন্য? রবীঠাকুরের ঠাকুর্দা, সে যুগের মস্ত ধনী। ১৮৪২ সালে লন্ডনে গিয়ে তাঁর মাসের খরচ ছিল এক লক্ষ টাকা। আজকের হিসেবে? এই টাকাগুলো আসত কোথা থেকে? গাঁইয়াদের ব্যবসা মারার শর্তে। 
কোন একদিন ধারাবাহিক করব - দ্বারকানাথ আর রামমোহনকে উভয়ের কীর্তি কাহিনী নিয়ে।
চোখ চড়কগাছ হয়ে যাবে।
পরিচালনা করুন
Sayan Bhattacharyya বাংলার নবজাগরণ : সমীক্ষা ও সমালোচনা (বিনয় ঘোষ):

"...আঠার শতকের শেষে, ১৭৯৩ সালে, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের ফলে যখন নতুন জমিদারশ্রেণীতে রূপানতরিত হবার পথ নব্যধনিকের সামনে উন্মুক্ত হয়ে যায়, তখন তাঁরা ভোগবিলাসের পর উদ্‌বৃত্ত টাকা প্রধানত জমিদারী কিন
তে ব্যয় করেন। কার্ল মার্কস তাঁর Notes on Indian History গ্রন্থে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলাফল প্রসঙ্গে লিখেছেন ‘greater part of the province’s landholdings fell rapidly into the hands of a few city-capitalists who had spare capital and readily invested it in land’. স্বাধীন শিল্পবাণিজ্যক্ষেত্রে যাঁরা কিছুটা সেই সময় উদযোগী হন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন রামদুলাল দে ও দ্বারকানাথ ঠাকুর, কিন্তু উভয়েই শেষ পর্যনত বিশাল স্থাবর সম্পত্তির মালিকে পরিণত হন। 

"শহর থেকে উপার্জিত অর্থে আরও কতজন যে খুদে-মাঝারি জমিদার ও মধ্যস্বত্বভোগীতে পরিণত হয়েছিলেন তার ঠিক নেই। ১৮৭২-৭৩ সালের প্রশাসনিক রিপোর্টে দেখা যায় যে মধ্যস্বত্বের বিস্তারের ফলে জমিদারীর সংখ্যা বাংলাদেশে দেড় লক্ষের বেশি হয়েছে, বিশ হাজার একরের উপরে বড় জমিদারীর সংখ্যা পাঁচশ’র কিছু বেশি, বিশ হাজার থেকে পাঁচশ একরের মধ্যে মাঝারি জমিদারী প্রায় ষোল হাজার, এবং পাঁচশ একর ও তার কম ছোট জমিদারীর সংখ্যা দেড় লক্ষের কিছু কম। এর সঙ্গে যদি জমিদার-পত্তনিদার-জোতদারদের গোমস্তা নায়ের তহশীলদার পাইক দফাদার প্রভৃতি কর্মচারী ও ভৃত্যদের সংখ্যা যোগ করা যায়, তাহলে দেখা যাবে ঊনিশ শতকের শেষ পর্বে ব্রিটিশ ভূমিরাজস্বনীতির ফলে বাংলাদেশের গ্রাম্যসমাজে কমপক্ষে সাত-আট লক্ষ লোকের এমন একটি ‘শ্রেণী’ (সামাজিক ‘স্তরায়ন’) তৈরি হয়েছে, যে শ্রেণী ব্রিটিশ শাসকদের সুদৃঢ় স্তম্ভস্বরূপ।"

