দিল্লির নাম যখন শাহজাহানাবাদ ছিল, সে সময় শহরে প্রচুর কফি হাউস ছিল, লেখক, চিত্রকর, অভিজাতরা সেখানে এসে কবিতা, রাজনীতি আলোচনা করতেন
ব্রিটিশেরা যেহেতু খাওয়ার আগে বা পরেও হাত ধুতেন না, তাই শাহজাহান ব্রিটিশ দূতদের সঙ্গে এক টেবলে বসে খান নি। ব্রিটিশরা যেহেতু খাওয়ার সময় জল খেতেন, আর হাগুর পরে যেহেতু ছুঁচোতেন না, কাগজ ব্যবহার করতেন, সেটাও শাহজাহানের না পসন্দ ছিল।
শাহি খাওয়া শুরু হত বিসমিল্লাইরহমানইরহিম আবৃত্তি করে; শেষ হত সর্বশক্তিমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে। জেনানা মহলে অনেকেই একত্রে খেতেন; কিন্তু বহু রাজ্ঞী এবং অভিজাত তাদের নিজেদের মহলেই খাওয়ার সারতেন।
সম্রাট কোনও কোনও দিন সব রাজ্ঞী নিয়ে একযোগে খাবার সারতেন। সেদিন হত উৎসবের রাত।
দরবারের বাইরে তাঁবু খাঁটানো হলে সম্রাটের তাঁবুর আশেপাশেই(নজদিকই দৌলতখানা-ইয়ি ওয়ালা) বিধিবদ্ধ সরাইখানা তৈরি করা হত। সারাদিন পরিশ্রম করা যে কোনও মানুষ তাঁবু ক্ষেত্রে ঢুকে সরাই খানায় থাকত anyone who reached the exalted camp at night after a long day’s journey and could not find the accommodations of someone familiar to him …make any necessary inquiries so that he could eventually locate his destination। এই অস্থায়ী বসস্থানগুলি তৈরি হত বিশাল একটা মশাল/ফানুসের নিচে যার নাম আকাশদীপ, যাকে চন্দর ভান বলছেন চিরাগ-ইআসমান। ভাবনাটা ছিল এমনই মুঘল বাহিনীর পাশ দিয়ে যাওয়া কোনও অপরিচিত যার কোনও থাকার যায়গা নেই অথচ রাত্রিবাস প্রয়োজন, তাকেও সেবা করত বাহিনী।
No comments:
Post a Comment