উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম দুই নেতাArupsankarদা Rafiqদা ভাবছেন ১৭৫৭ হয়ত যাওয়া যাবে না। আমাদেরই মানিয়ে নিতে হবে। আমরা কোনোটাতেই কোন নিশ্চিন্ত জবাব দিচ্ছি না, শুধু কয়েকটা প্রতিক্রিয়া-
১) কখোনো কখোনো কোন কোন সময়কে মনে হয় অপরিবর্তনীয়। ২০০০ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে বসে কেউ যদি বলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হবেন, আর সিপিএম ৫০টার বেশি আসন পাবে না, বিলয় হয়ে যাবে বাংলা থেকে, পার্টি দপ্তরও খোলার মানুষ থাকবে না দলে, তাহলে তার মাথার সুস্থতা সম্পর্কে অবাম মানুষও সন্দিহান হত।
২) মানুষের ইতিহাস, বিকেন্দ্রিত উৎপাদন ব্যবস্থা কম করে ১০ হাজার বছরের ইতিহাস। লুঠেরা কেন্দ্রিভূত উৎপাদন ব্যবস্থা, মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রযুক্তি এসেছে আড়াইশ বছর, যা বিশ্বের ইতিহাসে মানব সমাজের বিকাশের তুলনায় কোন সময়ই নয়। বিকেন্দ্রিত ব্যবস্থা টিকে ছিল আজও আছে। আজও বলা যাচ্ছে না কেন্দ্রিভূত উৎপাদন ব্যবস্থা আগামী দশ হাজার বছর টিকবে কি না। ব্যবস্থার জন্মদাতা ইওরোপ এই ব্যবস্থা থেকে সরতে শুরু করেছে; দূষণ নিয়ে তারা যে কড়াকড়ি করছে সে উদ্যম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া সময়ের অপেক্ষা। মানুষ অফ দ্য গ্রিড বাঁচতে চাইছে। বিষ চাষের মৃত্যু ঘণ্টা মোটামুটি বেজে গিয়েছে।
আমরা হয়ত এই ব্যবস্থায় এতই কন্ডিশনড হয়ে আছি যে এর বাইরে বেরোনো যায়, এটাই ভাবতে পারছি না।
এটাই মানসিকতা তৈরি হবে কম্পিউটার শিল্পে, যা আদতে সামরিক ব্যবস্থা চালাবার আর মানুষ নিয়ন্ত্রণের জন্য তৈরি, লক্ষ লক্ষ যুবক/যুবতী ছাঁটাই হবার পরে।
আর কয়েক দশক মাত্র।
আমরা হয়ত এই ব্যবস্থায় এতই কন্ডিশনড হয়ে আছি যে এর বাইরে বেরোনো যায়, এটাই ভাবতে পারছি না।
এটাই মানসিকতা তৈরি হবে কম্পিউটার শিল্পে, যা আদতে সামরিক ব্যবস্থা চালাবার আর মানুষ নিয়ন্ত্রণের জন্য তৈরি, লক্ষ লক্ষ যুবক/যুবতী ছাঁটাই হবার পরে।
আর কয়েক দশক মাত্র।
৩) যে রাষ্ট্র পোষিত উতপাদন ব্যবস্থা রয়েছে তা সামাজিক বিকেন্দ্রিভূত উৎপাদন ব্যবস্থাকে প্রতিযোগী মনে করে। তাকে টিকতে দিতে চায় না। কেননা বিকেন্দ্রিত উৎপাদন ব্যবস্থা তার গুণাগুণ সবার সামনে পেশ করেছে, কেন্দ্রিভূত উৎপাদন ব্যবস্থা রয়েছে মুষ্টমেয়র হাতে, সুখের জন্য আর লুঠেরা খুনি সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্যে।
৪) আমরা ১৭৫৭র আগে যাব, না এই সময়টাকে ১৭৫৭ করে নেব, সেটা দ্যাখা যাবে। এটা প্রমাণিত বাংলার জোর বাংলার পরম্পরার প্রযুক্ত্ বাংলার পরম্পরার উৎপাদন ব্যবস্থা - তার আর্থিক পরিমানেই প্রমানিত। তাকে চাইলেও কর্পোরেট মারতে পারছে না।
৫) আমাদের শুধু ঘাটতি রয়েছে বিশ্ব বাজারে পৌঁছনোর - সেখানে পৌঁছতে পারলে ঠিকই আমরা কর্পোরেটদের মোকাবিলা করতে পারব - গ্রামগুলোকে মিলতে হবে - এটা কর্পোরেট চায় না - কেননা এই প্রক্রিয়ার সাফল্যে তাদের মৃত্যু ঘন্টা বাঁধা আছে।
আমরা রাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া হাজার হাজার বছর বেঁচে ছিলাম, আছি থাকব। কর্পোরেটরা পারবে না। এটাই বাস্তব।
আজকে বাজারে উচ্চ প্রযুক্তি হিসেবে যা চলে তা মূলত সামরিক কারণে (উপনিবেশ তৈরি আর মানুষ মারার জন্যে) আর রাষ্ট্রীয়(মানুষকে নিয়ন্ত্রিত করার জন্যে) তৈরি হয়। তারপরে সেগুলি পণ্য হিসেবে বাজারে আসে এবং উচ্চমুনাফায় বিক্রি হয়, কারণ তার গবেষণার খরচ রাষ্ট্রই জুগিয়েছিল মানুষের গাঁট কেটে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে চালু একটা প্রযুক্তি আর তার পণ্য তারা রাষ্ট্রের(আদতে সামরিক) দয়া ছাড়া বানিয়ে দেখাক।
মেনে নেব।
আমরাই অতীত ছিলাম, আমরাই ভবিষ্যৎ হব।
এটাই বাস্তব।
সোভিয়েত, আমেরিকাকেও এক সময় অজেয় মনে হত।
আমরা রাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া হাজার হাজার বছর বেঁচে ছিলাম, আছি থাকব। কর্পোরেটরা পারবে না। এটাই বাস্তব।
আজকে বাজারে উচ্চ প্রযুক্তি হিসেবে যা চলে তা মূলত সামরিক কারণে (উপনিবেশ তৈরি আর মানুষ মারার জন্যে) আর রাষ্ট্রীয়(মানুষকে নিয়ন্ত্রিত করার জন্যে) তৈরি হয়। তারপরে সেগুলি পণ্য হিসেবে বাজারে আসে এবং উচ্চমুনাফায় বিক্রি হয়, কারণ তার গবেষণার খরচ রাষ্ট্রই জুগিয়েছিল মানুষের গাঁট কেটে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে চালু একটা প্রযুক্তি আর তার পণ্য তারা রাষ্ট্রের(আদতে সামরিক) দয়া ছাড়া বানিয়ে দেখাক।
মেনে নেব।
আমরাই অতীত ছিলাম, আমরাই ভবিষ্যৎ হব।
এটাই বাস্তব।
সোভিয়েত, আমেরিকাকেও এক সময় অজেয় মনে হত।
No comments:
Post a Comment