‘ব্রিটিশেরা খুচরো
মুদ্রা, কড়ি বাজার থেকে তুলে নিয়েছিল, যার ফলে পণ্য বিনিময়ের ব্যবস্থা মার খায়। হাতে অর্থ না থাকলে খাদ্য কেনা
মুশকিল’ - ১৭৭০ সালের বাঙলার মন্বন্তর নিয়ে ঐতিহাসিক রিচার্ড স্টিভেনসন
সে সময়(পলাশির পরে
১৭৭০সালের দিকে) গ্রামীন অর্থনীতি থেকে দুই তৃতীয়াংশ মুদ্রা(কড়ি) তুলে নেয় (মোদির ভারতে সেই
সংখ্যাটা ৮৫শতাংশ) ব্রিটিশ সাম্রাজ্য। গ্রামের ছোট উতপাদক, তাঁতি আর শ্রমিকদের কাজ
চলে গিয়েছিল, যেহেতু বাজারে চাহিদাই ছিল না। ধারের বাজার দাঁড়িয়ে গিয়েছিল।
বাজারে, ধারের এবং বণিকদের(পণ্য সরবরাহের) অভাবের জন্য চাহিদা-সরবরাহের
তুল্যমূল্যতা ভেঙ্গে পড়ে এবং অর্থনীতিতে বিপুল আঘাত আসে - শশী শিবরামকৃষ্ণ, ইন
সার্চ অব স্টেবিলিটিঃ ইকনমিক্স অব মানি, হিস্ট্রি অব রুপি।
এই দুই পণ্ডিত
অষ্টাদশ শতকের কথা আলোচনা করছেন। ৮ নভেম্বরের মধ্য রাত্রি থেকে ভারতীয় অর্থনীতিতে
বিপুল পরিমানে নগদের অভাব ঘটানো হয়। সিআইআই বলছে এর ফলে দৈনন্দিন ব্যবসার পরিমান
৫০-৭০ শতাংশ হ্রাস পায়। ঠিক এই ঘটনাটা ঘটেছিল ১৭৭০ সালে বাঙলার ইতিহাসে(যেটি
ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত) – সে সময় ব্রিটিশেরা ৭৫ শতাংশ নগদ অর্থ তুলে
নিয়েছিল, আজ মোদি বাজার থেকে তার থেকে ১১ শতাংশ বেশি নগদ, ৮৬ শতাংশ তুলে নেয় – এবং
তার জন্য দেশের ব্যবসা বাণিজ্য সমূলে ধ্বসে পড়ে!
বাজারের অনিশ্চয়তার
দরুণ, যে সব কোম্পানির হাতে সম্পদ ছিল, যারা ২০১৬ সালে বাজারে ঢোকার জন্য তৈরিও
ছিল, তারাও যেন থমকে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। গাড়ি কেনার মত নানান কাজে, যেখানে নগদ অর্থের
বিনিময় হয় না, বিক্রি কমে গিয়েছে ২০%(হুণ্ডাই) এবং ৩৮%(মহীন্দ্র)। দুচাকার গাড়ির
বিক্রি কমেছে ৩৫-৪০ শতাংশ। ট্রাক্টর কেনা কমেছে বিপুল পরিমানে, ৬৩ শতাংশ। শ্রম
নির্ভর বস্ত্র শিল্পে চার লাখ এবং চামড়া শিল্পে ষাট হাজার শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে। এই
সংখ্যা নভেম্বরের প্রথম তিন সপ্তাহের। শুধু টাকা বাতিল নয়, টাকা বাতিলের পরে যে সব
আশেপাশের দুর্ঘটনা(কোল্যাটারাল ড্যামেজ) ঘটতে থাকে, তার প্রভাবে ভারতের সার্বিক
অর্থনীতি ধ্বসে পড়ে।
মোদি সরকারের পক্ষের
অর্থনীতিবিদদের কথা বাদ দিলে, নিরপেক্ষ অর্থনীতিবিদেরা একমত যে আগামী দুই বা তিন
ত্রৈমাসে দেশের জাতীয় উতপাদন(জিডিপি) ১ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট বা তার বেশি পরিমানে
কমবেই। ২০১৭ সালের জিডিপি কমে হবে ৩.৫ শতাংশ, এই ভবিষ্যদ্বানী এম্বিট
ক্যাপিট্যালের।
সেন্টার ফর মনিটারিং
