আমাদের এক সত্যিকারের বুদ্ধিমান ভাই, সমাপ্তি মন্ডলের ইস্যুতে মনে করছে কৃষকদের উদ্বৃত্ত তৈরি হচ্ছে না, এবং সেই উদ্বৃত্ত খেয়ে যাচ্ছে একা ফড়ে। সে চিন্তা করে, অন্য পথে চলার চেষ্টা করে, কিন্তু কোথাও আমাদের মনে হয়েছিল তার যুক্তিতে ফাঁক থেকে যাচ্ছে।
আমরা বললাম -
//সমস্যা হল তুই সেই ইওরোপিয় বাম্পপন্থীদের মত গোড়া কেটে আগায় জল দিয়ে গাছ বাঁচানোর কায়দায় গোটা বিষয় দেখার চেষ্টা করছিস। ফড়েরা এই কাঠামোর অংশ তো আজকে নয়, হাজার হাজার বছর ধরে। সমস্যা তখন হয় নি আজ কেন হচ্ছে? কেন কর্পোরেট ফড়েরা, সমাজে থাকা ব্যক্তি ফড়েদের দিকে আঙুল তুলতে আমাদের প্ররোচিত করছে? কর্পোরেট ফড়েরা তো এই অর্থনীতির অংশই নয়।
ফড়েদের দায়ের কথা উঠে আসার আগে কেন প্রশ্ন ওঠে না ৬এর দশকে কলকাতাজুড়ে সাম্রাজ্যবাদ ভারত থেকে হাত ওঠাও, গো ব্যাক ম্যাকনামারা ধ্বনি উঠছে সে সময় সুকান্ত ভট্টাচার্যের এক আত্মীয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জমায়েতে ১ টাকা মানি অর্ডার করে যখন বলেছিলেন তোমাদের দেশের যাদের দাস করে এনেছিলে তাদের উপকারের জন্যে বাংলার ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে এটা পাঠালাম, ঠিক তার দেড় দশক আগে থেকেই সাম্রাজ্যবাদের মূল দালাল ফোর্ড ফাউন্ডেশন ইত্যাদির উদ্যমে সারা ভারতে রূপায়িত হচ্ছিল কর্পোরেট কৃষির নীল নকশা - পিছিয়েপড়া চাষ ব্যবস্থা দেগে দিয়ে কৃষকের হাত থেকে চাষের উপাদানগুলি বীজ, সার, জল, নাঙ্গল ইত্যাদি কেড়ে নিয়ে চাষের দাম বৃদ্ধি করা হল যাতে কৃষকেরা জমি ছেড়ে দিয়ে শহরমুখী হয় আর কর্পোরেটরা ভারতীয় কৃষিতে জাঁকিয়ে বসতে পারে। রিচারিয়াকে সরিয়ে আনা হল কর্পোরেটদের দাস স্বামীনাথনকে - হাসির হল আজকের ইওরোপিয় নিদানে যে জৈব কৃষির মডেল তৈরি করা হয়েছে তার মাথা সে। সেদিনের কলকাতা অচল করে রাখা নেতারা দেখতে পান নি, কৃষিতে সিঁদ কাটছে না, দরজা হাট করে ঢুকছে কর্পোরেটরা সরকারি উদ্যমে এবং আহ্বানে। সরকারে আসার পর বামফ্রন্ট সরকারের কৃষি দপ্তর ত্রিশ বছর ধরে ছিল কর্পোরেট কৃষির মাঠ দপ্তর।
আগে নিজেদের ভেতরে ঢুকে দেখ।
আজও দেবল দেব অনুপম পাল পথিকৃতদের কাজে পরিষ্কার দেশিয় কৃষিই একমাত্র পথ কর্পোরেট কৃষি নয়। সবার আগে প্রশ্ন কর কর্পোরেট কৃষিকে। ছোটছোট আঞ্চলিক ফড়েরা যে লাভ করে সে লাভ আমার নিজের অর্থনীতিতে থাকে, কর্পোরেটরা যে লাভ করে সেটা চলে যায় সাগরপারে।
ঠিকঠাক প্রশ্ন কর - কৃষকের এই অবস্থার জন্যে কে দায়ি - কেন তার নিজস্ব দেশিয় কৃষিকে পিছনে ফেলে, ভারতীয় কৃষির রাশ কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিল? এই প্রশ্ন কেন উঠবে না? আমার তোর বাড়ির ছেলে/মেয়েরাই ফড়ে। তাদের বলি না দিয়ে প্রশ্নের আঙুল ওঠা মূল শয়তান কর্পোরেটদের দিকে দেখবি আপসেই সমাধান বেরিয়ে এসেছে।//
ফড়েদের দায়ের কথা উঠে আসার আগে কেন প্রশ্ন ওঠে না ৬এর দশকে কলকাতাজুড়ে সাম্রাজ্যবাদ ভারত থেকে হাত ওঠাও, গো ব্যাক ম্যাকনামারা ধ্বনি উঠছে সে সময় সুকান্ত ভট্টাচার্যের এক আত্মীয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জমায়েতে ১ টাকা মানি অর্ডার করে যখন বলেছিলেন তোমাদের দেশের যাদের দাস করে এনেছিলে তাদের উপকারের জন্যে বাংলার ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে এটা পাঠালাম, ঠিক তার দেড় দশক আগে থেকেই সাম্রাজ্যবাদের মূল দালাল ফোর্ড ফাউন্ডেশন ইত্যাদির উদ্যমে সারা ভারতে রূপায়িত হচ্ছিল কর্পোরেট কৃষির নীল নকশা - পিছিয়েপড়া চাষ ব্যবস্থা দেগে দিয়ে কৃষকের হাত থেকে চাষের উপাদানগুলি বীজ, সার, জল, নাঙ্গল ইত্যাদি কেড়ে নিয়ে চাষের দাম বৃদ্ধি করা হল যাতে কৃষকেরা জমি ছেড়ে দিয়ে শহরমুখী হয় আর কর্পোরেটরা ভারতীয় কৃষিতে জাঁকিয়ে বসতে পারে। রিচারিয়াকে সরিয়ে আনা হল কর্পোরেটদের দাস স্বামীনাথনকে - হাসির হল আজকের ইওরোপিয় নিদানে যে জৈব কৃষির মডেল তৈরি করা হয়েছে তার মাথা সে। সেদিনের কলকাতা অচল করে রাখা নেতারা দেখতে পান নি, কৃষিতে সিঁদ কাটছে না, দরজা হাট করে ঢুকছে কর্পোরেটরা সরকারি উদ্যমে এবং আহ্বানে। সরকারে আসার পর বামফ্রন্ট সরকারের কৃষি দপ্তর ত্রিশ বছর ধরে ছিল কর্পোরেট কৃষির মাঠ দপ্তর।
আগে নিজেদের ভেতরে ঢুকে দেখ।
আজও দেবল দেব অনুপম পাল পথিকৃতদের কাজে পরিষ্কার দেশিয় কৃষিই একমাত্র পথ কর্পোরেট কৃষি নয়। সবার আগে প্রশ্ন কর কর্পোরেট কৃষিকে। ছোটছোট আঞ্চলিক ফড়েরা যে লাভ করে সে লাভ আমার নিজের অর্থনীতিতে থাকে, কর্পোরেটরা যে লাভ করে সেটা চলে যায় সাগরপারে।
ঠিকঠাক প্রশ্ন কর - কৃষকের এই অবস্থার জন্যে কে দায়ি - কেন তার নিজস্ব দেশিয় কৃষিকে পিছনে ফেলে, ভারতীয় কৃষির রাশ কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিল? এই প্রশ্ন কেন উঠবে না? আমার তোর বাড়ির ছেলে/মেয়েরাই ফড়ে। তাদের বলি না দিয়ে প্রশ্নের আঙুল ওঠা মূল শয়তান কর্পোরেটদের দিকে দেখবি আপসেই সমাধান বেরিয়ে এসেছে।//
No comments:
Post a Comment