Friday, August 23, 2019

জিডিপি, এঙ্গাস ম্যাডিসন এবং নতুন করে ব্রিটিওশ-পূর্ব সময় দেখা

Farida দিদি ঠিক বলেছেন আমরা বহুবার এঙ্গাস ম্যাডিসনের উদ্ভাবিত জিডিপি সংখ্যা ব্যবহার করেছি। তাঁর মনে হয়েছে আমরা কোথাও এঙ্গাস ম্যাডিসনকে বৈধতা দিচ্ছি। বিন্দুমাত্র নয়।
জিডিপি যে কোনও অগ্রগতির মাপন হতে পারে না এটা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। কিন্তু এঙ্গাস ম্যাডিসন যখন গত সহস্রাব্দের সাতের দশকে গবেষণা করেছেন সেটাই অগ্রগতি বোঝার একমাত্র মাপন ছিল। সমস্যা হল এই মাপন ছাড়া আমাদের হাতে কোনও মাপন নেই যা দিয়ে আমরা ব্রিটিশপূর্ব সময় আলোচনা করতে পারি। অমর্ত্যবাবুর সেই সময় নিয়ে উৎসাহ নেই। ফলে অগতির গতি ভুলেভরা এঙ্গাস সম্বল।
সমস্যা দাঁড়াল তিনি যেভাবে ভারত-পাকিস্তানকে(তখনও বাংলাদেশ জন্মায় নি) দেখলেন। ২০০০ বছরের অগ্রগতি বুঝতে তিনি পৌঁছলেন ব্রিটিশপূর্ব সময়ে যা পরে হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। তার ভিত্তি হল অতীতের মুসাফিরদের বর্ণনা, এরা খালি গায়ে থাকত, খারাপ খেত ইত্যাদি। তার পর তিনি বললেন মার্ক্সীয় দৃষ্টিতে সামন্ততন্ত্র ছিল ফলে এর বিকাশ হতে পারে না - বাণিজ্য খূব বেশি ছিল না। তার সময় ছিল না সুশীল চৌধুরীর গবেষণা, ছিল না প্রসন্নন পার্থ সারথীর বিশদ কাজ - ছিলেন শুধু হাবিব - যিনি প্রমান করে দিলেন - যদিও ভুল - মুঘল আমলের পতনে কৃষির পতন বড় ব্যাপার ছিল - ব্যাস দুয়ে দুয়ে চার - সামন্ততন্ত্র প্রমান হয়ে গেল।
কিন্তু এত করেও এঙ্গাস বাংলাকে ৬ দিয়েছেন ভারতকে দিয়েছেন ২৬+।
তাহলে ঠিকঠাকভাবে মাপলে এটা কত হত?
---
এটার সমালোচনার যুক্তি কিছুটা আমাদের হাতে আছে সুশীলবাবু আর প্রসন্নন বা অমিয় বাগচীর কাজের সূত্রে। কিন্তু বড় ও মূল অংশটা, তাঁর কাজকে উলটে দেখা সেটা সংখ্যাতাত্ত্বিক, আমাদের হাতের বাইরে। ফলে কিছু দূর অবদি সমালোচনা করতে পারি। কিন্তু এঙ্গাস ম্যাডিসনের অঙ্ককে পুণর্গঠন করা যেতে পারে এটা বানানো আমাদের যোগ্যতার বাইরে, প্রয়োজন একজন অর্থনীতিবিদের।

No comments: