অতীতে যেমন বিভিন্ন উপমহাদেশে ইওরোপ উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে মহামারী ছড়িয়ে কোটি কোটী মানুষ মেরেছিল, আজ সেইভাবে কোভিদ ১৯ সারা ইওরপোপে ছড়িয়ে পড়ছে মহামারীরূপে। আফ্রিকায় তার কোনও প্রভাব নেই জলবায়ুর জন্যে।
ভীতসন্ত্রস্ত প্রাণভয়ে মরমর ইওরোপিয়রা হিস্টিরিয়াগ্রস্তভাবে উপদ্রুত এলাকা ছেড়ে আফ্রিকার দিকে পালাতে শুরু করছে। তারা মধ্যপ্রাচ্য পেরিয়ে ছোট ছোট নৌকো করে নিজেদের এঁটে নিয়ে গ্রিক আর তুর্কির উপকূলের দিকে প্রাণ হাতে করে নৌকো বাইবে নতুন মহামারি মুক্ত ভৌগোলিক এলাকা খুঁজে বেড়াতে।
তারা যখন আফ্রিকার উপকূলে এসে পৌঁছবে, একদা তারা ইমিগ্রেশন রোখার জন্যে যে ধরণের দেওয়াল তৈরি করেছিল, সেটি তাদের দিকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে; সেই নীতি ব্যাকফায়ার করবেই করবে। উত্তর আফ্রিকার বাহিনী উপকূলে দাঁড়িয়ে তাদের দিকে গুলি ছুঁড়বে কোনও দয়ামায়া ছাড়া - তাদের স্মৃতিতে চারশো বছরের কলোনিতে থাকার ঘৃণা। গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে তারা বলতে থাকবে, তোরা কীটেরা ইওরোপে পালা, আমরা তোদের চাই না, তোদের গরীবি চাই না, তোদের রোগ চাই না, আমরা তোদের কীটের অধম মনে করি।
আর যদি চিত্রনাট্য লেখক সিনেমায় আরেট্টু মসালা গুঁজে দিতে চান, তাহলে কয়েকজন আফ্রিকিয় মাফিয়া চরিত্র তৈরি করবেন, যাদের কোটি কোটী ডলার/পাউন্ড দিয়ে হাতে গোণা ইওরোপিয় সমস্ত কিছু ভালবাসার জিনিস ত্যাগ করে আফ্রিকায় ঠাঁই নেবে অমানবিক একটা কোয়েরেন্টাইন আশ্রয়স্থলে।
কৃতজ্ঞতা অনির্বাণদা
মূল লেখা স্পেনিয় চলচ্চিত্রকার ডেভিড ত্রুয়েবার, প্রকাশিত হয়েছিল এল পাইস পত্রিকায়
No comments:
Post a Comment