ইন্ডিয়ান ইকনমির ধারণা ৮ তারিখের টাকা বিহীন অর্থনীতি থেকে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে
আসতে মোটামুটি ব্যয় হবে ১.২৮ লক্ষ কোটি টাকা, এবং এই ব্যয় বহন করার দায়ভার চাপবে
সাধারণ গৃহস্থ, ব্যবসায়ী, উতপাদক, ব্যঙ্ক, সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওপর(মণি
যেটা বলেন নি, ব্যাঙ্ক বা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তো এই দায় বহন করবে না – তারা চলে সাধারণ
মানুষের দেয় করের টাকায়, সেটি শেষ পর্যন্ত চাপবে সাধারণ মানুষের ওপর)। যে ১৫ লক্ষ
কোটি টাকা নগদ বাজারে ছিল, তার কাছাকাছি ১৩ লক্ষ কোটি টাকা ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে। এই
বিপুল সংখ্যক মুদ্রা সাদাস্য সাদা, সাধারণ মানুষের ঘাম রক্ত ঝরিয়ে রোজগার করা
সম্পদ। সাধারন অর্থনীতিতে কালো টাকা নগদে ৬ শতাংশের বেশি থাকে না, বাকি থাকে
অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তিরূপে। দামি টাকা নিষিদ্ধ করে কালো অর্থনীতির বারোটা
বাজাবার সিদ্ধান্ত হাস্যকর। সুপ্রীম কোর্টকে সরকার জানায় যে তাদের ধারণা কালো
টাকার কারবারিরা ৪ লক্ষ কোটি টাকা ব্যাঙ্কে জমা দেবে না – কেন্দ্রের এই ধারণা
স্বভাবতই ভুল প্রমানিত হয়েছে। ভাজপার ধারনা ছিল টাকা বাতিলের নীতি পাঞ্জাব এবং
উত্তরপ্রদেশের ভোট বৈতরণী পার করতে সাহায্য করবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভেতরের
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানতে পেরেছি, যে কালো টাকা তারা উদ্ধার করেছে তার পরিমান ৫০
হাজার কোটি টাকাও হবে না। আম আদমির আকাউন্টে টাকা দেওয়ার যে ধোঁয়াশে ভাবনা বিজেপির
মাথাদের ছিল তাও উবে যাচ্ছে।
৮ তারিখের রাতে যখন
মোদি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছেন, সে সময়টায় দেশের কিষান এবং খেত মজুরেরা দীর্ঘ
দু বছরের খরার কবল, অসময়ে কম দামে বিক্রির অবস্থা থেকে লড়ে উঠেছেন। সব থেকে বেশি
ক্ষতি হল ফল এবং পচনশীল ফসলের চাষী, মাণ্ডিওয়ালা এবং রেহড়িওয়ালাদের(হকার)। হাতে
তাদের আজ একটাকাও নগদ অর্থ নেই। চাষ এবং গ্রামীন উতপাদনে কাজের সুযোগ
লক্ষ্যণীয়ভাবে কমবে। ফলের চাষের শ্রমিকদের নগদে বিদায় দেওয়া হচ্ছে না, এমন নয় যে
মালিকদের অর্থভাব ঘটেছে, বরং তারা নিজেদের জমা টাকাই তুলতে পারছেন না।
বাড়ি-ঘর তৈরির
ক্ষেত্র একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। কৃষির পরেই এরাই দেশের মানুষের রোজগার নিশ্চিত করে।
অর্থনীতির ব্যবস্থাপকেরা যে কর্মনিয়োগহীন অর্থনীতির বিকাশ ঘটিয়েছেন, তাতেও তারা