http://www.bangarashtra.net/article/111.html
সমাজের মতো সামাজিক ইতিহাসের সমীক্ষাও গতিশীল।…
BANGARASHTRA.NET
পরিচালনা করুন
Biswendu Nanda ১) রামদুলাল আর দ্বারকানাথের মধ্যে কোন তুলনাই চলতে পারে না। দ্বারকানাথ সরাসরি লুঠের দালালি করেছেন - শেষের দিকে ঘোমটাটাও ছিল না। কিন্তু ব্যবসা করেছেন রামদুলাল।
২) এর আগেও বহুবার বলেছি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত মূলত লুঠের জন্য তৈরি হয়েছিল। বাম ঐতিহাসিকেরা(সিরাজ
ুল ইসলাম, ইংরেজিতে ইতিহাস লেখা অধিকাংশ নিম্নবর্গের ঐতিহাসিক ইত্যাদি) মনে করেন এগুলি ব্রিটিশেরা করেছিল চাষের উৎপাদন বৃদ্ধিতে (মাস কয়েক আগে একটা প্রবন্ধে বিশদে লিখেছিলাম), নীলচাষ আর রামমোহনের তরফদারি করতে যেমন অধিকাংশ বামে ঐতিহাসিক আজও মুক্ত কচ্ছ। 
ক) পলাশীর পরের বাংলার বিশিল্পায়নের পর বাংলার চাষের জমির রাজস্বে হাত পড়ল উপনিবেশের।এক ঝটকায় জমির চরিত্র বদলাল - চাষী আর জমির মালিক থাকল না, মালিক হল চাষ না জানা গ্রামে না থাকা নব্য জমিদার আর তাঁর উপসত্ত্বভোগীরা, যাসদের কাজ অবর্ণনীয় অত্যাচার করে লুঠের সহায়তা করা, নয়ত তাদের জমিদারি সূর্যাস্ত আইনে নিলামে উঠবে - ঠিক এইভাবেই রামমোহন তাঁর বাবার জমিদারির তিন বছরের টাকা মেরে বাবাকে জেলে পাঠিয়ে, জীবনের প্রথম নিজের সুদে খাটানোর বিনিয়োগ যোগাড় করলেন। 
খ) চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সুবিধাভোগী ধনীদের পুর্বপুরুষেরা বাংলা লুঠ, খুন, অত্যাচার, বিশিল্পায়নে ব্রিটিশের নিকৃষ্ট দালালি আর ধ্বংস কার্যে ছোট তরফ হয়ে যে অমিত সম্পদ লুঠ করেছিল - তাদের জমিদারির লোভ দেখিয়ে, রাজস্ব লুঠের বখরাদার করে সেই জমাথাকা সম্পদ নতুন করে লুঠে নেওয়া। 
গ) তৃতীয়ত ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যে গ্রামীন স্বাধীনতা সংগ্রাম বেড়ে উঠছিল, যা তখন শুধু ব্রিতিস রাজসৈন্য দিয়ে দমন হচ্ছিল, এবার থেকে যেহেতু রাজস্ব আর সরাসরি ব্রিটিশ কালেক্টারেরা সংগ্রহ না করে নব্য অনুপস্থিত জমিদারেরা করবে, বিপ্লবী মানুষের সঙ্গে সরাসরিলড়াই হবে ব্রিটিশদের পক্ষে স্থানীয়ভাবে ক্ষমতার ভাগ পাওয়া জমিদারদের সঙ্গে।
পরিচালনা করুন
Biswendu Nanda আর বিনয়বাবুদের মত ইওরোপমন্য ঐতিহাসিক সমাজতাত্ত্বিকেরা হাহাকার করেছেন কেন এখানে Industrial Capitalism বিকাশ ঘটল না। এখনও লুঠেরা Industrial Capitalism ঘটাতে সেই ১৭৫৭ থেকে নেহেরু মনমোহন হয়ে মোদি পর্যন্ত কর্পোরেট কিই না করেছে - তাতেও কর্পোরেটরা সারা ভারতের মোট উৎপাদনের ভাগের মাত্র ২০ শতাংশেও পৌঁছতে পারে নি।
এটাই ভারত। এটাই ভারতীয় উৎপাদনের পথ। কর্পোরেট পথ, লুঠেরা পথ - সেটা ভদ্রদের জন্যে।
পরিচালনা করুন
Ajay Datta চট করে যুদ্ধ ঘোষনা? যে না থাকলে রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ কোথায় থাকতেন দূরবীন দিয়ে দেখতে হত। অথচ, তার একটা ভাল জীবনী লেখা হল না। একমাত্র ব্যতিক্রম একটি উপন্যাস যা জীবনীর ক্ষুদা মিটিয়েছে খানিকটা। রামকৃষ্ণ মিশন এ ক্ষেত্রে অকৃতজ্ঞ।

No comments: