বিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকে সরকারি ভাষ্যে শুনে আসছি দিনাজপুর পিছিয়ে পড়া একটি জেলা। ঔপনিবেশিক তত্ত্ব অনুসারে এই জেলায় দূষণ ছড়ানো সম্পদ লুঠেরা বড় শিল্প নেই তাই নাকি পিছিয়ে পড়া।সম্প্রতি ওয়াপাগের সদস্য দল বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সংঘের পক্ষে থেকে আবাদ উদ্যম নেওয়া হয়েছে। সে বিশদ বর্ণনা পরে জানানো যাবে।
সেই কাজে উষাহরণের মধুপুরের চাষী-কারিগর, আমাদের সদস্য মাঝ বয়সী চল্লিশ বছরের ঊষাহরণের দলের মাথা রাজবংশী সমাজের রবির(রবীন্দ্রনাথ দেবশর্মা) চাষের সহায় সম্পদ-ধনসম্বলের তথ্য নিচ্ছিলাম। এই তথ্য আমাদের কোন দিকে এগোতে সাহায্য করে দ্যাখা যাক।
মোট জমির পরিমান ৬এর বেশি বিঘে।ভিটাজমি(উঁচু জমি, বাস্তু নয়) ১ বিঘে। ভাগের পুকুর ৩ বিঘের(লিজ দেওয়া আছে)।
আম গাছ ২০টা, কাঁঠাল ১টা, পেয়ারা ১টা, জাম ৫টা, নারকেল ৩টে, তাল গাছ একটা, বাঁশ বাগান ৫ কাঠার, কলা গাছ ৩০টা, নিম গাছ ২টো।
গরু ৬টা, দুধেল ১টা। ছাগল ৬টা দুধেলা ১টাচ। হাঁস ৮টা- সব কটা ডিম দেওয়া - রোজ ডিম পান তারা।
পুকুর যেহেতু লিজে দেওয়া, তাই মাছের হিসেব করা হয় নি।
রবির ইচ্ছে নিম পাতা শুকনো থেকে শুরু করে দেশি পদ্ধতিতে কালো ধানের চাষ আর ওষুধের গাছের চাষ করার। আর সঙ্গে কপি আর ফসল করার।শুকনো ফসল বিক্রি করার। তার ইচ্ছা জৈব চাষের। আমরা বলি দেশি চাষের।
এই রকমের ছোট চাষীতেই দিনাজপুর ভর্তি।কুনোর, পতিরাজ বা ধনকৈল হাটে গেলেই মালুম হবে এই এলাকার কৃষি বৈচিত্র্য।
যে মানুষগুলো গায়ে গতরে খেটে, পূর্বজর জ্ঞান আর আর্জিত দক্ষতা অবলম্বন করে, প্রকৃতির সূত্র গুলি থেকে পাঠ নিয়ে আমাদের মুখে অন্ন তুলে দেন, তাঁদের এই সাধারণ সম্পদকে যদি সমৃদ্ধি না বলি, তাহলে বড় পুঁজির সমৃদ্ধির মানের পাশে আমরা নেই।
ছোট চাষীরা, কারিগরেরা ক্রমশঃ উদ্যমী হচ্ছেন।
আর কিছু দিনের অপেক্ষা।
আর কিছু দিনের অপেক্ষা।
No comments:
Post a Comment