খেলা আর সামাজিক নেই। কারণ সমাজের হাতে থাকলে বড় কাঠামো তৈরি করার দরকার হয় না। দুর্গাপুজোয় যা হয়েছে। বাংলাদেশে নববর্ষ উদযাপন যা হয়েছে। কলকাতার বইমেলা যা হয়েছে। ভাবুন, ক্রিকেট বা ফুটবল বা অন্য খেলার স্টেডিয়াম তৈরিতে কত বিনিয়োগ হয়। কয়েকশ কোটি। খেলোয়াড় তৈরিতে কত বিনিয়োগ হয়। তার জন্যে রাষ্ট্রকে বিনিয়োগ করতে হয়। সাই তৈরি হয়। আপনার আমার বাড়ির ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ পেতে হয়। সুযোগ, মিশন নামওয়ালা প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে পড়ার মত সঙ্কুচিত হয়।
এবারে আবারও ভাবুন কেন আন্তর্জাতিক খেলায় কর্পোরেট সাহায্য করে? কত বিনিয়োগ করে? এই রাষ্ট্রীয়/কর্পোরেট বিনিয়োগ ছাড়া কোনও খেলোয়াড় তৈরি করা যায় না কেন? কারণ কাঠামোই সেইভাবে তৈরি। যাতে কর্পোরেটদের বড় কাঠামো তৈরি করার স্বার্থ রক্ষা হয়। পাশের বাড়ির মাঠে খেলে পরিশ্রম করে বড় খেলোয়াড় হলে কর্পোরেটদের লাভ কি? সেই তো সেটা সমাজের পরিবারের নিয়ন্ত্রণে থেকে গেল। কাঠামো ছোট হলে, বা না থাকলে কর্পোরেটদের কাজ কি? সেখানে তো সমাজের নিয়ন্ত্রণ থাকবে।ভাববেন, তাই সব খেলাতেই এখন বিপুল বিশাল বিনিয়োগ করা হচ্ছে যাতে তাদের নিয়ন্ত্রণ সমাজের হাত ছাড়িয়ে কর্পোরেটদের হাতে চলে যায়।
তাই আপনাকে ধরে রাখার জন্যে টিভিকোম্পানির সরাসরি সম্প্রচার প্রয়োজন হল। আপনি স্টেডিয়ামে না গিয়েও খেলা দেখতে পারেন। সেখানেও তার লাভ। সে শুধু আপনাকে খেলা দেখাচ্ছে না, আপনাকে তার পণ্য, জীবনযাত্রার লোভ, বড় আরও বড় কাঠামো দেখিয়ে গেলাচ্ছে।
তাই আপনাকে ধরে রাখার জন্যে টিভিকোম্পানির সরাসরি সম্প্রচার প্রয়োজন হল। আপনি স্টেডিয়ামে না গিয়েও খেলা দেখতে পারেন। সেখানেও তার লাভ। সে শুধু আপনাকে খেলা দেখাচ্ছে না, আপনাকে তার পণ্য, জীবনযাত্রার লোভ, বড় আরও বড় কাঠামো দেখিয়ে গেলাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment