৬০ হাজার কোটি টাকার বাজার বলেছি শুধু পরম্পরার উদ্যমের ৬০ লক্ষ গ্রামীন ব্যবসায়ীর। তার বাইরে বিপুল অর্থনীতি আছে। চাষ আছে। এমএসএমই আছে। সেগুলো হিসেবেই ধরিনি। কর্পোরেটরা জানে না? এ গুলো ছেড়ে দেবে? তাঁদের সমস্যা এখানে ব্যাঙ্কের এটিএম পেটিএমের পেনিট্রেশন কম। আর ব্যাঙ্কে খাতা থাকলেও তারা ব্যাবকের চোহদ্দি পারতপক্ষে মাড়ায় না - কেননা সেগুলি মূলত চাকুরিজিবী, শহরের মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ীদের জন্য। আর আজও গ্রামের অধিকাংশ মানুষ ধার খুব একটা চায় না - যদি না খুব বিপদে পড়ে। এটা মানসিকতা। এটা ভাঙ্গা খুব মুশকিল। যারা ধার চায় তারা ক্ষমতার কাছের মানুষ। তারা গ্রামের মধ্যবিত্ত।
তো আজকের অবস্থা - গ্রামে এখন ধান কাটার সময়। এখনই বিপুল টাকার লেনদেন হবে
রোজ। কয়েকশ কোটি তাকা রোজ - তাতে কৃষি শ্রমিকেরা টাকা পাবেন। তাঁদের হাতে
টাকা আসছে না। পাঁচদিন ধরে গ্রামে অর্থনৈতিক ধর্মঘট। শহরের মত খাবার চিন্তা
নেই, রোজ নগদে বাজার করতে হয় বলে সঙ্কটটা বোঝা যাচ্ছে না - কিন্তু
অন্যান্য ব্যয় তো আর ধারে হবে না!
৮ তারখের পর চার দিন গড়াল। ধান কাটার মরশুমে কেউ টাকা পাচ্ছে না। মালিকেরা ৫০০ টাকা ধরাচ্ছেন। হাটে বাজারে সক্কলে ইতস্তত করছেন। শহরের মত ব্যাঙ্ক ঘণত্ব কোথায়? কোথায় ভাঙ্গাবে? দোকানির আশংকা ব্যাঙ্ক যদি ভাঙ্গাতে না চায়? সাধারণত খেটে খাওয়া মানুষ সহজে ব্যাঙ্কে যায় না, কারণ তার ব্যবস্থাটাই মধ্যবিত্তের জন্য ভেবে তৈরি হয়েছে। তার ওপর ইংরেজি! আর ব্যাঙ্কে গেলে এক বেলা নষ্ট।
তো এবারে ভাবুন মধ্যবিত্ত চাষীর কথা যারা ছোট জোতের - তারাই শহরের মানুষকে খাইয়ে রেখেছে। তাঁদের হাতে টাকা আসা বন্ধ হয়ে যাওয়া মানেই পরের নতুন আলু, তার পর সরষে চাষের বিনিয়োগ পাবে কোথায়? ছোট ছোট ফসল চাষের অবস্থা কী দাঁড়াবে?
আর কারু শিল্পীদের কথা না বলাই ভাল। ১৮ তারিখ থেকে হস্ত শিল্প মেলা। কি দাঁড়াবে জানি না। মানুষ চাল কিনবে না পট? গ্রামের যে হাটে তাঁদের উতপাদন বিক্রি হয় সে হাটগুলোর অবস্থা ৫ দিনে খুব বোঝা যাচ্ছে না - যে হেতু সক্কলে মুখ চেনা - প্রাথমিকভাবে কিছুটা ধারে চলছে - পতিরাজ, কমলাবারি, শামুকতলা উত্তরবঙ্গের খুব বড় বড় হাট - কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয় এক দিনে। আজ খুব একটা বোঝা যায় নি - কিন্তু দুতিনটে হাটের পরে মালুম যে পড়বে তা আজই বোঝা গিয়েছে - দোকানিদের মুখ শুকনো। নগদ ছাড়া চলবে? তখন চাষী, ছোট উদ্যোগীরা কোথায় যাবে - ধার দুএকটা হাট বা দুএকটা বিষয়ে ধার চলে - গোটা হাটটা সপ্তাহে দু দিনই হপ্তার পর হপ্তা ধারে চলতে পারে না। ফলে গ্রামের হৃদয় হাট দাঁড়িয়ে গেলে য়ে গ্রামের অর্থনীতি কি যে হবে?
