মশাইরা, সমাজপতিরা, রাষ্ট্র পরিচালকেরা, হুজুরেরা,
আমরা বাংলার কারিগরেরা চাষীরা একদা বাংলাকে করে তুলেছিলাম বিশ্বের কাছে স্বর্গ রাজ্য। বিশ্বের প্রত্যেক দেশের নাগরিক বাংলায় আসত পণ্য কেনার জন্যে। পলাশীর পরে আপনাদের পূর্বপুরুষেরা আমাদেরকে বিশ্ববাজার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে নিজেরা রাজা উজির হয়ে সিংহাসন দখল করেছেন - বকলমে সাদা-লালমুখোরাই আজও আমাদের শাসন করছে।
আমরা যখন বাংলার উৎপাদন ব্যবস্থার ধারক ছিলাম, সে সময় বাংলা সম্বন্ধে কারা কি বলেছে মন দিয়ে পড়ুন -
১) বাংলা ছিল মুঘলদের কাছে জিন্নতুল বিলাদ, সুবাগুলোর মধ্যে স্বর্গ ভূমি।
২) ঔরঙ্গজেব তার প্রত্যেক চিঠিতে বাংলাকে বলতেন ভারতের স্বর্গ।
৩) ১৬৬০এ বার্নিয়ে বলছেন, বাংলা এতই সম্পদশালী যে প্রবাদ আছে বাংলায় (সম্পদ) ঢোকার রাস্তা অসংখ্য কিন্তু বেরোবার রাস্তা নেই।
৪) আলেকজান্ডার ডাও বলছেন, আন্তর্জাতিক দাঁড়িপাল্লা বাংলার দিকেই ভারি ছিল, তখন বাংলায় একমাত্র পাত্র(sink) যেখানে সোনাদানা এসে জমত, আর কিছুমাত্র কখনও বেরোত না।
৫) ১৭৩৫ সালে লন্ডনের কোম্পানির পরিচালক সমিতি লিখছে - সারা ভারতবর্ষের মধ্যে বাংলাই যে সবচেয়ে সস্তাগণ্ডার দেশ শুধু তাই নয়, সারা ভারতের মধ্যে এটাই সবচেয়ে প্রাচুর্যের দেশ।
(পলাশীর অজানা কাহিনী, সুশীল চৌধুরী)
১) বাংলা ছিল মুঘলদের কাছে জিন্নতুল বিলাদ, সুবাগুলোর মধ্যে স্বর্গ ভূমি।
২) ঔরঙ্গজেব তার প্রত্যেক চিঠিতে বাংলাকে বলতেন ভারতের স্বর্গ।
৩) ১৬৬০এ বার্নিয়ে বলছেন, বাংলা এতই সম্পদশালী যে প্রবাদ আছে বাংলায় (সম্পদ) ঢোকার রাস্তা অসংখ্য কিন্তু বেরোবার রাস্তা নেই।
৪) আলেকজান্ডার ডাও বলছেন, আন্তর্জাতিক দাঁড়িপাল্লা বাংলার দিকেই ভারি ছিল, তখন বাংলায় একমাত্র পাত্র(sink) যেখানে সোনাদানা এসে জমত, আর কিছুমাত্র কখনও বেরোত না।
৫) ১৭৩৫ সালে লন্ডনের কোম্পানির পরিচালক সমিতি লিখছে - সারা ভারতবর্ষের মধ্যে বাংলাই যে সবচেয়ে সস্তাগণ্ডার দেশ শুধু তাই নয়, সারা ভারতের মধ্যে এটাই সবচেয়ে প্রাচুর্যের দেশ।
(পলাশীর অজানা কাহিনী, সুশীল চৌধুরী)
বাংলাভাগ, আপনারা যাকে স্বাধীনতা বলেন, তার সত্তর বছর কেটেছে, তিন তিনটে প্রজন্ম মরে হেজে গিয়েছে। আজও ওপরের পাঁচটি বর্ণনার ধারেপাশে বাংলাকে পৌঁছে দিতে পারেন নি। তা সত্ত্বেও আপনাদের লজ্জা নেই ইওরোপিয়-আমেরিকয় দালালি করে চলেছেন নির্লজ্জ মুখে।
আমরা ১৭৫৭র আগে- ফিরে যেতে চাইলে মহা দোষ হল?
জয় বাংলা।
জয় বাংলা।
No comments:
Post a Comment