সোমনাথ রায় লিখলেন
আজন্ম শুনে এসেছি তবাকৎ ই নাসিরি বলেছে নালন্দার গ্রন্থাগার বক্তিয়ার পুড়িয়েছেন, কিন্তু এখন আর্কাইভ ডট অর্গে বইটার ইংরিজি অনুবাদ পড়ে যে কেউ দেখতে পারেন, এই পোড়ানোর গল্প নেই।
তাহলে পোড়াল কারা?
আরও বড় প্রশ্ন মুসলমানরা পুড়িয়েছে এই তত্ত্ব চালালো কারা?
তৃতীয় প্রশ্ন, দুদল কি একই ঐতিহ্য বহন করে? আজকের দিনে তৃতীয় প্রশ্ন ভীষণ ভীষণ রিলেভেন্ট!
নব্যচাড্ডিরা ইতিহাসকে সাম্রাজ্যবাদী ইউরোপীয়দের চশমা দিয়েই দেখে। আজ যখন তার অনেক কিছু ভুল প্রমাণিত হয়েছে, তখনও সেই চশমাটাকেই অ্যাসার্ট করে। কারণ, সাম্রাজ্যবাদী খ্রিষ্টানদের উত্তরাধিকার এরা বহন করছে এবং মুসলিম-বিদ্বেষ সেই উত্তরাধিকারের প্রথম জন্মদাগ। হিন্দুত্ব, হিন্দু-ধর্মতত্ত্ব ও বিশ্বাস কখনওই ইসলামবিদ্বেষী নয়, বরং যেরকম নেতাজি সুভাষ লিখেছিলেন, হিন্দু ধর্মের বিশ্বাসী মানুষ মুসলমান বাদশার নেতৃত্বেই ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম সর্বাত্মক যুদ্ধ করেছিলেন।
যাই হোক, বখতিয়ার ওদন্তপুরীতে নারকীয় হত্যালীলা চালিয়েছিলেন বলে অধুনা ইতিহাস বিশ্বাস করে, কিন্তু নালন্দার বিশাল গ্রন্থাগার পোড়ানোর সংগে তিনি যুক্ত ছিলেন না। নালন্দা পোড়ানোকে ইস্লাম-ধর্মাবলম্বীদের কাজের সঙ্গে যুক্ত করা আসলে ইউরোপীয় ইতিহাসের উত্তরাধিকার। বর্বর সাম্রাজ্যবাদীরা বহুবছর মানুষকে বিশ্বাস করিয়ে এসেছে যে আলেকজান্দ্রিয়ার লাইব্রেরি খলিফা উমর পুড়িয়েছিলেন। আমাদের দেশের বহু ছাত্র এবং বহু পন্ডিতও সেই বিশ্বাস নিয়ে জীবন কাটিয়েছিলেন। কিন্তু বস্তুত দেখা যায় খলিফা উমরের জন্ম বা ইসলাম প্রবর্তনের আগে আগ্রাসী ইউরোপীয়ানরাই খ্রিস্ট ধর্মের উন্মাদনাবশে এই লাইব্রেরি ধ্বংস করে। মজার ব্যাপার উনবিংশ শতাব্দীতে আলেকজান্দ্রিয়া মুসলমানরা ধ্বংস করেছিল এই ইতিহাস আমাদের দেশের পাঠ্যপুস্তকেও ছিল এবং তাকে আমার জানা মতে প্রথম চ্যালেঞ্জ করেন স্বামী বিবেকানন্দ।
ঘটনা হচ্ছে চাড্ডিরা দুশ বছরের পুরোনো ব্রিটিশ ইসলাম-বিদ্বেষে মোহিত হয়ে আছে এবং আলেকজান্দ্রিয়ার ছাঁচে নালন্দার লাইব্রেরি পোড়ানোর গল্প বিশ্বাস করে ও করাতে চায়।
অনির্বাণ রায় লিখলেন
মিনহাজ-ই-সিরাজের ‘তবাকত ই-নাসিরি’ এবং ‘নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের /মহাবিহারের’ ধংশ নিয়ে বন্ধু Somnath Roy এর আজকের লেখাটির প্রেক্ষিতে চলুন ফিরে পড়ি অধ্যাপক ডি এন ঝাঁ এই ব্যাপারে কি লিখে গেছেন ।আমরা জানি নালন্দা ধংশের দায় ইওরোপীয় এবং ইওরোপমন্য ঐতিহাসিকরা পুরোটাই চাপিয়েছেন বকতিয়ার খিলজির বাহিনীর ওপরে ।কিন্তু মজা এখানেই , যে ‘তবাকত ই-নাসিরি’র উল্লেখ করে এই মিথটি প্রচার করেন মুলতঃ হিন্দুত্ববাদী ঐতিহাসিকরা তার কোথাও নালন্দা মহাবিহারের নামও উল্লেখ নেই , আগুন লাগানোর কথা তো দূর । এই বিতর্ক কিন্তু অনেক পুরোনো , এমনকি মেগসাইসাই পুরস্কৃত অরুন শৌরিও এই অপপ্রচারকে মান্যতা দিয়েছেন , সঙ্গে অধ্যাপক ডি এন ঝাঁ কে অপদস্থ করার চেষ্টাও। {( অরুন শৌরির এই বিদ্বেষের কারনঃ- “These elements demanded my arrest when my work on beef eating was published, and censured James Laine when his book on Shivaji came out. It is not unlikely that Shourie functions in perfect harmony with them and persons like Dina Nath Batra who targeted A K Ramanujan’s essay emphasizing the diversity of the Ramayana tradition; Wendy Doniger’s writings, which provided an alternative view of Hinduism; Megha Kumar’s work on communalism and sexual violence in Ahmedabad since 1969; and Sekhar Bandopadhyaya’s textbook on modern India which does not eulogize the RSS. Arun Shourie seems to have inaugurated a fresh round of battle by reproducing in a second edition his faked, falsified and fabricated historical evidence, thus providing grist to the reactionary mill of Batras and their ilk.”)} শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক ডি এন ঝাঁ জোরালো ভাষায় এর প্রতিবাদ করেন “How History Was Unmade At Nalanda! - D N Jha”লেখাটিতে । ওনার সেই লেখার নির্বাচিত অংশ এখানেঃ- (১) “Since he has referred to me by name and has charged me with fudging evidence to distort the historical narrative of the destruction of the ancient Nalanda Mahavihar, I consider it necessary to rebut his allegations and set the record straight instead of ignoring his balderdash. (২). “It was in fact focused on the antagonism between the Brahmins and Buddhists for which I drew on different kinds of evidence including myths and traditions. In this context I cited the tradition recorded in the 18th century Tibetan text, Pag-sam-jon-zang by Sumpa Khan-Po Yece Pal Jor,mentioned by B N S Yadava in his Society and Culture in Northern India in the Twelfth Century (p.346) with due acknowledgement, though in his pettiness, Shourie is quick to discover plagiarism on my part! I may add that “Hindu fanatics” are not my words but Yadav’s which is why they are in quotes.” (৩)”Here is the relevant extract from Sumpa’s work cited by Shourie : “While a religious sermon was being delivered in the temple that he [Kakut Siddha] had erected at Nalanda, a few young monks threw washing water at two Tirthika beggars. (The Buddhists used to designate the Hindus by the term Tirthika). The beggars being angry, set fire on the three shrines of Dharmaganja, the Buddhist University of Nalanda, viz.— Ratna Sagara, Ratna Ranjaka including the nine-storeyed temple called Ratnodadhi which contained the library of sacred books” (p.92). Shourie questions how the two beggars could go from building to building to “burn down the entire, huge, scattered complex.” Look at another passage (abridged by me in the following paragraph) from the History of Buddhism in India written by another Tibetan monk and scholar Taranatha in the 17th century:” (৪) “During the consecration of the temple built by Kakutsiddha at Nalendra [Nalanda] “the young naughty sramanas threw slops at the two tirthika beggars and kept them pressed inside door panels and set ferocious dogs on them”. Angered by this, one of them went on arranging for their livelihood and the other sat in a deep pit and “engaged himself in surya sadhana” [solar worship] , first for nine years and then for three more years and having thus “acquired mantrasiddhi” he “performed a sacrifice and scattered the charmed ashes all around” which “immediately resulted in a miraculously produced