গ্রাম গুরুত্ব
ছমাস পাঁচ বছরের মমতা সরকার ভারতীয় সরকারি নীতি নির্ধারণের ইতিহাসে নতুন দিক উন্মোচিত করেছে - তাঁর একটা হল জাতি রাষ্ট্রের সরকারী নীতিতে গ্রাম-প্রাধান্য এবং কর্পোরেটদের হাতে লুঠ হওয়া গ্রামের টাকা গ্রামে ফেরত যাওয়া।
ছমাস পাঁচ বছরের মমতা সরকার ভারতীয় সরকারি নীতি নির্ধারণের ইতিহাসে নতুন দিক উন্মোচিত করেছে - তাঁর একটা হল জাতি রাষ্ট্রের সরকারী নীতিতে গ্রাম-প্রাধান্য এবং কর্পোরেটদের হাতে লুঠ হওয়া গ্রামের টাকা গ্রামে ফেরত যাওয়া।
আমরা যে সংগঠন করি - বঙ্গীয়
পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সংঘ এবং উইভার্স আর্টিজান এন্ড পার্ফর্মিং
আর্টিস্টস গিল্ড এবং কলাবতী মুদ্রা, তাঁদের কাজকর্মের অন্যতম লক্ষ্য
গ্রামের সম্পদ যতটা সম্ভব গ্রামে রাখা আর লুঠ হওয়া গ্রাম সম্পদ শহর থেকে
গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া।
সেই কাজটি মমতা সরকার গ্রাম পুনর্গঠনের লক্ষ্যে করতে শুরু করেছেন...বিগত ছমাস পা্ঁচ বছরে এটা পরিষ্কার
মধ্যবিত্ত ভদ্রলোকের বিবমিষা উদ্রেক করে সরকারি উদ্যমে গ্রামে নগদ টাকা ঢুকছে এবং গ্রামে যাদের পাওয়ার কথা সেটা নিয়মিত পাচ্ছেন... তাঁর কয়েকটা বলা গেল...
১। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, লোকপ্রসার ইত্যাদিতে নগদ টাকা গ্রামে যাচ্ছে।
২। ছাত্রীছাত্রদেরকে দেওয়া সাইকেল একটা বড় ভূমিকা পালন করেছে(তবে এটা আগামী দিনে মেয়ে পড়ুয়াদের আরও বেশি বাইক/স্কুটার কেনার দিকে ঠেলে দেবে)
৩। 'তেলেভাজা শিল্প' প্রণোদনা ভদ্রলোকেদের কথা বার্তায় ব্যঙ্গ বিদ্রুপের জন্ম দিলেও শহরের অভদ্রলোকিয় এবং গ্রাম্য এলাকায় একটা বার্তা দিয়েছে - ছোট ব্যবসা - এমএসএমই নয় - অন্তত সরকারের কাছে অচ্ছুত নয় - সরকার সরাসরি এগুলোতে সাহায্য না করলেও তাঁরা এদের পাশে দাঁড়াচ্ছে - এটা বড় বার্তা -আমরা মনে করি স্বাধীনতার পর এত বড় বার্তা শহুরে ছোটলোক আর গ্রামীন উদ্যমীদের কেউ দেয় নি
৪। একটা অঙ্ক বলি আজ ৮০০০০এর কাছাকাছি গ্রাম শিল্পী মাসে ১০০০ টাকা আর মাসে ৫ দল হিসেবে ৫টা অনুষ্ঠান পাবে যার জন্য সে আরো ৪০০০ টাকা অতিরিক্ত পাবে - মানে একজন অভিকর শিল্পী ৫০০০ টাকা রোজগার পাচ্ছেন - এবারে অঙ্ক দেখ শুধু লোক প্রসার প্রকল্পে গ্রামে যাচ্ছে ৪০কোটি টাকা। যে মানুষটা বা দল অভিনয় করত ধান ওঠার পরে শুধু কয়েকতা মাস এখন তাঁরা সারা বছর কাজ পাচ্ছে
