কেন ঔপনিবেশিক ইংরেজিশিক্ষিত বাঙ্গালিরা মুঘল বা নবাবী আমলের থেকেও ব্রিটিশ আমলে শাসনকার্যে কম সুযোগ পেয়েও ব্রিটিশ অনুগামী হল তার একটা চলনসই(যদিও সম্পূর্ণভাবে সন্তুষ্ট নই) উত্তর পেলাম Robert Traversএর Ideology and Empire in Eighteenth-Century India The British in Bengal বইতে।
তিনি বলছেন জোন্স বললেন সংস্কৃত বাংলার উত্তরপুরুষ এবং সেটা ধ্রুপদী ইওরপোপিয় ভাষা। ব্যাস মোটামুটি ঐশ্বরিক ইওরোপিয়দের পদতলে পড়ার একটা ছুতো তৈরি হয়ে গেল - ঠিক যেমন করে ইওরোপে রেনেঁসা মধ্যযুগের অন্ধকারময় বর্বরতাকে মুছে ফেলে ধ্রুপদী প্রাচীন সভ্যতার দিকে যাওয়ার প্রণোদনা দিল। হিন্দুরা বহুকাল ধরে মধ্যযুগীয় বর্বর ইসলামি শাসনে ছিল। এবারে এল ইওরোপিয় সভ্যতার আলোর রেখা - যা তার ১০০ বছর পর ব্রাহ্মরা বলবেন কেশব সেনের মুখ দিয়ে। বাঙালি আধুনিক উজ্বল ইওরোপের পদপ্রান্তে ঝাঁপ না দিয়ে কোথায় যায়?
রবার্ট লিখছেন,
The discoveries of William Jones about the connections between Sanskrit and classical European languages offered a new point of historical connection between rulers and ruled in colonial India. The classical civilization of the ancient Hindus, apparently rescued from Muslim bigotry by tolerant Britons, was used to prop up a new conception of colonial enlightenment. Just as in Europe, an emerging ‘enlightenment
narrative’ understood modern commercial society as a reawakening of civilization from the long darkness of ‘barbarism and religion’, so in India the colonial government imagined itself as rescuing the once great classical civilization of the Hindus from a long night of Islamic medievalism.
No comments:
Post a Comment