মানুষের
হাতে টাকা নেই - বাবুরা শুধু ৫০০ টাকা ধরাতে চায়। যারা নেয়, আর যারা নেয়
না সক্কলের এক সমস্যা। হাটে খরচা করার উপায় নেই। অথচ এই সময়ে হাটগুলো গমগম
করার কথা। দিনাজপুরেই ধরুণ যদি ১ লাখ মানুষ দৈনিক ৩৫০ টাকা করেও না পায় তা
হলে দৈনিক সাড়ে তিন কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে।
তার ওপর ব্যাঙ্ক একাউন্টের কথা বলেন মধ্যবিত্ত - কত জনধন একাউন্ট করে দিয়েছে - কিছুটা করে দিয়েছে ডিপার্টমেন্ট অব হ্যান্ডিক্রাফট। আমাদের সঙ্গঠনে যে ৫০০০ সদস্য তাদের অনেকেরই একাউন্ট আছে - কিন্তু অপারেট করে খুবই হাতে গোণা কয়েকজন ব্যবসা ভাল বোঝে যারা। আজ পুরোনো হকার সঙ্গঠনে গিয়েছিলাম - সেখানে শুনলাম আজও কলকাতার হাজার হাজার ফুড হকারের মধ্যে মাত্র ২০-৩০ জনের ব্যাঙ্ক একাউন্ট আছে।
আজ দিনাজপুরের রায়গঞ্জের ৪০ কিমু দূরে আমাদের সম্পাদক মুধুমঙ্গল মালাকারের গ্রামে একটা এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক আসে সেখানে টাকা এসেছিল - কয়েক ঘন্টায় শেষ - তার পরে কর্মীরা লিঙ্ক নেই বলে বোর্ড ঝুলিয়ে বসে রইল। না হলে তো মধ্যবিত্তের পিটাই খেতে হবে। এই ব্যাঙ্কের চার পাঁচ কিমি ঘিরে কোন ব্যাঙ্ক নেই। এটি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ২ কিমির মধ্যে। অন্য আরও গভীরের গ্রামের কথা ভাবুন।
আর সরকার সক্কলকে ক্যাশলেস সেবা দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কটা গ্রামে ব্যাঙ্ক আছে? ক্রেডিটকার্ড চালাবার মত এটিএম কোথায়? শহরে এটিএম থাকলেও টাকা থাকে না। এদেরকে দেওয়া বিদ্যুৎ চালিত প্রযুক্তির যন্ত্রের মত - দিনের অধিকাংশ সময়েই বিদ্যুতই নেই তো, সে মেশিন চালাবে কি করে, আর খারাপ হলে তা সারাবে কোথায় - এই প্রযুক্তি তো তার নিজস্ব নয়?
গ্রামের অমধ্যবিত্ত ব্যাঙ্কে যায় না কারণ ব্যাঙ্কএর কাজকর্ম মধ্যবিত্তদের সেবা দেওয়ার জন্য করে তৈরি করা হয়েছে - তার মত উদ্বৃত্তদের জন্য নয়। ফলে আপনি চাইলে ইন্ডিয়ার মত ভারত ক্যাশলেস অর্থনীতি হয়ত হবে কিন্তু এই মানুষেরা আরও আতান্তরে পড়বে। ব্যাঙ্কে হয়ত টাকা আসবে এরা জানবেও না।
আর ক্যাশলেস হলে তো টাকার ওপর, নিজের ওপর, স্থানীয় অর্থনীতির, নিজের ব্যবসার ওপর এদের যে দখল, এদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। গোটা স্বনির্ভর গ্রামীন অর্থনীতি আজও যতটুকু টিকে রয়েছে তা চলে যাবে দূরদেশে থাকা ব্যাঙ্ক/ধার দেওয়া কোম্পানির মালিকের হাতে। স্বাধীন ব্যবসার সমাপ্তি।
যে গ্রাম ২০০৮ সালে নীলকণ্ঠ হয়ে বাঁচিয়েছিল ভারত, আর ইকনমির ফান্ডামেন্টাল ভাল দেগে তার সুফল নিয়েছিল হহুরে কর্পোরেট ভারত - সেই গ্রামীন কুশনটাও সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে গ্রামকে ক্যাশলেস আর ব্যাঙ্ক নির্ভর অর্থনীতিতে জুতে দেওয়ার চক্রান্তে।
ব্রিটিশ বিশিল্পায়নকে জুঝেছি আমরা। আমরা এটাও জুঝে নেব ঠিক।
আমরা চাঁদা ভিত্তিক গ্রামীনদের হাতে তৈরি সংগঠন। মানুষের 'ভাল করার' এনজিও নই। আমাদের সংগঠন আমাদের সদস্যদের মত করে ব্যবসা করে তার পাথেয় সংগ্রহ করে। আর স্বনির্ভরতার একটা মজা আছে। আম ভদ্রলোক বাঙালি তা জানে না বুঝতেও চায় না - কারণ তার অতীত তো চাকরি আর দাদালির।
আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা, সীমান্তের গ্রামগুলোতে জোর দাঙ্গা লাগাবার জন্য কিছু সংগঠন উঠেপড়ে লেগেছে। আমরা সজাগ। ঘটনা ঘটানোটা খুব সোজা হচ্ছে না - আমাদের সদস্যরা আজও রাতের পর রাত সত্যপীরের গান গায়, ধর্ম বর্ণ ভেদাভেদ না দেখে মাজারে শীতলা গ্রাম দেবতার থানে হত্যে দেয়। হিন্দুর বাড়ি মুসলমান খেলে হিন্দু গিন্নি এঁটো পাড়ে। এটা আমাদের বাঙলার দীর্ঘকালের ঐতিহ্য। খুব সহজ হবে না। কিন্তু সাবধানে থাকা। বিপুল টাকা ছড়ানো হচ্ছে, বিপুল ক্ষমতার মানুষকে লাগানো হয়েছে - কিন্তু তাদের নেতৃত্ব খুব দুর্বল, তাই কিছু করে উঠতে পারছে না। সায়ন্তন আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
আজ বাংলার অর্থনীতি আর তার সংস্কৃতি - দুদিকেই আক্রান্ত।
তার ওপর ব্যাঙ্ক একাউন্টের কথা বলেন মধ্যবিত্ত - কত জনধন একাউন্ট করে দিয়েছে - কিছুটা করে দিয়েছে ডিপার্টমেন্ট অব হ্যান্ডিক্রাফট। আমাদের সঙ্গঠনে যে ৫০০০ সদস্য তাদের অনেকেরই একাউন্ট আছে - কিন্তু অপারেট করে খুবই হাতে গোণা কয়েকজন ব্যবসা ভাল বোঝে যারা। আজ পুরোনো হকার সঙ্গঠনে গিয়েছিলাম - সেখানে শুনলাম আজও কলকাতার হাজার হাজার ফুড হকারের মধ্যে মাত্র ২০-৩০ জনের ব্যাঙ্ক একাউন্ট আছে।
আজ দিনাজপুরের রায়গঞ্জের ৪০ কিমু দূরে আমাদের সম্পাদক মুধুমঙ্গল মালাকারের গ্রামে একটা এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক আসে সেখানে টাকা এসেছিল - কয়েক ঘন্টায় শেষ - তার পরে কর্মীরা লিঙ্ক নেই বলে বোর্ড ঝুলিয়ে বসে রইল। না হলে তো মধ্যবিত্তের পিটাই খেতে হবে। এই ব্যাঙ্কের চার পাঁচ কিমি ঘিরে কোন ব্যাঙ্ক নেই। এটি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ২ কিমির মধ্যে। অন্য আরও গভীরের গ্রামের কথা ভাবুন।
আর সরকার সক্কলকে ক্যাশলেস সেবা দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কটা গ্রামে ব্যাঙ্ক আছে? ক্রেডিটকার্ড চালাবার মত এটিএম কোথায়? শহরে এটিএম থাকলেও টাকা থাকে না। এদেরকে দেওয়া বিদ্যুৎ চালিত প্রযুক্তির যন্ত্রের মত - দিনের অধিকাংশ সময়েই বিদ্যুতই নেই তো, সে মেশিন চালাবে কি করে, আর খারাপ হলে তা সারাবে কোথায় - এই প্রযুক্তি তো তার নিজস্ব নয়?