তাঁতিদের অবস্থা খুব দুর্বিসহ। পরম্পরার উদ্যোগীদের অনেকের কাঁচামাল নিজের এলাকার - অনেকের নিজেরাই চাষ করে বা গ্রামে পাওয়া যায় - কিন্তু তাঁতিকে নগদে রঙ আর সুতো কিনতে হয়। সেখানে ধার নেই। অবস্থা বেগতিক দেখে একবার ধার দেবে মহাজন। তাকে হপ্তায় অন্তত দুবার সুতো কিনতে হয়। একবার পেল - পরের বারে? তার পরের বারে? তার পরের...।
এই অবরোধটা যদি ২০ দিনের বেশি গড়ায় তাহলেই চিত্তির। অন্তত গ্রামের অর্থনীতিতে। দিনাজপুরের মুষ্কিপুরে চার কিমির মধ্যে একটা এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক। সেখানে কাল টাকা এসেছে। কিন্তু দেওয়া বন্ধ শুধু টাকা নেওয়া হচ্ছে। মানুষেরে হাত থেকে টাকা চলে যাচ্ছে। ব্যবসা হবে কি করে?
আরও অনেক কথা বলা যায় আপনাদের ধৈর্য চ্যুতি ঘটবে বলে ক্ষান্ত দিলাম।
৮ তারখের পর চার দিন গড়াল। ধান কাটার মরশুমে কেউ টাকা পাচ্ছে না। মালিকেরা ৫০০ টাকা ধরাচ্ছেন। হাটে বাজারে সক্কলে ইতস্তত করছেন। শহরের মত ব্যাঙ্ক ঘণত্ব কোথায়? কোথায় ভাঙ্গাবে? দোকানির আশংকা ব্যাঙ্ক যদি ভাঙ্গাতে না চায়? সাধারণত খেটে খাওয়া মানুষ সহজে ব্যাঙ্কে যায় না, কারণ তার ব্যবস্থাটাই মধ্যবিত্তের জন্য ভেবে তৈরি হয়েছে। তার ওপর ইংরেজি! আর ব্যাঙ্কে গেলে এক বেলা নষ্ট।
তো এবারে ভাবুন মধ্যবিত্ত চাষীর কথা যারা ছোট জোতের - তারাই শহরের মানুষকে খাইয়ে রেখেছে। তাঁদের হাতে টাকা আসা বন্ধ হয়ে যাওয়া মানেই পরের নতুন আলু, তার পর সরষে চাষের বিনিয়োগ পাবে কোথায়? ছোট ছোট ফসল চাষের অবস্থা কী দাঁড়াবে?
আর কারু শিল্পীদের কথা না বলাই ভাল। ১৮ তারিখ থেকে হস্ত শিল্প মেলা। কি দাঁড়াবে জানি না। মানুষ চাল কিনবে না পট? গ্রামের যে হাটে তাঁদের উতপাদন বিক্রি হয় সে হাটগুলোর অবস্থা ৫ দিনে খুব বোঝা যাচ্ছে না - যে হেতু সক্কলে মুখ চেনা - প্রাথমিকভাবে কিছুটা ধারে চলছে - পতিরাজ, কমলাবারি, শামুকতলা উত্তরবঙ্গের খুব বড় বড় হাট - কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয় এক দিনে। আজ খুব একটা বোঝা যায় নি - কিন্তু দুতিনটে হাটের পরে মালুম যে পড়বে তা আজই বোঝা গিয়েছে - দোকানিদের মুখ শুকনো। নগদ ছাড়া চলবে? তখন চাষী, ছোট উদ্যোগীরা কোথায় যাবে - ধার দুএকটা হাট বা দুএকটা বিষয়ে ধার চলে - গোটা হাটটা সপ্তাহে দু দিনই হপ্তার পর হপ্তা ধারে চলতে পারে না। ফলে গ্রামের হৃদয় হাট দাঁড়িয়ে গেলে য়ে গ্রামের অর্থনীতি কি যে হবে?
তাঁতিদের অবস্থা খুব দুর্বিসহ। পরম্পরার উদ্যোগীদের অনেকের কাঁচামাল নিজের এলাকার - অনেকের নিজেরাই চাষ করে বা গ্রামে পাওয়া যায় - কিন্তু তাঁতিকে নগদে রঙ আর সুতো কিনতে হয়। সেখানে ধার নেই। অবস্থা বেগতিক দেখে একবার ধার দেবে মহাজন। তাকে হপ্তায় অন্তত দুবার সুতো কিনতে হয়। একবার পেল - পরের বারে? তার পরের বারে? তার পরের...।
এই অবরোধটা যদি ২০ দিনের বেশি গড়ায় তাহলেই চিত্তির। অন্তত গ্রামের অর্থনীতিতে। দিনাজপুরের মুষ্কিপুরে চার কিমির মধ্যে একটা এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক। সেখানে কাল টাকা এসেছে। কিন্তু দেওয়া বন্ধ শুধু টাকা নেওয়া হচ্ছে। মানুষেরে হাত থেকে টাকা চলে যাচ্ছে। ব্যবসা হবে কি করে?
আরও অনেক কথা বলা যায় আপনাদের ধৈর্য চ্যুতি ঘটবে বলে ক্ষান্ত দিলাম।
No comments:
Post a Comment