fire”, consuming all the eighty four temples and the scriptures some of which, however, were saved by water flowing from an upper floor of the nine storey Ratnodadhi temple. (History of Buddhism in India, English tr. Lama Chimpa & Alka Chattopadhyaya, summary of pp.141-42).” (৫)If we look at the two narratives closely, they are similar. The role of the Tirthikas and their miraculous fire causing a conflagration are common to both. Admittedly one does not have to take the miracles literally but it is not justified to ignore their importance as part of traditions which gain in strength over time and become part of collective memory of the community. Nor is it desirable or defensible to disregard the element of long standing antagonism between the Brahmins and Buddhists which may have given rise to the Tibetan tradition and nurtured it till as late as the 18th century or even later. It is in the context of this Buddhist-Tirthika animosity that the account of Sumpa assumes importance; it also makes sense because it jibes with Taranatha’s evidence. Further, neither Sumpa, nor Taranatha, ever came to India. This should mean that the idea of Brahminical hostility to the religion of the Buddha traveled to Tibet fairly early and became part of its Buddhist tradition, and found expression in the 17th-18th century Tibetan writings. Acceptance or rejection of this kind of source-criticism is welcome if it comes from a professional historian and but not from someone who flirts with history as Shourie does. Of the two Tibetan traditions, the one referred to by me has been given credence not only by Yadava (whom Shourie, in his ignorance, dubs a Marxist!) but a number of other Indian scholars like R K Mookerji (Education in Ancient India), Sukumar Dutt (Buddhist Monks and Monsteries of India), Buddha Prakash (Aspects of Indian History and Civilization), and S C Vidyabhushana who interprets the text to say that it refers to an actual “scuffle between the Buddhsit and Brahminical mendicants and the latter, being infuriated, propitiated the Sun god for twelve years, performed a fire- sacrifice and threw the living embers and ashes from the sacrificial pit into the Buddhist temples which eventually destroyed the great library at Nalanda called Ratnodadhi” (History of Indian Logic, p516 as cited by D R Patil, The Antiquarian Remains in Bihar, p.327). Scholars named above were all polymaths of unimpeachable academic honesty and integrity. They had nothing to do, even remotely, with Marxism: which is, to Shourie in his bull avatar, a red rag.
আজন্ম শুনে এসেছি তবাকৎ ই নাসিরি বলেছে নালন্দার গ্রন্থাগার বক্তিয়ার পুড়িয়েছেন, কিন্তু এখন আর্কাইভ ডট অর্গে বইটার ইংরিজি অনুবাদ পড়ে যে কেউ দেখতে পারেন, এই পোড়ানোর গল্প নেই।
তাহলে পোড়াল কারা?
আরও বড় প্রশ্ন মুসলমানরা পুড়িয়েছে এই তত্ত্ব চালালো কারা?
তৃতীয় প্রশ্ন, দুদল কি একই ঐতিহ্য বহন করে? আজকের দিনে তৃতীয় প্রশ্ন ভীষণ ভীষণ রিলেভেন্ট!
