পার্থক্য মৌলিক - দর্শনটায় পার্থক্য আছে
দ্বিতীয়টা স্থানীয় ব্যবস্থা নির্ভর, স্থানীয় রোগভোগ, গাছগাছড়া ইত্যাদি নির্ভর, কোনও রকম কেন্দ্রিয় নিদান নির্ভর নয়। প্রথমটা মূলত বই নির্ভর, মূলত ব্যক্তি, গুরু নির্ভর, ভদ্রবিত্ত নির্ভর।
কেন্দ্রিভূত রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালাতে গেলে কেন্দ্রিয় নিদান প্রয়োজন হয় - কারণ রাজা/পাদশাহকে প্রশাসন চালাতে হয়। তাই সে কেন্দ্রিয়ভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে নানান ধরণের আমলা তৈরি করে, চিকিতসকও তৈরি করে রাজত্বে ছড়িয়ে দেয় যাতে তারা রাজার নির্দেশ মান্য করে। সেই জন্যে আয়ুর্বেদের আবির্ভাব। চরক, শুশ্রুত এবং বাঙালি ভগভট্ট বিভিন্ন পরম্পরার সমাজে যে সব চিকিৎসা জ্ঞান ছিল সেগুলো টুকলেন এবং তাদের জ্ঞান স্বীকার নাকরেই আয়ুর্বেদ লিখে ফেললেন।এটার চরিত্র আদতে সংহিতা - এডিটেড ভার্সান। সমাজে তৈরি হল কেন্দ্রিয় নিদানের বই - ইহা হইলে ইহা হইবে মার্কা - এখন যেমন বিপ্লবের নিদান বই হয় - কী করিতে হইবে। এই বই নকল করে রাজ্যজুড়ে নিদানাচার্যদের হাতে ধরিয়ে দিলেই ল্যাঠা চুকল, এলাকা এলাকা ভাগ করে রোগ রোগীর সমস্যা নিদান দিতে হল না, শুধু উপসর্গ বুঝে বই খুলে ওষুধ দেওয়া। আর সংস্কৃত ভাষায় লিখলে সাতখুন মাপ। সারা ভারতে ছড়াল। দেবভাষা বলে কথা।চিকিতসায় কেন্দ্রিয় আমলাতন্ত্র। ব্রাহ্মণ্যবাদের সঙ্গী অশোক হাসপাতাল তৈরি করলেন, আমরা আহাউহু করলাম। কেন্দ্রিভবন শুরু হল। মেধাভিত্তিক, শ্রেষ্ঠী এবং রাষ্ট্র ভিত্তিক বৌদ্ধ জ্ঞানচর্চা যাকে আপনারা এতদিন গণ ভেবেছেন, তা আদতে গণ ছিল না ছিল ভদ্র নির্ভর কাঠামো।
কিন্তু দেশিয় চিকিৎসা অঞ্চল নির্ভর। একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলে আবহাওয়া কৃষি শিল্প উৎপাদন মানুষের কাজকর্ম জীবনযাত্রা ইত্যাদি নির্ভর করে নিদান দেওয়া হত। কোনও কেন্দ্রিয় নিদান ছিল না, কোনও নির্দিষ্ট গুরুঠাকুর ছিল না। সমাজ ছিল, সামাজিক নিদান ছিল, চিকিৎসকের কোনও নাম ছিল না। কেননা তার নাম কিনতে হত না, সমাজে থাকত, তার উচ্চাশা ছিল না জীবক বা ভগভট্ট বা সুশ্রুত হব রাজার পিঠ চাপড়ানি, হয় রাজসভায়, সেখানে যদি না কুলোয় তাহলে বিদেশে পোস্টিং পাব।
কেন্দ্রিভূত রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালাতে গেলে কেন্দ্রিয় নিদান প্রয়োজন হয় - কারণ রাজা/পাদশাহকে প্রশাসন চালাতে হয়। তাই সে কেন্দ্রিয়ভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে নানান ধরণের আমলা তৈরি করে, চিকিতসকও তৈরি করে রাজত্বে ছড়িয়ে দেয় যাতে তারা রাজার নির্দেশ মান্য করে। সেই জন্যে আয়ুর্বেদের আবির্ভাব। চরক, শুশ্রুত এবং বাঙালি ভগভট্ট বিভিন্ন পরম্পরার সমাজে যে সব চিকিৎসা জ্ঞান ছিল সেগুলো টুকলেন এবং তাদের জ্ঞান স্বীকার নাকরেই আয়ুর্বেদ লিখে ফেললেন।এটার চরিত্র আদতে সংহিতা - এডিটেড ভার্সান। সমাজে তৈরি হল কেন্দ্রিয় নিদানের বই - ইহা হইলে ইহা হইবে মার্কা - এখন যেমন বিপ্লবের নিদান বই হয় - কী করিতে হইবে। এই বই নকল করে রাজ্যজুড়ে নিদানাচার্যদের হাতে ধরিয়ে দিলেই ল্যাঠা চুকল, এলাকা এলাকা ভাগ করে রোগ রোগীর সমস্যা নিদান দিতে হল না, শুধু উপসর্গ বুঝে বই খুলে ওষুধ দেওয়া। আর সংস্কৃত ভাষায় লিখলে সাতখুন মাপ। সারা ভারতে ছড়াল। দেবভাষা বলে কথা।চিকিতসায় কেন্দ্রিয় আমলাতন্ত্র। ব্রাহ্মণ্যবাদের সঙ্গী অশোক হাসপাতাল তৈরি করলেন, আমরা আহাউহু করলাম। কেন্দ্রিভবন শুরু হল। মেধাভিত্তিক, শ্রেষ্ঠী এবং রাষ্ট্র ভিত্তিক বৌদ্ধ জ্ঞানচর্চা যাকে আপনারা এতদিন গণ ভেবেছেন, তা আদতে গণ ছিল না ছিল ভদ্র নির্ভর কাঠামো।
কিন্তু দেশিয় চিকিৎসা অঞ্চল নির্ভর। একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলে আবহাওয়া কৃষি শিল্প উৎপাদন মানুষের কাজকর্ম জীবনযাত্রা ইত্যাদি নির্ভর করে নিদান দেওয়া হত। কোনও কেন্দ্রিয় নিদান ছিল না, কোনও নির্দিষ্ট গুরুঠাকুর ছিল না। সমাজ ছিল, সামাজিক নিদান ছিল, চিকিৎসকের কোনও নাম ছিল না। কেননা তার নাম কিনতে হত না, সমাজে থাকত, তার উচ্চাশা ছিল না জীবক বা ভগভট্ট বা সুশ্রুত হব রাজার পিঠ চাপড়ানি, হয় রাজসভায়, সেখানে যদি না কুলোয় তাহলে বিদেশে পোস্টিং পাব।
No comments:
Post a Comment