ঔপনিবেশিক লেখক রায়বাবুকে ভগবান বানিয়ে ঋত্ত্বিককে চড় মেয়ে খিস্তি করে খলনায়ক বানানো এবং ওভাররেটেড বলা পুলুবাবুর লাইভমিন্টে সাক্ষাতকার পড়ুন আর আনুপান হিসেবে মনেরাখুন অরূপদা আর শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষের মুখবন্ধ।...বোঝা যাবে 'বাম' ভদ্রলোকিয় প্রখ্যাত হওয়ার নির্মানের পথটা কি হতে পারে।
প্রথমে অরূপদা Arupsankar Maitra
একজন মানুষের জীবনে তার পেশা এবং সেই পেশায় তার স্থিত হবার জন্য কতটা চেনাজানার সুযোগ নিতে হল বা নিতে বাধ্য হল, তার ওপরে তার রাজনৈতিক সামাজিক ধ্যানধারণা নির্মিত হয়! চেনাজানা মানে ক্রোনি কালচার! রিকসাওলা মিউনিসিপ্যালিটির স্বীকৃতি না পেলে সরকারি দলের চামচা হতে বাধ্য হয়! মুকেশ আম্বানির জিওর ব্রান্ড আম্বাসাদার মোদি নিজেই! ৩৪ বছরের পর আজ যারা প্রতিষ্ঠিত, খোঁজ নিলেই জানবেন এই ''প্রতিষ্ঠা''র পিছনে ''বামপন্থা''র দায়!
একজন মানুষের জীবনে তার পেশা এবং সেই পেশায় তার স্থিত হবার জন্য কতটা চেনাজানার সুযোগ নিতে হল বা নিতে বাধ্য হল, তার ওপরে তার রাজনৈতিক সামাজিক ধ্যানধারণা নির্মিত হয়! চেনাজানা মানে ক্রোনি কালচার! রিকসাওলা মিউনিসিপ্যালিটির স্বীকৃতি না পেলে সরকারি দলের চামচা হতে বাধ্য হয়! মুকেশ আম্বানির জিওর ব্রান্ড আম্বাসাদার মোদি নিজেই! ৩৪ বছরের পর আজ যারা প্রতিষ্ঠিত, খোঁজ নিলেই জানবেন এই ''প্রতিষ্ঠা''র পিছনে ''বামপন্থা''র দায়!
তারপরে অসাধারণ শুদ্ধসত্ত্ব সহজিয়া ঘোষ
মাতাল এবং খিস্তিকারী ঋত্বিককে মেরেছিলেন সৌমিত্র। আসুন আমরা এ নিয়ে খুব আলোচনা করি। এবং অবশ্যই এ নিয়ে আলোচনা করব না, যে কী ইস্যুতে সেদিন ইন্ডাস্ট্রিতে বিভাজন হয়েছিল! কেন না বন্ধু শমীক বাগ প্রশ্নটা করেননি বা উত্তর ছাপা হয়নি। আমরা এ নিয়ে আলোচনা করব না যে কেন ঋত্বিক মদ্যপানবিরোধী থেকে মদ্যপ হয়ে গেলেন। সেই সংস্কৃতিওয়ালা তথাকথিত বামপন্থীরা যারা পার্টি থেকে তাড়াল ঋত্বিককে, যেমন একে একে সবাইকেই তাড়িয়েছে যোশীপন্থী বলে বলে, তারা তারপর বাম সংস্কৃতি কোন উচ্চতায় নিয়ে গেল তার কথা বলব না। কেন তারা সব ঋত্বিকের এক প্রযোজকের কাছে গিয়ে, (প্রযোজক বামপন্থার সমর্থক হবার সুবাদে) ধমকেছিল ঋত্বিকের প্রযোজক না হতে তার আলোচনা করব না। বাকী ইন্ডাস্ট্রির হোতারা কেন চেয়েছিল যে ঋত্বিক আর সিনেমা না বানান, তার কথা আমরা বলব না। এমন কী অঁভঁ গার্দ পরিচালকরা সুবিধেমত রঙ বদলে কামাতে কামাতে কেন ঋত্বিককে ব্রাত্যই করে রাখতে চেয়েছেন তার কথাও না হয় না-ই হল।
এই একই সাক্ষাৎকারে বেঙ্কটেশদের মনোপলি নিয়ে সৌমিত্র যে অর্ধসত্য বললেন, যেন আগের সরকারে ছিল না এমন, তার আলোচনা করব না। এই আলোচনা করব না যে তাও তিনি বলেছেন প্রকাশ্যে যে দক্ষিণী সিনেমার ফ্রেম বাই ফ্রেম কপি করার সমর্থক এই প্রযোজকরা আসলে সিনেমাকে প্রধান ব্যবসাই ভাবে না। আমরা এই আলোচনা করব না যে বাংলা সিনেমার প্রযোজনা, নির্মাণ এবং পরিবেশনা তিনটেই কেন অবাঙালি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত মনোপলি! কেন সিনেমা হলে হিন্দি সিনেমার এত দাপট! কোন স্পর্ধায় মলের ব্ল্যাকবক্সগুলোর ম্যানেজাররা বলে দিতে পারে এক সঙ্গে তিনটে বাংলা সিনেমা তারা চলতে দেবে না। কেন আমরা বাঙালিরা এতটাই দুর্বল ও অপদার্থ যে এর পরেও ঘাড়ধাক্কা দিয়ে এদের বের না করে দিয়ে হিন্দিয়ানার টানে শারুখ-আমির-সলমন মারিয়ে মরি। অনুরাগ কাশ্যপের মধ্যে হিন্দি সিনেমার গদার খুঁজে চুলকোই। আহা, প্রভু ছাড়া বাঙালির জীবন যে জীবন নয় সে তো সেন রাজাদের আমল থেকেই সত্যি। দক্ষিণের রাজা, মরুভূমিপারের নবাব-সুলতান, সাগরপারের রাজা সবাই তো দেখিয়ে দিয়ে গেছে। এখন আমরা দিল্লীর রাজার/ মুম্বাইয়ের রাজার জুতো চেটে আহ্লাদ করি চলুন।