গ্রামের অমধ্যবিত্ত ব্যাঙ্কে যায় না কারণ ব্যাঙ্কএর কাজকর্ম মধ্যবিত্তদের সেবা দেওয়ার জন্য করে তৈরি করা হয়েছে - তার মত উদ্বৃত্তদের জন্য নয়। ফলে আপনি চাইলে ইন্ডিয়ার মত ভারত ক্যাশলেস অর্থনীতি হয়ত হবে কিন্তু এই মানুষেরা আরও আতান্তরে পড়বে। ব্যাঙ্কে হয়ত টাকা আসবে এরা জানবেও না।
আর ক্যাশলেস হলে তো টাকার ওপর, নিজের ওপর, স্থানীয় অর্থনীতির, নিজের ব্যবসার ওপর এদের যে দখল, এদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। গোটা স্বনির্ভর গ্রামীন অর্থনীতি আজও যতটুকু টিকে রয়েছে তা চলে যাবে দূরদেশে থাকা ব্যাঙ্ক/ধার দেওয়া কোম্পানির মালিকের হাতে। স্বাধীন ব্যবসার সমাপ্তি।
যে গ্রাম ২০০৮ সালে নীলকণ্ঠ হয়ে বাঁচিয়েছিল ভারত, আর ইকনমির ফান্ডামেন্টাল ভাল দেগে তার সুফল নিয়েছিল হহুরে কর্পোরেট ভারত - সেই গ্রামীন কুশনটাও সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে গ্রামকে ক্যাশলেস আর ব্যাঙ্ক নির্ভর অর্থনীতিতে জুতে দেওয়ার চক্রান্তে।
ব্রিটিশ বিশিল্পায়নকে জুঝেছি আমরা। আমরা এটাও জুঝে নেব ঠিক।
আমরা চাঁদা ভিত্তিক গ্রামীনদের হাতে তৈরি সংগঠন। মানুষের 'ভাল করার' এনজিও নই। আমাদের সংগঠন আমাদের সদস্যদের মত করে ব্যবসা করে তার পাথেয় সংগ্রহ করে। আর স্বনির্ভরতার একটা মজা আছে। আম ভদ্রলোক বাঙালি তা জানে না বুঝতেও চায় না - কারণ তার অতীত তো চাকরি আর দাদালির।
আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা, সীমান্তের গ্রামগুলোতে জোর দাঙ্গা লাগাবার জন্য কিছু সংগঠন উঠেপড়ে লেগেছে। আমরা সজাগ। ঘটনা ঘটানোটা খুব সোজা হচ্ছে না - আমাদের সদস্যরা আজও রাতের পর রাত সত্যপীরের গান গায়, ধর্ম বর্ণ ভেদাভেদ না দেখে মাজারে শীতলা গ্রাম দেবতার থানে হত্যে দেয়। হিন্দুর বাড়ি মুসলমান খেলে হিন্দু গিন্নি এঁটো পাড়ে। এটা আমাদের বাঙলার দীর্ঘকালের ঐতিহ্য। খুব সহজ হবে না। কিন্তু সাবধানে থাকা। বিপুল টাকা ছড়ানো হচ্ছে, বিপুল ক্ষমতার মানুষকে লাগানো হয়েছে - কিন্তু তাদের নেতৃত্ব খুব দুর্বল, তাই কিছু করে উঠতে পারছে না। সায়ন্তন আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
আজ বাংলার অর্থনীতি আর তার সংস্কৃতি - দুদিকেই আক্রান্ত।
No comments:
Post a Comment