আনন্দবাজারী মধ্যবিত্ত আজ ভদ্রবিত্ততে রূপান্তরিত। যাত্রা তার কাছে পিছিয়ে থাকা বিনোদন মাধ্যম। তারা হাজার হাজার টাকা খরচ করে মলে শাহরুখ অপর্ণা দেখে, শয়ে শয়ে টাকা খরচ করে লোক না হওয়া, সরকারি অর্থে চলা থিয়েটার দেখে, নাচ গান শ্রুতিনাটক দেখে, কিন্তু যাত্রা দেখে না। ভদ্রবিত্ত আর যাত্রা মিউচুয়ালি এএক্সক্লুসিভ। এই ধরণের ভদ্রবিত্তিয় কাগজে/টিভিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া যাত্রা দলগুলির অর্থের অপচয়। ভদ্রবিত্তিয় মিডিয়া সিনেমা বা থিয়েটারের জন্যে যে জায়গা বরাদ্দ রাখে যাত্রার জন্যে তার ভগ্নাংশও রাখে না। মিমি দেব নুসরত দেবশঙ্কর বহুরূপী ধ্রুপদী নৃত্য, গান ইত্যাদি জগত কলকাতার মিডিয়ায় বিনোদনে যে জায়গা/সময় পায়, তারা অনল-কাকলি নিয়ে তার ভগ্নাংশ খবর করেছে কিনা সন্দেহ।
সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ লুঠেরা করপোরেটদের না দেওয়াই ভাল। খবরের কাগজে বিজ্ঞাপনের হার যা বেড়েছে তাতে একটি সাধারণ তিন কলম রঙ্গিন বিজ্ঞাপনের খরচ পড়ে অন্তত আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা। যাত্রা সমাজ আনন্দবাজারি কাগজ জগতকে দেওয়া থেকে সরে এসে তাদের বয়কট করেছে, সেটা অতীব আনন্দের।জেলায় জেলায় যাত্রার নায়েকদের যে যোগাযোগ থাকে সেটাই যাত্রাকে টেনে নিয়ে যায়।
যাত্রার ব্যবস্থাপকেরা কর্পোরেট মিডিয়াকে পয়সা দিচ্ছে না এটা আশার কথা।
No comments:
Post a Comment