সাড়ে তিন কোটি থেকে সাড়ে চার কোটি দিন-শ্রমিককে কাজ দেয়। দালালদের(কন্ট্রাক্টর)
হাতে নগদ অর্থ নেই বলে তারা দিনের দিন টাকা মেটানো শ্রমিকদের বসিয়ে দিচ্ছেন। ৮০-৯০
শতাংশ দিন মজুরকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটি প্রখ্যাত সাময়িকী শীর্ষনাম করেছে, ‘চূড়া
থেকে খাদে’।
উতপাদনে লাখে লাখে –
সত্যিকারের লাখে লাখে মাঝারি উতপাদন কারখানা বন্ধ হয়েছে। মোটামুটি ৬০০০০ ছোট ঋণ
ব্যবসা ক্ষতির সম্মুখীন – ৬০০ কোটি টাকা আদায়ই হয় নি – ফলে নতুন করে ধার দেওয়াই
যাচ্ছে না(শিবরমকৃষ্ণর লেখা ১৭৭০এর উদাহরণ দেখুন)। শহুরে বেকারি ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে
দাঁড়িয়েছে ৯ শতাংশে। একজন অর্থনীতিবিদের ভাষায়, ‘নগদের অভাবে নতুন শ্রম বাজারে,
ক্রয় বাজারে এবং উতপাদনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে(ঠিক এই কথাটাই স্টিভেনসন
বলেছেন)।’ আর ৯০ শতাংশেরও বেশি শ্রমিক নিয়ে যে অসংগঠিত ক্ষেত্র, ইন্টারন্যাশনাল
গ্রোথ সেন্টারের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ প্রণব সেন সরাসরি আঙুল তুলে বলছেন, টাকা
বাতিলের নীতি সমগ্র অসংগঠিত ক্ষেত্রকে যেন দণ্ডিত, জরিমানা করা হয়েছে এবং চিরতরে
এটিকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে।
এই ভয়ঙ্কর অবস্থাকে
তার রাজ্যসভার বক্তৃতায় এবং দ্য হিন্দুর প্রবন্ধে ড মনমোহন সিং যেভাবে বর্ণনা
করেছেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের এস গুরুমুর্তি হিন্দুতে প্রকাশিত প্রবন্ধে ড
সিংএর দূরদৃষ্টির সঙ্গে দ্বিমত হয়েছেন।
কালো টাকা এবং জঙ্গী
কার্যকলাপ বন্ধ করতে চেয়ে মোদিবাবুর টাকা বাতিলের পরিকল্পনাকে সমালোচনা করে
রাজ্যসভায় মনমোহন সিং বলেছিলেন, পাহাড়প্রমান অব্যবস্থা। তিনি আশংকা করেছিলেন ৩০
কোটি শ্রমিকের কৃষি, ছোট উতপাদন এবং
অসংগঠিত ক্ষেত্রর বিকাশের হার যথেষ্ট কমে যাবে ফলে দেশের জিডিপি কমবে ২%
এবং তিনি এটি তাঁর বলেছেন ন্যুনতম ধারণা - ‘বাড়িয়ে বলছি না, বরং কমিয়েই বললাম’।
ওপরে যে সব সঙ্খ্যাতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করলাম, তাতে প্রমান হয় কিভাবে মধ্যরাত্রে
হঠাতই ব্যক্তি পোষিত দুর্দশা ভারতের ওপর খাঁড়ার আঘাতের মত করে নামিয়ে আনা হয়েছে।
গুরুমূর্তি এই
সংখ্যাতত্ত্বের সব ক’টাই সমর্থন করেও মোদির পথকে সমর্থন করেছেন। বলছেন, তার নেতার
পূর্বসূরীদের তৈরি করে যাওয়া অর্থনীতির বিষ দূরীভূত করতে এই পদক্ষেপের প্রয়োজন ছিল।
গুরুমূর্তি বলছেন এর ফলে ‘সাময়িক বিকাশ পিছু হঠবে’, এবং ‘দূরাগত ভবিষ্যতের সুখের
দিনগুলির জন্য কৃচ্ছসাধন’ করতে হবে। আহ, বেশ ভাল কথা। তাহলে এই আপ্তবাক্যগুলি কেন
মোদিবাবু নিজের মুখে বলছেন না? কেন তিনি বার বার বলছেন মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে সব
কিছুই ঠিক হয়ে যাবে? পরের দিকে নিজেকে শুধরে নিয়ে বলছেন আমাকে আরও ৫০ দিন দিন? এই
ভিক্ষে করে নেওয়া পঞ্চাশ দিন প্রায় শেষ হয়েই এল, এবং গুরুমূর্তি যাকে বলছেন ‘চাপিয়ে
দেওয়া’ কৃচ্ছসাধন, সেটা সাধারণ মানুষকে কেন আরও ৫০০ দিন সহ্য করতে হবে? এবং সংসদে
ড সিংও বলেছেন, ‘৫০ দিনের অত্যাচার দেশের পক্ষে শুভ হবে না’।
ড সিং দ্য হিন্দুতে
লিখছেন, ভারতের অধিকাংশ মানুষ নগদে রোজগার, খরচ আর সঞ্চয় করে। তাদের টেনে হিঁচড়ে
‘প্লাস্টিক টাকার অর্থনীতি’তে নিয়ে জুতে দেওয়া যাবে না, কেননা, ‘৬০ কোটি মানুষের
ব্যাঙ্কের খাতাই নেই’। ফলে ‘নগদই সাধারন মানুষের চালিকা শক্তি’। এটা অস্বীকার করা
যাবে না ব্যাঙ্কে খাতা রয়েছে ৪৬%, ইন্টারনেট করেন ২২ শতাংশ, ১৯ শতাংশের বাড়িতে
বিদ্যুতই পৌঁছয় নি, ১ কোটি ৪০ লক্ষ ব্যবসায়ীর মধ্যে ১০ লক্ষের পয়েন্ট অব সেলস
যন্ত্র রয়েছে। ফলে মোদি(এবং লগে লগে গুরুমূর্তিও) মানুষকে এই দিকে টেনে নিয়ে
যাওয়ার আগে এই তথ্যগুলো নজর দেওয়ার এবং এই ‘টাকাবিহীন ডিজিট্যাল’ অর্থনীতির
ব্যবস্থা জোরদার করার দরকার ছিল।
ড সিং, মোদি আর
গুরুমূর্তির ‘সব নগদ টাকাই কালো আর সব কালো টাকাই নগদ’ ধারনায় কুঠারাঘাত করেছেন।
তিনি লিখছেন, ‘এই ‘কালো টাকা’ নির্মূল করতে গিয়ে কোটি কোটি সাধারণতম মানুষের জীবন
নিয়ে ছেলে খেলা করাটাই ন্যাক্কারজনক পদক্ষেপ(ম্যামথ ট্রাজেডি)’। অধিকাংশ কালো টাকা
নগদে রাখা হয় না, সেই কালো টাকা ভারত থেকে মরিসাসে গিয়ে বেনামি পার্টিসিপেটরি নোট
মার্ফত সাদা হয়ে ভারতে বিনিয়োগরূপে ফিরে আসে। তিনি, ড সিংএর বিরোধিতা করতে গিয়ে
স্বীকার করেছেন ২০০৭ থেকে বেনামি পার্টিসিপেটরি নোট মার্ফত ৩.৮১ লক্ষ কোটি টাকা
ভারতের বাজারে ঘোরাফেরা করছে। যদি কালো টাকা উদ্ধারে নিজেকে মোদি মসিহা রূপে বিচার করে
থাকেন, তাহলে মরিসাসের সঙ্গে আলোচনা চলার সময় কেন তিনি এই বেনামি পার্টিসিপেটরি
নোট বাতিলের দাবি তোলেন নি, যে পদ্ধতিতে কালো টাকা সাদা হয়ে ভারতে আসে? শ্রীগুরুমূর্তি,
আমি উত্তর দিচ্ছি –মোদি কালো টাকার অর্থনীতির কোমর ভাঙতে খুব একটা উতসাহী নন। টাকা
বাতিলের নীতি মানুষের চোখের ওপর পর্দা ফেলার চেষ্টা মাত্র, আর প্রতি ১০ লক্ষ উচ্চ
সংখ্যার মুদ্রার মধ্যে মাত্র ২৫০টা নকল। যারা ১০০০ উচ্চমূল্যের টাকা বাতিল করতে
চায় তারা সেটি প্রতিস্থাপন করে ২০০০ টাকা দিয়ে! কি পরিহাস!