নব্যচাড্ডিরা ইতিহাসকে সাম্রাজ্যবাদী ইউরোপীয়দের চশমা দিয়েই দেখে। আজ যখন তার অনেক কিছু ভুল প্রমাণিত হয়েছে, তখনও সেই চশমাটাকেই অ্যাসার্ট করে। কারণ, সাম্রাজ্যবাদী খ্রিষ্টানদের উত্তরাধিকার এরা বহন করছে এবং মুসলিম-বিদ্বেষ সেই উত্তরাধিকারের প্রথম জন্মদাগ। হিন্দুত্ব, হিন্দু-ধর্মতত্ত্ব ও বিশ্বাস কখনওই ইসলামবিদ্বেষী নয়, বরং যেরকম নেতাজি সুভাষ লিখেছিলেন, হিন্দু ধর্মের বিশ্বাসী মানুষ মুসলমান বাদশার নেতৃত্বেই ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম সর্বাত্মক যুদ্ধ করেছিলেন।
যাই হোক, বখতিয়ার ওদন্তপুরীতে নারকীয় হত্যালীলা চালিয়েছিলেন বলে অধুনা ইতিহাস বিশ্বাস করে, কিন্তু নালন্দার বিশাল গ্রন্থাগার পোড়ানোর সংগে তিনি যুক্ত ছিলেন না। নালন্দা পোড়ানোকে ইস্লাম-ধর্মাবলম্বীদের কাজের সঙ্গে যুক্ত করা আসলে ইউরোপীয় ইতিহাসের উত্তরাধিকার। বর্বর সাম্রাজ্যবাদীরা বহুবছর মানুষকে বিশ্বাস করিয়ে এসেছে যে আলেকজান্দ্রিয়ার লাইব্রেরি খলিফা উমর পুড়িয়েছিলেন। আমাদের দেশের বহু ছাত্র এবং বহু পন্ডিতও সেই বিশ্বাস নিয়ে জীবন কাটিয়েছিলেন। কিন্তু বস্তুত দেখা যায় খলিফা উমরের জন্ম বা ইসলাম প্রবর্তনের আগে আগ্রাসী ইউরোপীয়ানরাই খ্রিস্ট ধর্মের উন্মাদনাবশে এই লাইব্রেরি ধ্বংস করে। মজার ব্যাপার উনবিংশ শতাব্দীতে আলেকজান্দ্রিয়া মুসলমানরা ধ্বংস করেছিল এই ইতিহাস আমাদের দেশের পাঠ্যপুস্তকেও ছিল এবং তাকে আমার জানা মতে প্রথম চ্যালেঞ্জ করেন স্বামী বিবেকানন্দ।
ঘটনা হচ্ছে চাড্ডিরা দুশ বছরের পুরোনো ব্রিটিশ ইসলাম-বিদ্বেষে মোহিত হয়ে আছে এবং আলেকজান্দ্রিয়ার ছাঁচে নালন্দার লাইব্রেরি পোড়ানোর গল্প বিশ্বাস করে ও করাতে চায়।
অনির্বাণ রায় লিখলেন
মিনহাজ-ই-সিরাজের ‘তবাকত ই-নাসিরি’ এবং ‘নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের /মহাবিহারের’ ধংশ নিয়ে বন্ধু Somnath Roy এর আজকের লেখাটির প্রেক্ষিতে চলুন ফিরে পড়ি অধ্যাপক ডি এন ঝাঁ এই ব্যাপারে কি লিখে গেছেন ।আমরা জানি নালন্দা ধংশের দায় ইওরোপীয় এবং ইওরোপমন্য ঐতিহাসিকরা পুরোটাই চাপিয়েছেন বকতিয়ার খিলজির বাহিনীর ওপরে ।কিন্তু মজা এখানেই , যে ‘তবাকত ই-নাসিরি’র উল্লেখ করে এই মিথটি প্রচার করেন মুলতঃ হিন্দুত্ববাদী ঐতিহাসিকরা তার কোথাও নালন্দা মহাবিহারের নামও উল্লেখ নেই , আগুন লাগানোর কথা তো দূর । এই বিতর্ক কিন্তু অনেক পুরোনো , এমনকি মেগসাইসাই পুরস্কৃত অরুন শৌরিও এই অপপ্রচারকে মান্যতা দিয়েছেন , সঙ্গে অধ্যাপক ডি এন ঝাঁ কে অপদস্থ করার চেষ্টাও। {( অরুন শৌরির এই বিদ্বেষের কারনঃ- “These elements demanded my arrest when my work on beef eating was published, and censured James Laine when his book on Shivaji came out. It is not unlikely that Shourie functions in perfect harmony with them and persons like Dina Nath Batra who targeted A K Ramanujan’s essay emphasizing the diversity of the Ramayana tradition; Wendy Doniger’s writings, which provided an alternative view of Hinduism; Megha Kumar’s work on communalism and sexual violence in Ahmedabad since 1969; and Sekhar Bandopadhyaya’s textbook on modern India which does not eulogize the RSS. Arun Shourie seems to have inaugurated a fresh round of battle by reproducing in a second edition his faked, falsified and fabricated historical evidence, thus providing grist to the reactionary mill of Batras and their ilk.”)} শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক ডি এন ঝাঁ জোরালো ভাষায় এর প্রতিবাদ করেন “How History Was Unmade At Nalanda! - D N Jha”লেখাটিতে । ওনার সেই লেখার নির্বাচিত অংশ এখানেঃ- (১) “Since he has referred to me by name and has charged me with fudging evidence to distort the historical narrative of the destruction of the ancient Nalanda Mahavihar, I consider it necessary to rebut his allegations and set the record straight instead of ignoring his balderdash. (২). “It was in fact focused on the antagonism between the Brahmins and Buddhists for which I drew on different kinds of evidence including myths and traditions. In this context I cited the tradition recorded in the 18th century Tibetan text, Pag-sam-jon-zang by Sumpa Khan-Po Yece Pal Jor,mentioned by B N S Yadava in his Society and Culture in Northern India in the Twelfth Century (p.346) with due acknowledgement, though in his pettiness, Shourie is quick to discover plagiarism on my part! I may add that “Hindu fanatics” are not my words but Yadav’s which is why they are in quotes.” (৩)”Here is the relevant extract from Sumpa’s work cited by Shourie : “While a religious sermon was being delivered in the temple that he [Kakut Siddha] had erected at Nalanda, a few young monks threw washing water at two Tirthika beggars. (The Buddhists used to designate the Hindus by the term Tirthika). The beggars being angry, set fire on the three shrines of Dharmaganja, the Buddhist University of Nalanda, viz.