খিস্তিকারী মাতালকে মেরেছে বেশ করেছে বলুক এক পক্ষ। অন্য পক্ষ বলতে থাকুক ঋত্বিক ওভাররেটেড হলে মূর্খটা সিনেমাই জানে না। কবে আর আমরা প্রাসঙ্গিক ও সমকালীন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে কাজে রূপান্তরিত করেছি? জাতীয় ঐতিহ্য বরকরার থাক, আমরা ইন্টু ইন্টু খেলি চলুন।
মাতাল এবং খিস্তিকারী ঋত্বিককে মেরেছিলেন সৌমিত্র। আসুন আমরা এ নিয়ে খুব আলোচনা করি। এবং অবশ্যই এ নিয়ে আলোচনা করব না, যে কী ইস্যুতে সেদিন ইন্ডাস্ট্রিতে বিভাজন হয়েছিল! কেন না বন্ধু শমীক বাগ প্রশ্নটা করেননি বা উত্তর ছাপা হয়নি। আমরা এ নিয়ে আলোচনা করব না যে কেন ঋত্বিক মদ্যপানবিরোধী থেকে মদ্যপ হয়ে গেলেন। সেই সংস্কৃতিওয়ালা তথাকথিত বামপন্থীরা যারা পার্টি থেকে তাড়াল ঋত্বিককে, যেমন একে একে সবাইকেই তাড়িয়েছে যোশীপন্থী বলে বলে, তারা তারপর বাম সংস্কৃতি কোন উচ্চতায় নিয়ে গেল তার কথা বলব না। কেন তারা সব ঋত্বিকের এক প্রযোজকের কাছে গিয়ে, (প্রযোজক বামপন্থার সমর্থক হবার সুবাদে) ধমকেছিল ঋত্বিকের প্রযোজক না হতে তার আলোচনা করব না। বাকী ইন্ডাস্ট্রির হোতারা কেন চেয়েছিল যে ঋত্বিক আর সিনেমা না বানান, তার কথা আমরা বলব না। এমন কী অঁভঁ গার্দ পরিচালকরা সুবিধেমত রঙ বদলে কামাতে কামাতে কেন ঋত্বিককে ব্রাত্যই করে রাখতে চেয়েছেন তার কথাও না হয় না-ই হল।
এই একই সাক্ষাৎকারে বেঙ্কটেশদের মনোপলি নিয়ে সৌমিত্র যে অর্ধসত্য বললেন, যেন আগের সরকারে ছিল না এমন, তার আলোচনা করব না। এই আলোচনা করব না যে তাও তিনি বলেছেন প্রকাশ্যে যে দক্ষিণী সিনেমার ফ্রেম বাই ফ্রেম কপি করার সমর্থক এই প্রযোজকরা আসলে সিনেমাকে প্রধান ব্যবসাই ভাবে না। আমরা এই আলোচনা করব না যে বাংলা সিনেমার প্রযোজনা, নির্মাণ এবং পরিবেশনা তিনটেই কেন অবাঙালি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত মনোপলি! কেন সিনেমা হলে হিন্দি সিনেমার এত দাপট! কোন স্পর্ধায় মলের ব্ল্যাকবক্সগুলোর ম্যানেজাররা বলে দিতে পারে এক সঙ্গে তিনটে বাংলা সিনেমা তারা চলতে দেবে না। কেন আমরা বাঙালিরা এতটাই দুর্বল ও অপদার্থ যে এর পরেও ঘাড়ধাক্কা দিয়ে এদের বের না করে দিয়ে হিন্দিয়ানার টানে শারুখ-আমির-সলমন মারিয়ে মরি। অনুরাগ কাশ্যপের মধ্যে হিন্দি সিনেমার গদার খুঁজে চুলকোই। আহা, প্রভু ছাড়া বাঙালির জীবন যে জীবন নয় সে তো সেন রাজাদের আমল থেকেই সত্যি। দক্ষিণের রাজা, মরুভূমিপারের নবাব-সুলতান, সাগরপারের রাজা সবাই তো দেখিয়ে দিয়ে গেছে। এখন আমরা দিল্লীর রাজার/ মুম্বাইয়ের রাজার জুতো চেটে আহ্লাদ করি চলুন।
খিস্তিকারী মাতালকে মেরেছে বেশ করেছে বলুক এক পক্ষ। অন্য পক্ষ বলতে থাকুক ঋত্বিক ওভাররেটেড হলে মূর্খটা সিনেমাই জানে না। কবে আর আমরা প্রাসঙ্গিক ও সমকালীন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে কাজে রূপান্তরিত করেছি? জাতীয় ঐতিহ্য বরকরার থাক, আমরা ইন্টু ইন্টু খেলি চলুন।
No comments:
Post a Comment