গ্রমীনেরা কিভাবে উৎসাহ পাচ্ছেন একটা উদাহরণ দিই
আনথ্রোপলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে যখন রাভা গ্রাম খুটতিমারিতে তাঁদের বোনা উদ্যম চালু করার কর্মশালা করি - তখন এক রাভা মুখোশ শিল্পী নিজে থেকে বন্ধ করে দেওয়া মুখোশ বানাতে শুরু করেন। ২০০৭ থেকে তাঁর পিছনে লেগেছিলাম, পারিনি, কিন্তু এবারে আর তাঁকে বলতে হয় নি, নিজেই লেগে গিয়েছিলেন কাজে।
সেই কাজটি মমতা সরকার গ্রাম পুনর্গঠনের লক্ষ্যে করতে শুরু করেছেন...বিগত ছমাস পা্ঁচ বছরে এটা পরিষ্কার
মধ্যবিত্ত ভদ্রলোকের বিবমিষা উদ্রেক করে সরকারি উদ্যমে গ্রামে নগদ টাকা ঢুকছে এবং গ্রামে যাদের পাওয়ার কথা সেটা নিয়মিত পাচ্ছেন... তাঁর কয়েকটা বলা গেল...
১। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, লোকপ্রসার ইত্যাদিতে নগদ টাকা গ্রামে যাচ্ছে।
২। ছাত্রীছাত্রদেরকে দেওয়া সাইকেল একটা বড় ভূমিকা পালন করেছে(তবে এটা আগামী দিনে মেয়ে পড়ুয়াদের আরও বেশি বাইক/স্কুটার কেনার দিকে ঠেলে দেবে)
৩। 'তেলেভাজা শিল্প' প্রণোদনা ভদ্রলোকেদের কথা বার্তায় ব্যঙ্গ বিদ্রুপের জন্ম দিলেও শহরের অভদ্রলোকিয় এবং গ্রাম্য এলাকায় একটা বার্তা দিয়েছে - ছোট ব্যবসা - এমএসএমই নয় - অন্তত সরকারের কাছে অচ্ছুত নয় - সরকার সরাসরি এগুলোতে সাহায্য না করলেও তাঁরা এদের পাশে দাঁড়াচ্ছে - এটা বড় বার্তা -আমরা মনে করি স্বাধীনতার পর এত বড় বার্তা শহুরে ছোটলোক আর গ্রামীন উদ্যমীদের কেউ দেয় নি
৪। একটা অঙ্ক বলি আজ ৮০০০০এর কাছাকাছি গ্রাম শিল্পী মাসে ১০০০ টাকা আর মাসে ৫ দল হিসেবে ৫টা অনুষ্ঠান পাবে যার জন্য সে আরো ৪০০০ টাকা অতিরিক্ত পাবে - মানে একজন অভিকর শিল্পী ৫০০০ টাকা রোজগার পাচ্ছেন - এবারে অঙ্ক দেখ শুধু লোক প্রসার প্রকল্পে গ্রামে যাচ্ছে ৪০কোটি টাকা। যে মানুষটা বা দল অভিনয় করত ধান ওঠার পরে শুধু কয়েকতা মাস এখন তাঁরা সারা বছর কাজ পাচ্ছে
গ্রমীনেরা কিভাবে উৎসাহ পাচ্ছেন একটা উদাহরণ দিই
আনথ্রোপলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে যখন রাভা গ্রাম খুটতিমারিতে তাঁদের বোনা উদ্যম চালু করার কর্মশালা করি - তখন এক রাভা মুখোশ শিল্পী নিজে থেকে বন্ধ করে দেওয়া মুখোশ বানাতে শুরু করেন। ২০০৭ থেকে তাঁর পিছনে লেগেছিলাম, পারিনি, কিন্তু এবারে আর তাঁকে বলতে হয় নি, নিজেই লেগে গিয়েছিলেন কাজে।
No comments:
Post a Comment