— Ratna Sagara, Ratna Ranjaka including the nine-storeyed temple called Ratnodadhi which contained the library of sacred books” (p.92). Shourie questions how the two beggars could go from building to building to “burn down the entire, huge, scattered complex.” Look at another passage (abridged by me in the following paragraph) from the History of Buddhism in India written by another Tibetan monk and scholar Taranatha in the 17th century:” (৪) “During the consecration of the temple built by Kakutsiddha at Nalendra [Nalanda] “the young naughty sramanas threw slops at the two tirthika beggars and kept them pressed inside door panels and set ferocious dogs on them”. Angered by this, one of them went on arranging for their livelihood and the other sat in a deep pit and “engaged himself in surya sadhana” [solar worship] , first for nine years and then for three more years and having thus “acquired mantrasiddhi” he “performed a sacrifice and scattered the charmed ashes all around” which “immediately resulted in a miraculously produced fire”, consuming all the eighty four temples and the scriptures some of which, however, were saved by water flowing from an upper floor of the nine storey Ratnodadhi temple. (History of Buddhism in India, English tr. Lama Chimpa & Alka Chattopadhyaya, summary of pp.141-42).” (৫)If we look at the two narratives closely, they are similar. The role of the Tirthikas and their miraculous fire causing a conflagration are common to both. Admittedly one does not have to take the miracles literally but it is not justified to ignore their importance as part of traditions which gain in strength over time and become part of collective memory of the community. Nor is it desirable or defensible to disregard the element of long standing antagonism between the Brahmins and Buddhists which may have given rise to the Tibetan tradition and nurtured it till as late as the 18th century or even later. It is in the context of this Buddhist-Tirthika animosity that the account of Sumpa assumes importance; it also makes sense because it jibes with Taranatha’s evidence. Further, neither Sumpa, nor Taranatha, ever came to India. This should mean that the idea of Brahminical hostility to the religion of the Buddha traveled to Tibet fairly early and became part of its Buddhist tradition, and found expression in the 17th-18th century Tibetan writings. Acceptance or rejection of this kind of source-criticism is welcome if it comes from a professional historian and but not from someone who flirts with history as Shourie does. Of the two Tibetan traditions, the one referred to by me has been given credence not only by Yadava (whom Shourie, in his ignorance, dubs a Marxist!) but a number of other Indian scholars like R K Mookerji (Education in Ancient India), Sukumar Dutt (Buddhist Monks and Monsteries of India), Buddha Prakash (Aspects of Indian History and Civilization), and S C Vidyabhushana who interprets the text to say that it refers to an actual “scuffle between the Buddhsit and Brahminical mendicants and the latter, being infuriated, propitiated the Sun god for twelve years, performed a fire- sacrifice and threw the living embers and ashes from the sacrificial pit into the Buddhist temples which eventually destroyed the great library at Nalanda called Ratnodadhi” (History of Indian Logic, p516 as cited by D R Patil, The Antiquarian Remains in Bihar, p.327). Scholars named above were all polymaths of unimpeachable academic honesty and integrity. They had nothing to do, even remotely, with Marxism: which is, to Shourie in his bull avatar, a red rag.
