বাংলার গ্রাম উদ্যমীদের জন্য বিশ্ববঙ্গ মন্ত্রকের দাবি
গত বিধানসভা ভোটের আগে, ভোটের পরেও বলেছিলাম এবং মমতা সরকার তৈরি হওয়ার পাঁচ বছর ছমাস পরে বিন্দুমাত্র রাখঢাক না করেই বলছি- ১৭৫৭র ঔপনিবেশিক বাংলা তথা ভারতে, ব্রিটিশ আর ইংরেজি শিক্ষিত চাকুরিজীবী বাঙ্গালির হাতে বাংলার বিশিল্পায়ন, ধ্বংস, লুঠের পরে এই প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একমাত্র সরকার, যারা বাংলার গ্রাম বিকাশকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা রূপায়িত করছে।
বিশ্ববাংলা উদ্যম বিশ্বকে পথ নির্দেশ করছে। সরকারি নীতি সমূহ পরম্পরার গ্রামীণ উদ্যোগীদের বাঁচার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। স্বাধীনতার পরে বড় পুঁজি নিয়ন্ত্রিত, পশ্চিমি প্রযুক্তি প্রযুক্ত গ্রাম ধ্বংসী বিকাশের পরিকল্পনা নিয়ে আজও ভারতের বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রিয় সরকার চলছে। সেই নীতিও থেকে বাঙলার মমতা সরকারের নীতি সম্পূর্ণ আলাদা এবং নতুন পথের।
আমরা অবাক হয়ে দেখেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার স্বাধীনোত্তর সরকারি জাতি রাষ্ট্রীয় ভ্রান্তি কাটানোর সুযোগ করে দিয়েছে। সেই সুযোগে পাঁচ বছর ছ’মাসের বাংলা-সরকারের কাছে আমাদের দাবি, বাংলার পরম্পরার গ্রামীন উদ্যোগের জন্য আলাদা মন্ত্রক আশু তৈরি করা - যার নাম হোক বিশ্ববংগ দপ্তর। বর্তমানে গ্রাম শহরের বাজারের প্রজ্ঞা, বংশপরম্পরার জ্ঞান আর প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে প্রবাহিত দক্ষতা, নিজস্ব বিদ্যুৎ বিহীন প্রযুক্তি আর স্থানীয় কাঁচামালের ওপর নির্ভর ছোট গ্রামীন উদ্যমীরা আজও সরাসরি নিজেদের কাজকর্মের চালিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের পরিকল্পনায় এবং উদ্যমে। সেই উদ্যমকে সরকারি সিলমোহর দেওয়া প্রয়োজন, গ্রাম উদ্যমীদের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন।
মুশকিল হল, আজও এই গ্রামীন পরম্পরার উদ্যমীদের নিজেদের কোন মন্ত্রক নেই – তাঁরা আজও এমএসএমই দপ্তরের অধীনে। আমরা মনে করি, এই গ্রামবাংলা পুনর্গঠনের কাজটা এমএসএমই মন্ত্রক দিয়ে হবে না –স্বাধীনতার পর এত দিনেও সম্পন্ন হয় নি – শিল্প উতপাদনে বাংলা যেখানে ছিল তাঁর থেকে ক্রমাগত পিছিয়েছে। তাই পারম্পরিক বিশ্ববাংলা মন্ত্রক তৈরি করার পথেই এগোতে হবে। কেননা এমএসএমই উদ্যমী আর পরম্পরার গ্রামীন উদ্যমীদের স্বার্থ, চরিত্র দুটোই আলাদা।
মনে রাখতে হবে, এমএসএমই মন্ত্রকের সৃষ্টি হয়েছিল বড় পুঁজির উদ্যোগীদের অনুসারী হিসেবে, গ্রাম উদ্যমীদের স্বনির্ভর, স্বনিয়ন্ত্রিত বাজার থেকে তাড়িয়ে নিয়ে বড় পুঁজি নির্ভর, বিদ্যুৎ পশ্চিমী শিল্পের অনুসারী হিসেবে গড়ে তোলা। অনুসারী শিল্প বাংলায় বলা ভাল কলকাতার আশেপাশের শিল্পাঞ্চলে ছিল কিন্তু আজ সেগুলি অস্তমিত কেননা তাদের উতপাদন, প্রযুক্তি, উদ্যমের নিজস্বতা নেই, তাদের আছে বড় পুঁজির ওপর নির্ভরতা। হারিয়ে গিয়েছে শিল্প মানচিত্র থেকে। আমরা যারা বাঙলার গ্রামীন ছোট উদ্যমীদের সংগঠন যাঁদের সদস্যদের মূল পুঁজি হল জ্ঞান আর দক্ষতা, পুঁজি বা ব্যাঙ্কেবিলিটি নয়, তাঁরা সরাসরি মনে করি শিল্পবিপ্লবীয় বড় পুঁজি আদতে গ্রামীন ছোট উদ্যমের স্বার্থের সরাসরি বিরোধী – আদতে বাঙলার সরকার যে নীতি নিয়ে চলেছে, গ্রামনির্ভরতা বাড়ানো, সেই নীতির বিরোধী।
গত বিধানসভা ভোটের আগে, ভোটের পরেও বলেছিলাম এবং মমতা সরকার তৈরি হওয়ার পাঁচ বছর ছমাস পরে বিন্দুমাত্র রাখঢাক না করেই বলছি- ১৭৫৭র ঔপনিবেশিক বাংলা তথা ভারতে, ব্রিটিশ আর ইংরেজি শিক্ষিত চাকুরিজীবী বাঙ্গালির হাতে বাংলার বিশিল্পায়ন, ধ্বংস, লুঠের পরে এই প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একমাত্র সরকার, যারা বাংলার গ্রাম বিকাশকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা রূপায়িত করছে।
বিশ্ববাংলা উদ্যম বিশ্বকে পথ নির্দেশ করছে। সরকারি নীতি সমূহ পরম্পরার গ্রামীণ উদ্যোগীদের বাঁচার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। স্বাধীনতার পরে বড় পুঁজি নিয়ন্ত্রিত, পশ্চিমি প্রযুক্তি প্রযুক্ত গ্রাম ধ্বংসী বিকাশের পরিকল্পনা নিয়ে আজও ভারতের বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রিয় সরকার চলছে। সেই নীতিও থেকে বাঙলার মমতা সরকারের নীতি সম্পূর্ণ আলাদা এবং নতুন পথের।
আমরা অবাক হয়ে দেখেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার স্বাধীনোত্তর সরকারি জাতি রাষ্ট্রীয় ভ্রান্তি কাটানোর সুযোগ করে দিয়েছে। সেই সুযোগে পাঁচ বছর ছ’মাসের বাংলা-সরকারের কাছে আমাদের দাবি, বাংলার পরম্পরার গ্রামীন উদ্যোগের জন্য আলাদা মন্ত্রক আশু তৈরি করা - যার নাম হোক বিশ্ববংগ দপ্তর। বর্তমানে গ্রাম শহরের বাজারের প্রজ্ঞা, বংশপরম্পরার জ্ঞান আর প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে প্রবাহিত দক্ষতা, নিজস্ব বিদ্যুৎ বিহীন প্রযুক্তি আর স্থানীয় কাঁচামালের ওপর নির্ভর ছোট গ্রামীন উদ্যমীরা আজও সরাসরি নিজেদের কাজকর্মের চালিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের পরিকল্পনায় এবং উদ্যমে। সেই উদ্যমকে সরকারি সিলমোহর দেওয়া প্রয়োজন, গ্রাম উদ্যমীদের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন।
মুশকিল হল, আজও এই গ্রামীন পরম্পরার উদ্যমীদের নিজেদের কোন মন্ত্রক নেই – তাঁরা আজও এমএসএমই দপ্তরের অধীনে। আমরা মনে করি, এই গ্রামবাংলা পুনর্গঠনের কাজটা এমএসএমই মন্ত্রক দিয়ে হবে না –স্বাধীনতার পর এত দিনেও সম্পন্ন হয় নি – শিল্প উতপাদনে বাংলা যেখানে ছিল তাঁর থেকে ক্রমাগত পিছিয়েছে। তাই পারম্পরিক বিশ্ববাংলা মন্ত্রক তৈরি করার পথেই এগোতে হবে। কেননা এমএসএমই উদ্যমী আর পরম্পরার গ্রামীন উদ্যমীদের স্বার্থ, চরিত্র দুটোই আলাদা।
মনে রাখতে হবে, এমএসএমই মন্ত্রকের সৃষ্টি হয়েছিল বড় পুঁজির উদ্যোগীদের অনুসারী হিসেবে, গ্রাম উদ্যমীদের স্বনির্ভর, স্বনিয়ন্ত্রিত বাজার থেকে তাড়িয়ে নিয়ে বড় পুঁজি নির্ভর, বিদ্যুৎ পশ্চিমী শিল্পের অনুসারী হিসেবে গড়ে তোলা। অনুসারী শিল্প বাংলায় বলা ভাল কলকাতার আশেপাশের শিল্পাঞ্চলে ছিল কিন্তু আজ সেগুলি অস্তমিত কেননা তাদের উতপাদন, প্রযুক্তি, উদ্যমের নিজস্বতা নেই, তাদের আছে বড় পুঁজির ওপর নির্ভরতা। হারিয়ে গিয়েছে শিল্প মানচিত্র থেকে। আমরা যারা বাঙলার গ্রামীন ছোট উদ্যমীদের সংগঠন যাঁদের সদস্যদের মূল পুঁজি হল জ্ঞান আর দক্ষতা, পুঁজি বা ব্যাঙ্কেবিলিটি নয়, তাঁরা সরাসরি মনে করি শিল্পবিপ্লবীয় বড় পুঁজি আদতে গ্রামীন ছোট উদ্যমের স্বার্থের সরাসরি বিরোধী – আদতে বাঙলার সরকার যে নীতি নিয়ে চলেছে, গ্রামনির্ভরতা বাড়ানো, সেই নীতির বিরোধী।
No comments:
Post a Comment