ভারত জুড়ে অনিশ্চয়তার
পরিবেশ, দেশে বিদেশে বিনিয়োগকারীর হিসেবের খাতায় এবং তাদের বিশ্বাসের ওপর দীর্ঘ
আঁচড় টেনে যাবে। ড সিং লিখছেন, ‘সরকার তাদের ব্যবহার করার টাকার সুরক্ষা দেবে, এই
ধারনার ওপরেই সাধারণ মানুষের ভরসা চলে গিয়েছে।’ নতুন ২০০০ টাকায় কালো অর্থনীতির
শেকড় আরও দীর্ঘ হবে। টাকা বাতিল ‘কালোটাকার সঞ্চয়ের ওপরে যেমন আঘাত করতে পারে নি’
ঠিক তেমনি, ‘তার প্রসার রোখার ক্ষেত্রেও কার্যকর হয় নি’। গুরুমূর্তি আরও ভয়ঙ্কর
কথা বলেছেন, মোদি এই ২০০০ টাকাও বাতিল করবেন! এর পরে কেউ কি এই সরকার এবং হিসাব পরীক্ষকটিকে
বিশ্বাস করবেন?
সংসদে ড সিং
হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, টাকা বাতিলের ঘটনা আগামী দিনে ভারতকে ব্যর্থ ব্যবস্থাপনার
দিকে নিয়ে যাবে, যার ফলে ‘লুঠের ব্যবস্থাপনা জোরদার হবে এবং লুঠতরাজ স্থায়ী আইনি
হবে’। দ্য হিন্দু’র লেখার শেষের দিকে বলছেন, ‘একটা চটিজলদি সিদ্ধান্ত’, মানুষের
ওপর বিপুল ‘অত্যাচার’ চাপিয়ে দিয়েছে। তিনি লেখা শেষ করছেন এই বলে, ‘ভারতের বিপুল
সংখ্যক মানুষের শ্রম দিয়ে অর্জিত সম্পদের ওপরে রাতারাতি আঘাত হানা এবং সেই নতুন
টাকা তুলতে তাদের আইনি বাধা দেওয়ার যে কাজ এই সরকার করেছে তার প্রভাব গভীর হবে এবং
সেই ক্ষত খুব তাড়াতাড়ি নিরাময় হবে না।’
এই বাস্তব অবস্থাকে
বিন্দুমাত্র পাত্তা না দিয়ে গুরুমূর্তি হযবরল অর্থনীতি বোঝাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
তিনি মোদির আগে তিনিটি অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এবং মনমোহন সিংএর
সময়ের ৬.৫% বৃদ্ধিকে অস্বীকার করতে না পেরে তিনি ব্যখ্যা দিয়েছেন বাজপেয়ীর সময়ে
মুদ্রাস্ফিতি ৪.৫ থেকে বেড়ে ইউপিএ আমলে হল ৬.৫, বললেন এই মুদ্রাস্ফিতিকে দেখানো
হয়েছে জিডিপি হিসেবে। এবং এই বক্তব্যের কোন মানে নেই।
- অনুবাদ বিশ্বেন্দু নন্দ
No comments:
Post a Comment