Now juxtapose the Tibetan tradition with the contemporary account in the Tabaqat-i-Nasiri of Minhaj-i -Siraj, which Shourie not only misinterprets but also blows out of proportion. Although its testimony has no bearing on my argument about Brahmanical intolerance, a word needs to be said about it so as to expose his “false knowledge”, which as G B Shaw said, is “more dangerous than ignorance.” The famous passage from this text reads exactly as follows:
“He [ Bakhtiyar Khalji] used to carry his depredations into those parts and that country until he organized an attack upon the fortified city of Bihar. Trustworthy persons have related on this wise, that he advanced to the gateway of the fortress of Bihar with two hundred horsemen in defensive armour, and suddenly attacked the place. There were two brothers of Farghanah, men of learning, one Nizamu-ud-Din, the other Samsam-ud-Din (by name) in the service of Muhammad-i-Bakht-yar ; and the author of this book [ Minhaj] met with at Lakhnawati in the year 641 H., and this account is from him. These two wise brothers were soldiers among that band of holy warriors when they reached the gateway of the fortress and began the attack, at which time Muhammad-i-Bakhtiyar, by the force of his intrepidity, threw himself into the postern of the gateway of the place, and they captured the fortress and acquired great booty. The greater number of inhabitants of that place were Brahmans, and the whole of those Brahmans had their heads shaven; and they were all slain. There were a great number of books there; and, when all these books came under the observation of the Musalmans, they summoned a number of Hindus that they might give them information respecting the import of those books; but the whole of the Hindus were killed. On becoming acquainted (with the contents of the books), it was found that the whole of that fortress and city was a college, and in the Hindui tongue, they call a college Bihar” (Tabaqat-i-Nasiri, English tr. H G Raverty, pp.551-52).
“He [ Bakhtiyar Khalji] used to carry his depredations into those parts and that country until he organized an attack upon the fortified city of Bihar. Trustworthy persons have related on this wise, that he advanced to the gateway of the fortress of Bihar with two hundred horsemen in defensive armour, and suddenly attacked the place. There were two brothers of Farghanah, men of learning, one Nizamu-ud-Din, the other Samsam-ud-Din (by name) in the service of Muhammad-i-Bakht-yar ; and the author of this book [ Minhaj] met with at Lakhnawati in the year 641 H., and this account is from him. These two wise brothers were soldiers among that band of holy warriors when they reached the gateway of the fortress and began the attack, at which time Muhammad-i-Bakhtiyar, by the force of his intrepidity, threw himself into the postern of the gateway of the place, and they captured the fortress and acquired great booty. The greater number of inhabitants of that place were Brahmans, and the whole of those Brahmans had their heads shaven; and they were all slain. There were a great number of books there; and, when all these books came under the observation of the Musalmans, they summoned a number of Hindus that they might give them information respecting the import of those books; but the whole of the Hindus were killed. On becoming acquainted (with the contents of the books), it was found that the whole of that fortress and city was a college, and in the Hindui tongue, they call a college Bihar” (Tabaqat-i-Nasiri, English tr. H G Raverty, pp.551-52).
No comments:
Post a Comment